ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত্যু ৬৭

ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ২১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ১৭৪ জন ও ঢাকার বাইরে ৪৩ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে শুধু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৮ হাজার ৭ জন (১৮০০৭)। চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১৬ হাজার ৯৫৭ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৬৭ জন। এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে ৯৮৩ জন।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমাজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কামরুল কিবরিয়া এ সব তথ্য জানিয়েছেন।

অপর দিকে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জানান, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির বাইরে অনেকেই প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের পরিসংখ্যান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নেই। তাদের হিসাব পাওয়া গেলে সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. সৈয়দ সফি আহমেদ সংবাদকে জানান, ডেঙ্গুতে শিশুরা এখনও আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৩৬ জন শিশু ভর্তি আছে। তার মধ্যে আইসিইউতে ৩ জন। এ পর্যন্ত মোট মারা গেছে ১০ জন। আর বহিঃবিভাগে প্রতিদিন অনেক শিশুকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বছর থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার উপদ্রব বেড়েই চলেছে। বৃষ্টিতে পরিষ্কার স্বচ্ছ পানি জমে থাকে। ওই পানিতে পূণাঙ্গ এডিস মশা ডিম পাড়ে। ডিম থেকে আবার নতুন করে মশা জন্মায়। তাই এডিস মশার প্রজনন স্থল ও পূণাঙ্গ মশা মারতে হবে। আর মশার ওষুধ ছিটানোর ওপর আরও জোর দেয়া দরকার বলে কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এডিস মশাসহ সব ধরনের মশা দমনে আলাদা বিভাগ চালু করা দরকার। তা হলে ওই বিভাগ থেকে বছরজুড়ে মশা দমন করা হবে। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে আলাদা বিভাগ আছে।

আরও খবর
নারীদের বাদ দিয়ে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুবিধা অর্জন সম্ভব নয় : স্পিকার
নির্বাচন কমিশন গঠন করা উচিত সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যে সিইসি
গণটিকায় নারীদের উপস্থিতি ছিল বেশি
দেশের ৫০ শতাংশ মানুষকে ডিসেম্বরের মধ্যে টিকার আওতায় আনা হবে
দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮ ইউপিতে ভোট ১১ নভেম্বর
আগাম জামিন পাননি বসুন্ধরার এমডি আনভীর
পরীমনির রিমান্ড নিয়ে দুই বিচারকের কাছে ফের ব্যাখ্যা চাইলেন হাইকোর্ট
সংসদীয় আসন ও ১০ পৌরসভার ভোট ২ নভেম্বর
আরব আমিরাতে যেতে বাধা কাটলো প্রবাসীদের
নিম্ন আদালতের সব রায় প্রকাশ্যে দেয়ার নির্দেশ
অপহরণ মামলার তদন্তে সন্ধান মিললো ছিনতাই চক্রের আস্তানার
৬ কর্মকর্তার সমন্বয়ে কমিটি গঠন ঢাকা ওয়াসার
যে গ্রামে ছিল হানাহানি সেখানে এখন বইছে সুবাতাস

বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ১৫ আশ্বিন ১৪২৮ ২১ সফর ১৪৪৩

ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত্যু ৬৭

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ২১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ১৭৪ জন ও ঢাকার বাইরে ৪৩ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে শুধু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৮ হাজার ৭ জন (১৮০০৭)। চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১৬ হাজার ৯৫৭ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৬৭ জন। এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে ৯৮৩ জন।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমাজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কামরুল কিবরিয়া এ সব তথ্য জানিয়েছেন।

অপর দিকে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জানান, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির বাইরে অনেকেই প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের পরিসংখ্যান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নেই। তাদের হিসাব পাওয়া গেলে সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. সৈয়দ সফি আহমেদ সংবাদকে জানান, ডেঙ্গুতে শিশুরা এখনও আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৩৬ জন শিশু ভর্তি আছে। তার মধ্যে আইসিইউতে ৩ জন। এ পর্যন্ত মোট মারা গেছে ১০ জন। আর বহিঃবিভাগে প্রতিদিন অনেক শিশুকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বছর থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার উপদ্রব বেড়েই চলেছে। বৃষ্টিতে পরিষ্কার স্বচ্ছ পানি জমে থাকে। ওই পানিতে পূণাঙ্গ এডিস মশা ডিম পাড়ে। ডিম থেকে আবার নতুন করে মশা জন্মায়। তাই এডিস মশার প্রজনন স্থল ও পূণাঙ্গ মশা মারতে হবে। আর মশার ওষুধ ছিটানোর ওপর আরও জোর দেয়া দরকার বলে কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এডিস মশাসহ সব ধরনের মশা দমনে আলাদা বিভাগ চালু করা দরকার। তা হলে ওই বিভাগ থেকে বছরজুড়ে মশা দমন করা হবে। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে আলাদা বিভাগ আছে।