একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিয়েও শূন্য বুকে বাড়ি ফিরলেন মা

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জেসমিন খাতুন নামের এক প্রসূতি একসঙ্গে পাঁচ সন্তান প্রসব করেছেন। কিন্তু গতকাল তার পাঁচ নবজাতকই মারা যায়। একসঙ্গে পাঁচ সন্তান জন্ম দিয়েও শূন্য বুকে বাড়ি ফিরলেন মা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে গতকাল দুপুরে বাড়িতেই সাড়ে চার মাস বয়সী একটি বাচ্চার জন্ম দেন জেসমিন (২৪)। এরপর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আরও চারটি বাচ্চার জন্ম দেন জেসমিন। এরপর জেসমিনকে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়। আর চারটি বাচ্চাকে রাখা হয় ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ইনকিউবেটরে। পরে চিকিৎসক বাচ্চাগুলোকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফুলসন বেগম জানান, তাদের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর ছয়রশিয়া গ্রামে। পাঁচ বছর আগে কাবাতুল্লাহ সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেন। এবারই প্রথম গর্ভধারণ করেছিলেন তার মেয়ে। বাড়িতে প্রথমে তার একটি মেয়ে সন্তান হয়। সেটি বাড়িতেই মারা গেছে। এরপর হাসপাতালে নেয়ার পর চারটি ছেলে সন্তান হয়েছে।

২৪ নম্বর ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাফিদ মোস্তফা বলেন, মাত্র সাড়ে চার মাস বয়স হয়েছিল বাচ্চাগুলোর। সবগুলোই প্রি-ম্যাচিউরড বেবি। এগুলোকে কোনভাবেই বাঁচানো সম্ভব ছিল না। বিকেল ৩টার দিকে অস্ত্রোপচারের পর ৫টার মধ্যেই বাচ্চা চারটি মারা গেছে।

শুক্রবার, ০১ অক্টোবর ২০২১ , ১৬ আশ্বিন ১৪২৮ ২২ সফর ১৪৪৩

একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিয়েও শূন্য বুকে বাড়ি ফিরলেন মা

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জেসমিন খাতুন নামের এক প্রসূতি একসঙ্গে পাঁচ সন্তান প্রসব করেছেন। কিন্তু গতকাল তার পাঁচ নবজাতকই মারা যায়। একসঙ্গে পাঁচ সন্তান জন্ম দিয়েও শূন্য বুকে বাড়ি ফিরলেন মা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে গতকাল দুপুরে বাড়িতেই সাড়ে চার মাস বয়সী একটি বাচ্চার জন্ম দেন জেসমিন (২৪)। এরপর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আরও চারটি বাচ্চার জন্ম দেন জেসমিন। এরপর জেসমিনকে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়। আর চারটি বাচ্চাকে রাখা হয় ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ইনকিউবেটরে। পরে চিকিৎসক বাচ্চাগুলোকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফুলসন বেগম জানান, তাদের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর ছয়রশিয়া গ্রামে। পাঁচ বছর আগে কাবাতুল্লাহ সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেন। এবারই প্রথম গর্ভধারণ করেছিলেন তার মেয়ে। বাড়িতে প্রথমে তার একটি মেয়ে সন্তান হয়। সেটি বাড়িতেই মারা গেছে। এরপর হাসপাতালে নেয়ার পর চারটি ছেলে সন্তান হয়েছে।

২৪ নম্বর ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাফিদ মোস্তফা বলেন, মাত্র সাড়ে চার মাস বয়স হয়েছিল বাচ্চাগুলোর। সবগুলোই প্রি-ম্যাচিউরড বেবি। এগুলোকে কোনভাবেই বাঁচানো সম্ভব ছিল না। বিকেল ৩টার দিকে অস্ত্রোপচারের পর ৫টার মধ্যেই বাচ্চা চারটি মারা গেছে।