অবৈধ মোবাইল ফোন আর চলবে না

কর ফাঁকি দিয়ে আমদানি করা অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বিক্রি বা ব্যবহারের দিন শেষ। আজ থেকে নতুন মোবাইল ফোন কেনার সময় ক্রেতাকে অবশ্যই যাচাই করে নিতে হবে হ্যান্ডসেটটি বৈধ কি না। সেটটি বৈধ হলে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হবে। আর অবৈধ হলে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, অর্থাৎ অচল হয়ে পড়বে নতুন হ্যান্ডসেট।

তবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যেসব মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে সেগুলো সচল থাকবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

গতকাল রাতে সংবাদকে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরাতো আগেই বলেছি, সময় দিয়েছি। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চালু হওয়া সেটগুলো নেটওয়ার্কে থাকবে। বন্ধ করা হবে না। তবে ১ অক্টোবর থেকে অবৈধ কোন মোবইল ফোন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকছে না।’

ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রারের (এনইআইআর) কার্যক্রমের আওতায় গত তিন মাস ধরে অবৈধ মোবাইল ফোন শনাক্তের কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে চালচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তবে এত দিন অবৈধ শনাক্ত হলেও ফোন নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়নি।

বিটিআরসি গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ১ অক্টোবর থেকে অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট শনাক্ত ও নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্নের কার্যক্রম চূড়ান্তভাবে শুরু হচ্ছে। সংস্থাটি গ্রাহককে মুঠোফোন কেনার সময় যাচাই করে দেখার অনুরোধ জানিয়েছে। আমদানিকারক, উৎপাদনকারী ও বিক্রেতাকে অবৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানি, উৎপাদন অথবা বিক্রির সঙ্গে জড়িত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে কমিশন। অন্যথায়, অবৈধ মোবাইল ফোনের মূল্য ফেরত দিতে হবে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা।

বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদুল ইসলাম বলেন, গত ১ জুলাই থেকে তিন মাসের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) চালু হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর সেই সময় শেষ। ১ অক্টোবর থেকে কোনভাবেই আর অবৈধ বা নকল সেট ব্যবহার করা যাবে না। এ সময়ের মধ্যে যে সেটগুলো ব্যবহার হয়েছে সেগুলো সার্ভারে সংযুক্ত থাকবে। তবে ১ অক্টোবর থেকে নতুন যেসব সেট যুক্ত হবে সেগুলো অবশ্যই বৈধ সেট হতে হবে। অবৈধ হলে সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।

বিটিআরসির সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে নকল বা অবৈধ হ্যান্ডসেটের ব্যাপারে আর ছাড় দেয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পহেলা অক্টোবর থেকে কোনভাবেই আর অবৈধ সেট চালানো যাবে না। সেটটি চালু করার সঙ্গে সঙ্গে সংক্রিয় ক্ষুদেবার্তা চলে যাবে। তবে বৈধ কাগজপত্র থাকলে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। না থাকলে যেখান থেকে গ্রাহক সেট কিনেছেন সেখানে যোগাযোগ করে বদলে নিতে হবে। তবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চালু হওয়া অবৈধ সেটগুলোর নেটওয়ার্ক আপাতত বিচ্ছিন্ন করা হবে না। কারণ ওইসব সেট নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করার কোন সিদ্ধান্ত বৈঠকে হয়নি।

হ্যান্ডসেট কেনার আগে করণীয়

আজ থেকে যে কোন মাধ্যমে (বিক্রয় কেন্দ্র, অনলাইন বিক্রয় কেন্দ্র, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদি) মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে অবশ্যই হ্যান্ডসেটটির বৈধতা যাচাই করতে হবে। হ্যান্ডসেটের মেসেজ অপশন থেকে কণউ ও ১৫ ডিজিটের ওগঊও নম্বর লিখে (উদাহরণ স্বরূপ কণউ ১২৩৪৫৬৭৮৯০১২৩৪৫) ১৬০০২ নম্বরে পাঠিয়ে বৈধতা যাচাই করতে হবে। ফিরতি মেসেজ মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া হবে। সেটটি বৈধ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআর সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। পাশাপাশি হ্যান্ডসেটের ক্রয় রসিদও সংরক্ষণ করতে বলছে বিটিআরসি।

