দখলে দখলে নাব্য হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে সুবর্ণখালী

নাব্যতা হারিয়ে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে সূর্বণাখালী নদী। জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সূবর্ণখালী নদী। খুব বেশি দিনের কথা নয়, এ নদীতে সারাবছর নৌকা চলত। মালামাল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হতো নদী পথে। প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। টলটল করত পানি। বর্ষাকালে নৌকার মাঝি আর ব্যবসায়ীদের কোলাহলে নদীটি ছিল বেশ জমজমাট।

কতিপয় ভূমিদস্যু দীর্ঘদিন যাবত নদীর তীর দখল করে বসত বাড়ি নির্মাণসহ নানা ভাবে নদী ভরাট করে সংকুচিত করে ফেলছে। এতে নদী এদিকে সংকুচিত হয়ে হারিয়ে ফেলছে তার নাব্যতা ও সৌন্দর্য্য। গত কয়েক দিন হতে এ.আর.এ জুট মিলস লিঃ এর বিক্রিত স্থানে ট্রলার দিয়ে বালি এনে নদীর তীর দখল করে ভরাট করছে। নির্মাণ করা হচ্ছে বাসাবাড়ী।

জানা যায়, ১৯৪৫-৪৬ সালের দিকে সরিষাবাড়ী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের পশ্চিমাঞ্চল যমুনা নদীর কড়াল গ্রাসে বিলীন হয়ে যায়।

১৯৬০-৬২ সালের দিকে যমুনা নদীর বুক চিরে বিশাল এলাকা জুড়ে আস্তে আস্তে পলি জমে চর জাগতে থাকে।

১৯৬৫-৬৬ সালের দিকে জেগে উঠা চরে বসতি স্থাপন আরম্ভ হয়। যমুনা নদীর তীব্র ভাঙ্গনের ফলে মহান স্বাধীনতার প্রাক্কালে ১৯৬৯-৭০ সালের দিকে তখন নদীর গতি পথ পরিবর্তন হয়ে প্রায় ৮/৯ কিলোমিটার পশ্চিমে চলে যায়। নদীর ক্ষতের চিহ্ন রয়ে যায়। নদী ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে সরিষাবাড়ী সদরের ১নং সাতপোয়া ইউপির ঝালপাড়া থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ হয়ে উত্তর দিকে কামরাবাদ ইউপির রেলি ব্রীজ হতে বাউসির পপুলার পশ্চিমে ও দক্ষিণে ২ নং পোগলদিঘা ইউপির তারাকান্দির পশ্চিম হয়ে চেচিয়াবাধা জোয়াদ্দার বাড়ী পর্যন্ত চলে আসে।

যমুনা নদীর বুকে চর জেগে উঠার ফলে তীর ঘেষে খরস্রোতা নদী রয়ে যায়। আর কালক্রমে সেই নদীর নাম করণ করা হয় সূবর্ণখালী।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র মনির উদ্দিন দুঃখ প্রকাশ করে জানান,

বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি। তিনি সাংবাদিকদের সোচ্চার হওয়ারও আহবান করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপমা ফারিসা বলেন, আমি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করছি।

শুক্রবার, ০১ অক্টোবর ২০২১ , ১৬ আশ্বিন ১৪২৮ ২২ সফর ১৪৪৩

দখলে দখলে নাব্য হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে সুবর্ণখালী

প্রতিনিধি, সরিষাবাড়ী (জামালপুর)

image

সরিষাবাড়ি (জামালপুর) : এআরএ জুট মিল কর্তৃপক্ষ ট্রলারে বালু এনে এভাবেই ভরাট করছে নদী -সংবাদ

নাব্যতা হারিয়ে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে সূর্বণাখালী নদী। জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সূবর্ণখালী নদী। খুব বেশি দিনের কথা নয়, এ নদীতে সারাবছর নৌকা চলত। মালামাল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হতো নদী পথে। প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। টলটল করত পানি। বর্ষাকালে নৌকার মাঝি আর ব্যবসায়ীদের কোলাহলে নদীটি ছিল বেশ জমজমাট।

কতিপয় ভূমিদস্যু দীর্ঘদিন যাবত নদীর তীর দখল করে বসত বাড়ি নির্মাণসহ নানা ভাবে নদী ভরাট করে সংকুচিত করে ফেলছে। এতে নদী এদিকে সংকুচিত হয়ে হারিয়ে ফেলছে তার নাব্যতা ও সৌন্দর্য্য। গত কয়েক দিন হতে এ.আর.এ জুট মিলস লিঃ এর বিক্রিত স্থানে ট্রলার দিয়ে বালি এনে নদীর তীর দখল করে ভরাট করছে। নির্মাণ করা হচ্ছে বাসাবাড়ী।

জানা যায়, ১৯৪৫-৪৬ সালের দিকে সরিষাবাড়ী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের পশ্চিমাঞ্চল যমুনা নদীর কড়াল গ্রাসে বিলীন হয়ে যায়।

১৯৬০-৬২ সালের দিকে যমুনা নদীর বুক চিরে বিশাল এলাকা জুড়ে আস্তে আস্তে পলি জমে চর জাগতে থাকে।

১৯৬৫-৬৬ সালের দিকে জেগে উঠা চরে বসতি স্থাপন আরম্ভ হয়। যমুনা নদীর তীব্র ভাঙ্গনের ফলে মহান স্বাধীনতার প্রাক্কালে ১৯৬৯-৭০ সালের দিকে তখন নদীর গতি পথ পরিবর্তন হয়ে প্রায় ৮/৯ কিলোমিটার পশ্চিমে চলে যায়। নদীর ক্ষতের চিহ্ন রয়ে যায়। নদী ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে সরিষাবাড়ী সদরের ১নং সাতপোয়া ইউপির ঝালপাড়া থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ হয়ে উত্তর দিকে কামরাবাদ ইউপির রেলি ব্রীজ হতে বাউসির পপুলার পশ্চিমে ও দক্ষিণে ২ নং পোগলদিঘা ইউপির তারাকান্দির পশ্চিম হয়ে চেচিয়াবাধা জোয়াদ্দার বাড়ী পর্যন্ত চলে আসে।

যমুনা নদীর বুকে চর জেগে উঠার ফলে তীর ঘেষে খরস্রোতা নদী রয়ে যায়। আর কালক্রমে সেই নদীর নাম করণ করা হয় সূবর্ণখালী।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র মনির উদ্দিন দুঃখ প্রকাশ করে জানান,

বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি। তিনি সাংবাদিকদের সোচ্চার হওয়ারও আহবান করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপমা ফারিসা বলেন, আমি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করছি।