টিকার নিবন্ধন গিয়ে জানলেন তারা ‘মৃত’!

সৈয়দপুর শহরের ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ স্বাস্থ্য বিভাগের করোনা টিকার সুরক্ষা অ্যাপে নাম নিবন্ধন করতে গিয়ে জানতে পারলেন তিনি ‘মৃত’। এ ঘটনায় তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা হতবাক হয়ে যান। কীভাবে জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত হিসেবে নাম উঠল তা তারা জানেন না। একই ঘটনা ঘটেছে বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের সোনাখুলী মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা সাইদুলের ক্ষেত্রে।

জানা গেছে, শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার মৃত পল্লব দাসের ছেলে নিতাই চন্দ্র দাস বাদ্যযন্ত্র মেরামতের কাজ করেন। তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ৩৭২৩৬৫৪৪৫৯। তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে শহরের একটি কম্পিউটার দোকানে করোনা টিকার নাম নিবন্ধন করতে যান। কিন্তু একাধিকবার চেষ্টা করেও নিবন্ধন করা করতে পারেননি। এ জন্য তিনি টিকা নিতে পারছেন না। শুধু তাই নয়। বয়স্কভাতার জন্যও আবেদন করতে পারেননি তিনি।

এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের সোনাখুলী মুন্সিপাড়া মৃত. হরফ মামুদ এর ছেলে মো. সাইদুলও। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক। তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ৭৩১৮৫২৭০৯৮১১৫।

ভুক্তভোগী সাইদুল বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রে আমাকে ‘মৃত’ দেখানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহকারীদের গাফিলতির কারণে এমনটা হয়েছে।

দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চান সাইদুল।

সূত্রমতে, নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ করা তালিকায় এ দুই ব্যক্তিকে মৃত হিসেবে দেখানো হয়। অথচ তারা ২০০৮ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছিলেন। স্মার্ট কার্ডও পেয়েছেন তারা।

জীবিত থেকেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তাদের মৃত দেখানোর বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসী হতবাক হয়েছেন।

জানতে চাইলে, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম জানান, প্রশিক্ষণের জন্য তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। তার দাবি, মাঠপর্যায়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণের কাজে সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহকারীদের ভুলে ওই দু’ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত তালিকায় নাম লিপিবদ্ধ হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করলে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধন করা হবে বলে তিনি জানান।

শনিবার, ০২ অক্টোবর ২০২১ , ১৭ আশ্বিন ১৪২৮ ২৩ সফর ১৪৪৩

টিকার নিবন্ধন গিয়ে জানলেন তারা ‘মৃত’!

প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নীলফামারী)

সৈয়দপুর শহরের ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ স্বাস্থ্য বিভাগের করোনা টিকার সুরক্ষা অ্যাপে নাম নিবন্ধন করতে গিয়ে জানতে পারলেন তিনি ‘মৃত’। এ ঘটনায় তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা হতবাক হয়ে যান। কীভাবে জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত হিসেবে নাম উঠল তা তারা জানেন না। একই ঘটনা ঘটেছে বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের সোনাখুলী মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা সাইদুলের ক্ষেত্রে।

জানা গেছে, শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার মৃত পল্লব দাসের ছেলে নিতাই চন্দ্র দাস বাদ্যযন্ত্র মেরামতের কাজ করেন। তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ৩৭২৩৬৫৪৪৫৯। তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে শহরের একটি কম্পিউটার দোকানে করোনা টিকার নাম নিবন্ধন করতে যান। কিন্তু একাধিকবার চেষ্টা করেও নিবন্ধন করা করতে পারেননি। এ জন্য তিনি টিকা নিতে পারছেন না। শুধু তাই নয়। বয়স্কভাতার জন্যও আবেদন করতে পারেননি তিনি।

এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের সোনাখুলী মুন্সিপাড়া মৃত. হরফ মামুদ এর ছেলে মো. সাইদুলও। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক। তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ৭৩১৮৫২৭০৯৮১১৫।

ভুক্তভোগী সাইদুল বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রে আমাকে ‘মৃত’ দেখানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহকারীদের গাফিলতির কারণে এমনটা হয়েছে।

দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চান সাইদুল।

সূত্রমতে, নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ করা তালিকায় এ দুই ব্যক্তিকে মৃত হিসেবে দেখানো হয়। অথচ তারা ২০০৮ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছিলেন। স্মার্ট কার্ডও পেয়েছেন তারা।

জীবিত থেকেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তাদের মৃত দেখানোর বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসী হতবাক হয়েছেন।

জানতে চাইলে, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম জানান, প্রশিক্ষণের জন্য তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। তার দাবি, মাঠপর্যায়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণের কাজে সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহকারীদের ভুলে ওই দু’ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত তালিকায় নাম লিপিবদ্ধ হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করলে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধন করা হবে বলে তিনি জানান।