ডিএসইর এসএমই প্ল্যাটফর্মে ৬ কোম্পানির লেনদেন শুরু

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) কোম্পানিগুলোকে ব্যবসা সম্প্রসারণে বাণিজ্যিক ব্যাংক বা ভিন্ন মাধ্যম হতে উচ্চ সুদে ঋণ নিতে হয়। কিন্তু এসএমই প্ল্যাটফর্মের যাত্রা শুরু হওয়ায় কোম্পানিগুলো এখন পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের (স্টক এবং ডেবট সিকিউরিটিজ ইস্যু করে) সুযোগ পেল। গতকাল ডিএসইর এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. মিজানুর রহমান এ কথা বলেন।

ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ডিএসইর পরিচালক অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান। অনুষ্ঠানের মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সাইফুর রহমান মজুমদার।

মিজানুর রহমান বলেন, বিএসইসি পুঁজিবাজারের কোম্পানিগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন পরিপালনে জোরদার করে। যাতে করে উদ্যোক্তাদেরকে দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক হিসাব মান অনুযায়ি আর্থিক হিসাব তৈরি ও উপস্থাপন করতে হয়। যা কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসা উন্নয়নে সহযোগিতা করে। একই সঙ্গে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সুশাসন ও স্বচ্ছতা আসে। দেশে এসএমইতে প্রায় ১ লাখ কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ মুনাফা করে। কিন্তু তাদের আর্থিক হিসাব সঠিকভাবে করা হয় না এবং অদক্ষ জনবলের ওপর নির্ভরশীল। যে কারণে এসএমই কোম্পানিগুলোতে অনেক বেশি ব্যয় হয়। তাই ডিএসই ও এসএমই ফাউন্ডেশনকে ওইসব কোম্পানির দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করার জন্য আহ্বান করেন তিনি।

স্বাগত বক্তব্যে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া বলেন, ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে এসএমই খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। এই গুরুত্বকে অনুধাবন করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এসএমই খাতের উন্নয়নে ‘ডিএসই এসএমই প্ল্যাটফর্ম’ তৈরি করেছে। এতে স্বল্প মূলধনী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ডিএসইতে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহের যেমন সুযোগ পাবে, তেমনি দেশের অর্থনীতি ও পুঁজিবাজার গতিশীল হবে।

তিনি বলেন, এসএমই মার্কেট পুরোপুরি চালু হলে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। বর্তমানে আরজেএসসির সঙ্গে নিবন্ধনকৃত প্রায় লক্ষাধিক কোম্পানি রয়েছে। এসব কোম্পানির মূলধন সংগ্রহের জন্য পুঁজিবাজার হতে পারে একটি বড় মাধ্যম।

ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্ম’ নামের আলাদা বাজারে স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির জন্য কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে পুঁজি উত্তোলন করতে হবে। এসএমই উদ্যোক্তা যাদের মূলধন ৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার মধ্যে তারা বাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করতে পারে। এই মার্কেটের বিনিয়োগকারীরাও হবে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর। যাদের বিনিয়োগ-সংক্রান্ত সম্যক ধারণা ও উচ্চ নিট সম্পদধারী ব্যক্তি। এছাড়াও যাদের বিনিয়োগ ১ কোটি টাকার বেশি তাদের যোগ্য বিনিয়োগকারী হিসাবে বিবেচনা করা হবে।

উল্লেখ্য, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে পুঁজিবাজার থেকে টাকা দিতে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল এসএমই প্ল্যাটফর্ম চালু করে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। প্লাটফর্ম চালুর প্রায় আড়াই বছর পর গতকাল প্রথমবারের মতো এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেন চালু হয়েছে।

ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেট থেকে ফেরা চার কোম্পানি ও কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারে (কিউআইও) মাধ্যমে সদ্য পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন দুই কোম্পানিসহ ছয়টি কোম্পানি নিয়ে এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেন চালু হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো, কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারে (কিউআইও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করা মাস্টার ফিড এগ্রোটেক ও অরিজা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ। এ ছাড়া ওটিসি ফেরত অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিসিং মিলস, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েস, হিমাদ্রি ও বেঙ্গল বিস্কুট লিমিটেড।