বিদেশ থেকে আনা হ্যান্ডসেটের নিবন্ধন

বৈধভাবে বিদেশ থেকে ব্যক্তিগতভাবে আনা, কেনা অথবা উপহার পাওয়া অনুমোদিত সংখ্যক মোবাইল ফোন ব্যবহারের আগে িি.িহবরৎ.নঃৎপ.মড়া.নফ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। এর আগে সেটটি চালু করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তা নেটওয়ার্কে সচল হবে। এ ধরনের গ্রাহককে ১০ দিনের মধ্যে অনলাইনে তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করার জন্য এসএমএস পাঠানো হবে। ১০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন হয়ে গেলে ঐ হ্যান্ডসেট ‘বৈধ’ বিবেচিত হবে। আর তা না হলে হ্যান্ডসেটটি অবৈধ বিবেচনা করে গ্রাহককে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানানো হবে।

হাতের সেটটি বৈধ কি না জানার উপায়

যে কেউ চাইলে তার হাতে থাকা মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা জেনে নিতে পারেন। মোবাইল হ্যান্ডসেটে *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করতে হবে। স্ক্রিনে অপশন এলে ঝঃধঃঁং ঈযবপশ সিলেক্ট করতে হবে। তখন একটি অটোমেটিক বক্স আসবে, সেখানে মোবাইল হ্যান্ডসেটের ১৫ ডিজিটের আইইএমআই নম্বরটি লিখে পাঠাতে হবে। এরপর হ্যাঁ বা ণঊঝ সিলেক্ট করে নিশ্চিত করতে হবে। ফিরতি মেসেজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের হালনাগাদ অবস্থা জানানো হবে।

মূলত দেশে অবৈধ বা নন-চ্যানেল মোবাইল ফোনের প্রবেশ বন্ধ করতে সরকার এনইআইআর সিস্টেম চালু করে। এতে দেশে আসা অবৈধ মোবাইল ফোন বা নন-চ্যানেল ফোন চিহ্নিত করা সহজ হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি সেগুলো চিহ্নিত করে বন্ধের উদ্যোগ নেবে। ফলে দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের বাজার আরও বড় হবে।

অপরদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশা, এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে দেশে মোবাইল ফোনকেন্দ্রীক অপরাধের সংখ্যা কমবে। এ সিস্টেম চালু হলে চুরি বা ছিনতাই হওয়া ফোনে অন্য সিম দিয়ে নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা যাবে না।

সার্বিক বিষয়ে বিটিআরসির কমিশনার (তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা) এ কে এম শহীদুজ্জামান বলেন, ১ অক্টোবর থেকে কোন গ্রাহক নতুন ফোন চালু করতে গেলে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবেন। ফোনটি বৈধ হলে কয়েকটি ধাপ অগ্রসর হলেই সেটি চালু হয়ে যাবে। যদি ফোনটি অবৈধ হয় তাহলে নেটওয়ার্কে চালু করার সময় মেসেজ আসবে। মেসেজের মাধ্যমে ক্রেতাকে জানানো হবে যে ‘তার ফোন সেটটি বৈধ নয়’। কিছুক্ষণের মধ্যে ফোনটি বন্ধ হয়ে যাবে।

এ কে এম শহীদুজ্জামান বলেন, এই মেসেজ ফোন বিক্রেতাকে দেখিয়ে ক্রেতা তার ফোন সেটটি বদলে নিতে পারবেন বা টাকা ফেরত নিতে পারবেন। কোন বিক্রেতা ফোন বদলে না দিলে বা টাকা ফেরত না দিলে ক্রেতার স্বার্থ রাক্ষায় আইনগত ব্যবস্থা নেবে কমিশন। ফলে বিক্রেতারা বুঝবেন, অবৈধ পথে আমদানি করা ফোন আর বিক্রি করা যাবে না। ক্রেতা, বিক্রেতা, উৎপাদক সবার স্বার্থ রক্ষা করাই কমিশনের উদ্দেশ্য।’

