সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ফিরেছে শেয়ারবাজারে

আগের সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও (২৬-৩০ সেপ্টেম্বর) উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন। তবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। আর উত্থানের কারণে সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ফিরে পেয়েছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬ কোটি ৫৮ লাখ ২৮ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৮১ হাজার ৫৪৩ কোটি ১২ লাখ ২৯ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা চার হাজার ৫০৬ কোটি ৫৪ লাখ ১ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরেছে।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১১ হাজার ১৪৫ কোটি ৬৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৪ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯ হাজার ৭০৯ কোটি ৪৯ লাখ ২৮ হাজার ৮১১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন এক হাজার ৪৩৬ কোটি ১৮ লাখ ১৮ হাজার ৫২৩ টাকা বা ১৫ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৮.৪৪ পয়েন্ট বা ১.০৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৩২৯.০৪ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১১.০৪ পয়েন্ট বা ০.৯০ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৬.৯৭ পয়েন্ট বা ১.৩৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৫৯২.১০ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৭১০.৫৩ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৬টির বা ৩৮.৬২ শতাংশের, কমেছে ২২১টির বা ৫৮.৪৭ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির বা ২.৯১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪৫৫ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ৯৩৭ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩২৫ কোটি ৮০ লাখ ৪০৭। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ১৩০ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার ৫৩০ টাকা বা ৪০ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৩১.০১ পয়েন্ট বা ১.০৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৩৭৭.০৭ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৪৮.৩২ পয়েন্ট বা ১.১৬ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ১৪৬.৫১ পয়েন্ট বা ০.৯৫ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২২.০৪ পয়েন্ট বা ১.৪৩ শতাংশ এবং সিএসআই ১৭.৯৯ পয়েন্ট বা ১.৩৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ৮৩৫.৫৩ পয়েন্টে, ১৫ হাজার ৪৭৮.৪২ পয়েন্টে, ১ হাজার ৫৬৭.৯৫ পয়েন্টে এবং এক হাজার ৩৬৭.৪৯ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৭টির বা ৪২.৬১ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৮৬টির বা ৫৩.৯১ শতাংশের কমেছে এবং ১২টির বা ৩.৪৮ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) প্রায় তিন শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ২০.৭১ পয়েন্টে যা সপ্তাহ শেষে ২০.১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৬০ পয়েন্ট বা ২.৯০ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৭৬ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৩২.২০ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৪৯.৭৯ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২১.২৯ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৬.৯২ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২২.১৮ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৩৫.৭৭ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৩৭.২১ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৩.৬১ শতাংশ, চামড়া খাতের ১৪৫.৮৩ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩২.১০ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ১২৪.২১ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৪২২.২৪ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৫০.১১ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৪.৭২ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ৩৫.৩২ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৩৬.২১ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৪১.১৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

শনিবার, ০২ অক্টোবর ২০২১ , ১৭ আশ্বিন ১৪২৮ ২৩ সফর ১৪৪৩

সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ফিরেছে শেয়ারবাজারে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

আগের সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও (২৬-৩০ সেপ্টেম্বর) উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন। তবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। আর উত্থানের কারণে সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ফিরে পেয়েছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬ কোটি ৫৮ লাখ ২৮ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৮১ হাজার ৫৪৩ কোটি ১২ লাখ ২৯ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা চার হাজার ৫০৬ কোটি ৫৪ লাখ ১ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরেছে।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১১ হাজার ১৪৫ কোটি ৬৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৪ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯ হাজার ৭০৯ কোটি ৪৯ লাখ ২৮ হাজার ৮১১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন এক হাজার ৪৩৬ কোটি ১৮ লাখ ১৮ হাজার ৫২৩ টাকা বা ১৫ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৮.৪৪ পয়েন্ট বা ১.০৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৩২৯.০৪ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১১.০৪ পয়েন্ট বা ০.৯০ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৬.৯৭ পয়েন্ট বা ১.৩৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৫৯২.১০ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৭১০.৫৩ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৬টির বা ৩৮.৬২ শতাংশের, কমেছে ২২১টির বা ৫৮.৪৭ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির বা ২.৯১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪৫৫ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ৯৩৭ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩২৫ কোটি ৮০ লাখ ৪০৭। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ১৩০ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার ৫৩০ টাকা বা ৪০ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৩১.০১ পয়েন্ট বা ১.০৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৩৭৭.০৭ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৪৮.৩২ পয়েন্ট বা ১.১৬ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ১৪৬.৫১ পয়েন্ট বা ০.৯৫ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২২.০৪ পয়েন্ট বা ১.৪৩ শতাংশ এবং সিএসআই ১৭.৯৯ পয়েন্ট বা ১.৩৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ৮৩৫.৫৩ পয়েন্টে, ১৫ হাজার ৪৭৮.৪২ পয়েন্টে, ১ হাজার ৫৬৭.৯৫ পয়েন্টে এবং এক হাজার ৩৬৭.৪৯ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৭টির বা ৪২.৬১ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৮৬টির বা ৫৩.৯১ শতাংশের কমেছে এবং ১২টির বা ৩.৪৮ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) প্রায় তিন শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ২০.৭১ পয়েন্টে যা সপ্তাহ শেষে ২০.১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৬০ পয়েন্ট বা ২.৯০ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৭৬ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৩২.২০ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৪৯.৭৯ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২১.২৯ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৬.৯২ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২২.১৮ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৩৫.৭৭ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৩৭.২১ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৩.৬১ শতাংশ, চামড়া খাতের ১৪৫.৮৩ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩২.১০ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ১২৪.২১ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৪২২.২৪ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৫০.১১ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৪.৭২ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ৩৫.৩২ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৩৬.২১ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৪১.১৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।