অরিজা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ : অরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ১২ টাকা। দিন শেষে কোম্পানিটির ৫১টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। যা লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। কোম্পানিটি কিউআই অফারের মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে ১ কোটি শেয়ার বিক্রি করে ১০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।

মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটেক : লেনদেন শুরুর দিনে মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটেকের শেয়ার ১২ টাকায় সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে। এ সময় কোম্পানিটির তিনটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। কোম্পানিটি কিউআই অফারে অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে ১ কোটি শেয়ার বিক্রি করে ১০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করেছে।

অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিসিং মিলস : ওটিসি ফেরত অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিসিং মিলসের শেয়ার সর্বশেষ ১৪.৪ টাকায় লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির ১৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিক (জুলাই ’২০-মার্চ ’২১) পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০.৫৭ টাকা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ০.৯১ টাকা।

ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েস : ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েসের শেয়ার ১৯.৯ টাকায় লেনদেন শেষ হয়েছে। দিন শেষে কোম্পানিটির ছয়টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিক (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০.০৯ টাকা। যা আগের বছরের একই সময় ছিল ০.০৭ টাকা।

হিমাদ্রি লিমিটেড : লেনদেন শুরুর দিনে কোম্পানিটির কোন শেয়ার লেনদেন হয়নি। কোম্পানিটির এডজাস্টমেন্ট ওপেনিং প্রাইজ ছিল ৮ টাকা। তৃতীয় প্রান্তিক (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ২৬.০৮ টাকা। যা আগের বছরের একই সময় ছিল ৩৩.১১ টাকা।

বেঙ্গল বিস্কুট : বেঙ্গল বিস্কুটের সমাপনী শেয়ার দর ছিল ২১৩.৩ টাকা। এদিন কোম্পানিটির সাতটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিক (জুলাই’২০-মার্চ’২১) পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৮১ টাকা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ০.৪৪ টাকা।

শুক্রবার, ০১ অক্টোবর ২০২১ , ১৬ আশ্বিন ১৪২৮ ২২ সফর ১৪৪৩

ডিএসইর এসএমই প্ল্যাটফর্মে ৬ কোম্পানির লেনদেন শুরু

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) কোম্পানিগুলোকে ব্যবসা সম্প্রসারণে বাণিজ্যিক ব্যাংক বা ভিন্ন মাধ্যম হতে উচ্চ সুদে ঋণ নিতে হয়। কিন্তু এসএমই প্ল্যাটফর্মের যাত্রা শুরু হওয়ায় কোম্পানিগুলো এখন পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের (স্টক এবং ডেবট সিকিউরিটিজ ইস্যু করে) সুযোগ পেল। গতকাল ডিএসইর এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. মিজানুর রহমান এ কথা বলেন।

ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ডিএসইর পরিচালক অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান। অনুষ্ঠানের মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সাইফুর রহমান মজুমদার।

মিজানুর রহমান বলেন, বিএসইসি পুঁজিবাজারের কোম্পানিগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন পরিপালনে জোরদার করে। যাতে করে উদ্যোক্তাদেরকে দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক হিসাব মান অনুযায়ি আর্থিক হিসাব তৈরি ও উপস্থাপন করতে হয়। যা কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসা উন্নয়নে সহযোগিতা করে। একই সঙ্গে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সুশাসন ও স্বচ্ছতা আসে। দেশে এসএমইতে প্রায় ১ লাখ কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ মুনাফা করে। কিন্তু তাদের আর্থিক হিসাব সঠিকভাবে করা হয় না এবং অদক্ষ জনবলের ওপর নির্ভরশীল। যে কারণে এসএমই কোম্পানিগুলোতে অনেক বেশি ব্যয় হয়। তাই ডিএসই ও এসএমই ফাউন্ডেশনকে ওইসব কোম্পানির দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করার জন্য আহ্বান করেন তিনি।