শুক্রবার, ০১ অক্টোবর ২০২১ , ১৬ আশ্বিন ১৪২৮ ২২ সফর ১৪৪৩

অবৈধ মোবাইল ফোন আর চলবে না

কর ফাঁকি দিয়ে আমদানি করা অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বিক্রি বা ব্যবহারের দিন শেষ। আজ থেকে নতুন মোবাইল ফোন কেনার সময় ক্রেতাকে অবশ্যই যাচাই করে নিতে হবে হ্যান্ডসেটটি বৈধ কি না। সেটটি বৈধ হলে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হবে। আর অবৈধ হলে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, অর্থাৎ অচল হয়ে পড়বে নতুন হ্যান্ডসেট।

তবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যেসব মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে সেগুলো সচল থাকবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

গতকাল রাতে সংবাদকে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরাতো আগেই বলেছি, সময় দিয়েছি। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চালু হওয়া সেটগুলো নেটওয়ার্কে থাকবে। বন্ধ করা হবে না। তবে ১ অক্টোবর থেকে অবৈধ কোন মোবইল ফোন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকছে না।’

ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রারের (এনইআইআর) কার্যক্রমের আওতায় গত তিন মাস ধরে অবৈধ মোবাইল ফোন শনাক্তের কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে চালচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তবে এত দিন অবৈধ শনাক্ত হলেও ফোন নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়নি।

বিটিআরসি গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ১ অক্টোবর থেকে অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট শনাক্ত ও নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্নের কার্যক্রম চূড়ান্তভাবে শুরু হচ্ছে। সংস্থাটি গ্রাহককে মুঠোফোন কেনার সময় যাচাই করে দেখার অনুরোধ জানিয়েছে। আমদানিকারক, উৎপাদনকারী ও বিক্রেতাকে অবৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানি, উৎপাদন অথবা বিক্রির সঙ্গে জড়িত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে কমিশন। অন্যথায়, অবৈধ মোবাইল ফোনের মূল্য ফেরত দিতে হবে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা।

বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদুল ইসলাম বলেন, গত ১ জুলাই থেকে তিন মাসের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) চালু হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর সেই সময় শেষ। ১ অক্টোবর থেকে কোনভাবেই আর অবৈধ বা নকল সেট ব্যবহার করা যাবে না। এ সময়ের মধ্যে যে সেটগুলো ব্যবহার হয়েছে সেগুলো সার্ভারে সংযুক্ত থাকবে। তবে ১ অক্টোবর থেকে নতুন যেসব সেট যুক্ত হবে সেগুলো অবশ্যই বৈধ সেট হতে হবে। অবৈধ হলে সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।

বিটিআরসির সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে নকল বা অবৈধ হ্যান্ডসেটের ব্যাপারে আর ছাড় দেয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পহেলা অক্টোবর থেকে কোনভাবেই আর অবৈধ সেট চালানো যাবে না। সেটটি চালু করার সঙ্গে সঙ্গে সংক্রিয় ক্ষুদেবার্তা চলে যাবে। তবে বৈধ কাগজপত্র থাকলে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। না থাকলে যেখান থেকে গ্রাহক সেট কিনেছেন সেখানে যোগাযোগ করে বদলে নিতে হবে। তবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চালু হওয়া অবৈধ সেটগুলোর নেটওয়ার্ক আপাতত বিচ্ছিন্ন করা হবে না। কারণ ওইসব সেট নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করার কোন সিদ্ধান্ত বৈঠকে হয়নি।

হ্যান্ডসেট কেনার আগে করণীয়

আজ থেকে যে কোন মাধ্যমে (বিক্রয় কেন্দ্র, অনলাইন বিক্রয় কেন্দ্র, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদি) মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে অবশ্যই হ্যান্ডসেটটির বৈধতা যাচাই করতে হবে। হ্যান্ডসেটের মেসেজ অপশন থেকে কণউ ও ১৫ ডিজিটের ওগঊও নম্বর লিখে (উদাহরণ স্বরূপ কণউ ১২৩৪৫৬৭৮৯০১২৩৪৫) ১৬০০২ নম্বরে পাঠিয়ে বৈধতা যাচাই করতে হবে। ফিরতি মেসেজ মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া হবে। সেটটি বৈধ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআর সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। পাশাপাশি হ্যান্ডসেটের ক্রয় রসিদও সংরক্ষণ করতে বলছে বিটিআরসি।

বিদেশ থেকে আনা হ্যান্ডসেটের নিবন্ধন

বৈধভাবে বিদেশ থেকে ব্যক্তিগতভাবে আনা, কেনা অথবা উপহার পাওয়া অনুমোদিত সংখ্যক মোবাইল ফোন ব্যবহারের আগে িি.িহবরৎ.নঃৎপ.মড়া.নফ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। এর আগে সেটটি চালু করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তা নেটওয়ার্কে সচল হবে। এ ধরনের গ্রাহককে ১০ দিনের মধ্যে অনলাইনে তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করার জন্য এসএমএস পাঠানো হবে। ১০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন হয়ে গেলে ঐ হ্যান্ডসেট ‘বৈধ’ বিবেচিত হবে। আর তা না হলে হ্যান্ডসেটটি অবৈধ বিবেচনা করে গ্রাহককে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানানো হবে।

হাতের সেটটি বৈধ কি না জানার উপায়

যে কেউ চাইলে তার হাতে থাকা মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা জেনে নিতে পারেন। মোবাইল হ্যান্ডসেটে *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করতে হবে। স্ক্রিনে অপশন এলে ঝঃধঃঁং ঈযবপশ সিলেক্ট করতে হবে। তখন একটি অটোমেটিক বক্স আসবে, সেখানে মোবাইল হ্যান্ডসেটের ১৫ ডিজিটের আইইএমআই নম্বরটি লিখে পাঠাতে হবে। এরপর হ্যাঁ বা ণঊঝ সিলেক্ট করে নিশ্চিত করতে হবে। ফিরতি মেসেজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের হালনাগাদ অবস্থা জানানো হবে।

মূলত দেশে অবৈধ বা নন-চ্যানেল মোবাইল ফোনের প্রবেশ বন্ধ করতে সরকার এনইআইআর সিস্টেম চালু করে। এতে দেশে আসা অবৈধ মোবাইল ফোন বা নন-চ্যানেল ফোন চিহ্নিত করা সহজ হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি সেগুলো চিহ্নিত করে বন্ধের উদ্যোগ নেবে। ফলে দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের বাজার আরও বড় হবে।

অপরদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশা, এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে দেশে মোবাইল ফোনকেন্দ্রীক অপরাধের সংখ্যা কমবে। এ সিস্টেম চালু হলে চুরি বা ছিনতাই হওয়া ফোনে অন্য সিম দিয়ে নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা যাবে না।

সার্বিক বিষয়ে বিটিআরসির কমিশনার (তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা) এ কে এম শহীদুজ্জামান বলেন, ১ অক্টোবর থেকে কোন গ্রাহক নতুন ফোন চালু করতে গেলে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবেন। ফোনটি বৈধ হলে কয়েকটি ধাপ অগ্রসর হলেই সেটি চালু হয়ে যাবে। যদি ফোনটি অবৈধ হয় তাহলে নেটওয়ার্কে চালু করার সময় মেসেজ আসবে। মেসেজের মাধ্যমে ক্রেতাকে জানানো হবে যে ‘তার ফোন সেটটি বৈধ নয়’। কিছুক্ষণের মধ্যে ফোনটি বন্ধ হয়ে যাবে।

এ কে এম শহীদুজ্জামান বলেন, এই মেসেজ ফোন বিক্রেতাকে দেখিয়ে ক্রেতা তার ফোন সেটটি বদলে নিতে পারবেন বা টাকা ফেরত নিতে পারবেন। কোন বিক্রেতা ফোন বদলে না দিলে বা টাকা ফেরত না দিলে ক্রেতার স্বার্থ রাক্ষায় আইনগত ব্যবস্থা নেবে কমিশন। ফলে বিক্রেতারা বুঝবেন, অবৈধ পথে আমদানি করা ফোন আর বিক্রি করা যাবে না। ক্রেতা, বিক্রেতা, উৎপাদক সবার স্বার্থ রক্ষা করাই কমিশনের উদ্দেশ্য।’