স্বাগত বক্তব্যে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া বলেন, ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে এসএমই খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। এই গুরুত্বকে অনুধাবন করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এসএমই খাতের উন্নয়নে ‘ডিএসই এসএমই প্ল্যাটফর্ম’ তৈরি করেছে। এতে স্বল্প মূলধনী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ডিএসইতে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহের যেমন সুযোগ পাবে, তেমনি দেশের অর্থনীতি ও পুঁজিবাজার গতিশীল হবে।

তিনি বলেন, এসএমই মার্কেট পুরোপুরি চালু হলে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। বর্তমানে আরজেএসসির সঙ্গে নিবন্ধনকৃত প্রায় লক্ষাধিক কোম্পানি রয়েছে। এসব কোম্পানির মূলধন সংগ্রহের জন্য পুঁজিবাজার হতে পারে একটি বড় মাধ্যম।

ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্ম’ নামের আলাদা বাজারে স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির জন্য কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে পুঁজি উত্তোলন করতে হবে। এসএমই উদ্যোক্তা যাদের মূলধন ৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার মধ্যে তারা বাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করতে পারে। এই মার্কেটের বিনিয়োগকারীরাও হবে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর। যাদের বিনিয়োগ-সংক্রান্ত সম্যক ধারণা ও উচ্চ নিট সম্পদধারী ব্যক্তি। এছাড়াও যাদের বিনিয়োগ ১ কোটি টাকার বেশি তাদের যোগ্য বিনিয়োগকারী হিসাবে বিবেচনা করা হবে।

উল্লেখ্য, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে পুঁজিবাজার থেকে টাকা দিতে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল এসএমই প্ল্যাটফর্ম চালু করে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। প্লাটফর্ম চালুর প্রায় আড়াই বছর পর গতকাল প্রথমবারের মতো এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেন চালু হয়েছে।

ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেট থেকে ফেরা চার কোম্পানি ও কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারে (কিউআইও) মাধ্যমে সদ্য পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন দুই কোম্পানিসহ ছয়টি কোম্পানি নিয়ে এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেন চালু হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো, কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারে (কিউআইও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করা মাস্টার ফিড এগ্রোটেক ও অরিজা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ। এ ছাড়া ওটিসি ফেরত অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিসিং মিলস, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েস, হিমাদ্রি ও বেঙ্গল বিস্কুট লিমিটেড।

অরিজা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ : অরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ১২ টাকা। দিন শেষে কোম্পানিটির ৫১টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। যা লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। কোম্পানিটি কিউআই অফারের মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে ১ কোটি শেয়ার বিক্রি করে ১০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।

মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটেক : লেনদেন শুরুর দিনে মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটেকের শেয়ার ১২ টাকায় সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে। এ সময় কোম্পানিটির তিনটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। কোম্পানিটি কিউআই অফারে অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে ১ কোটি শেয়ার বিক্রি করে ১০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করেছে।

অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিসিং মিলস : ওটিসি ফেরত অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিসিং মিলসের শেয়ার সর্বশেষ ১৪.৪ টাকায় লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির ১৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিক (জুলাই ’২০-মার্চ ’২১) পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০.৫৭ টাকা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ০.৯১ টাকা।

ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েস : ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েসের শেয়ার ১৯.৯ টাকায় লেনদেন শেষ হয়েছে। দিন শেষে কোম্পানিটির ছয়টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিক (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০.০৯ টাকা। যা আগের বছরের একই সময় ছিল ০.০৭ টাকা।

হিমাদ্রি লিমিটেড : লেনদেন শুরুর দিনে কোম্পানিটির কোন শেয়ার লেনদেন হয়নি। কোম্পানিটির এডজাস্টমেন্ট ওপেনিং প্রাইজ ছিল ৮ টাকা। তৃতীয় প্রান্তিক (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ২৬.০৮ টাকা। যা আগের বছরের একই সময় ছিল ৩৩.১১ টাকা।

বেঙ্গল বিস্কুট : বেঙ্গল বিস্কুটের সমাপনী শেয়ার দর ছিল ২১৩.৩ টাকা। এদিন কোম্পানিটির সাতটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিক (জুলাই’২০-মার্চ’২১) পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৮১ টাকা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ০.৪৪ টাকা।