নদী ভাঙনের পর চর জাগলে ফেরত পায় না জমির মালিকরা

নদী ভাঙনের পর ভুক্তভোগীরা অন্যত্র চলে যান, কেউ আবার শহরে পাড়ি জমান। কিন্তু নদীতে পুনরায় যখন চর জাগে তখন তাদের জমি তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয় না। বরং ‘আইনি প্যাঁচে’ তা খাস জমির নামে সেই জায়গা ভোগ করে সরকারি লোক বা প্রভাবশালীরা। এই আইন জনগণের কল্যাণে আসে না দাবি করে তা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

গতকাল ‘খাস আইন বাতিল সংগ্রাম কমিটি’র ব্যানারে রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে সাবেক ছাত্র ইউনিয়নের নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, নদী ভাঙন ও গড়নের ফলে আইনের মারপ্যাঁচে পড়ে নিজের জমি আর নিজের থাকে না। অথচ নিজের জমি ফেরত পাওয়া এই নদী ভাঙনে লোকদের অধিকার। তাই তাদের জমি বুঝিয়ে দেয়ার পরে বাকি জমি খাস করা হোক এবং সেই জমি গরিব মানুষকে বিলিয়ে দেয়া হোক।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের কৃষক, শ্রমিক, প্রবাসীদের কল্যাণে এই দেশে এতো উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু আজ লুটেরা ব্যবসায়ী, আমলারা তাদের নতুন নিয়ম করে তাদের জমি কেড়ে নেয়, তাদের টাকা আত্মসাৎ করে।

মানববন্ধনে যেসব দাবি তোলা হয়

১. অবিলম্বে নদী সিকস্তি অঞ্চলে ডিএস, সিএস, এসএ, আরএস রেকর্ড এবং চিটার ভলিউম দেখে প্রজাস্বত্ব বহাল ও খাজনা-খারিজ চালু করতে হবে।

২. ‘ভূমি আইন-২০২০’-এ উল্লেখিত সিকস্তি জমিতে প্রজাস্বত্ব বলবৎ থাকার সময়সীমা ৩০ বছর তুলে দিয়ে ‘যখনই চর জেগে উঠবে তখনই চলতি কর পরিশোধ সাপেক্ষে প্রজাস্বত্ব বহাল করতে হবে’ মর্মে আইন পাস করতে হবে।

৩. বিশেষজ্ঞ সমীক্ষা, নদীর সীমানা নির্ধারণ, ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা, পাড় ও ঢালু সঠিক রেখে নদীর ড্রেজিং করা এবং নদী খননের নামে বালু ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।

৪. নদী ভাঙন রোধে ও জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

৫. নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

মানববন্ধনে প্রবীণ কৃষক নেতা আবদুল কাদের চাকলাদার, সংগ্রাম কমিটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কৃষক নেতা জাহিদ হোসেন খান, ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি ডা. ফজলুর রহমান, তেল-গ্যাস বিদ্যুৎ-বন্দর ও সুন্দরবন রক্ষায় জাতীয় কমিটির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল প্রমুখ।

image

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারানো কৃষক জনতার দাবি আদায়ের মানববন্ধন -সংবাদ

আরও খবর
বেড়েছে তেল-সবজি মুরগির দাম
বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ, বিজ্ঞাপনমুক্ত চ্যানেল চায়
করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত আরও কমেছে
নদী বাঁচাতে সেতুর পরিবর্তে টানেল নির্মাণে জোর দেয়া হচ্ছে
২০ দলীয় জোট ছাড়লো খেলাফতে মজলিস
ঢাবি ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন প্রতি আসনে ৬৪ শিক্ষার্থীর লড়াই
জয়ের ব্যাপারে আত্মপ্রত্যয়ী মমতা
ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি
স্বেচ্ছায় রক্তদানের দৃষ্টান্ত গড়ল বরিশালের তন্ময়
ভাইয়ের বিরুদ্ধে কাদের মির্জার বিষোদ্গার
রংপুর সিটিতে টেন্ডার ছাড়াই চলছে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা নির্মাণ

শনিবার, ০২ অক্টোবর ২০২১ , ১৭ আশ্বিন ১৪২৮ ২৩ সফর ১৪৪৩

নদী ভাঙনের পর চর জাগলে ফেরত পায় না জমির মালিকরা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারানো কৃষক জনতার দাবি আদায়ের মানববন্ধন -সংবাদ

নদী ভাঙনের পর ভুক্তভোগীরা অন্যত্র চলে যান, কেউ আবার শহরে পাড়ি জমান। কিন্তু নদীতে পুনরায় যখন চর জাগে তখন তাদের জমি তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয় না। বরং ‘আইনি প্যাঁচে’ তা খাস জমির নামে সেই জায়গা ভোগ করে সরকারি লোক বা প্রভাবশালীরা। এই আইন জনগণের কল্যাণে আসে না দাবি করে তা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

গতকাল ‘খাস আইন বাতিল সংগ্রাম কমিটি’র ব্যানারে রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে সাবেক ছাত্র ইউনিয়নের নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, নদী ভাঙন ও গড়নের ফলে আইনের মারপ্যাঁচে পড়ে নিজের জমি আর নিজের থাকে না। অথচ নিজের জমি ফেরত পাওয়া এই নদী ভাঙনে লোকদের অধিকার। তাই তাদের জমি বুঝিয়ে দেয়ার পরে বাকি জমি খাস করা হোক এবং সেই জমি গরিব মানুষকে বিলিয়ে দেয়া হোক।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের কৃষক, শ্রমিক, প্রবাসীদের কল্যাণে এই দেশে এতো উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু আজ লুটেরা ব্যবসায়ী, আমলারা তাদের নতুন নিয়ম করে তাদের জমি কেড়ে নেয়, তাদের টাকা আত্মসাৎ করে।

মানববন্ধনে যেসব দাবি তোলা হয়

১. অবিলম্বে নদী সিকস্তি অঞ্চলে ডিএস, সিএস, এসএ, আরএস রেকর্ড এবং চিটার ভলিউম দেখে প্রজাস্বত্ব বহাল ও খাজনা-খারিজ চালু করতে হবে।

২. ‘ভূমি আইন-২০২০’-এ উল্লেখিত সিকস্তি জমিতে প্রজাস্বত্ব বলবৎ থাকার সময়সীমা ৩০ বছর তুলে দিয়ে ‘যখনই চর জেগে উঠবে তখনই চলতি কর পরিশোধ সাপেক্ষে প্রজাস্বত্ব বহাল করতে হবে’ মর্মে আইন পাস করতে হবে।

৩. বিশেষজ্ঞ সমীক্ষা, নদীর সীমানা নির্ধারণ, ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা, পাড় ও ঢালু সঠিক রেখে নদীর ড্রেজিং করা এবং নদী খননের নামে বালু ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।

৪. নদী ভাঙন রোধে ও জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

৫. নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

মানববন্ধনে প্রবীণ কৃষক নেতা আবদুল কাদের চাকলাদার, সংগ্রাম কমিটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কৃষক নেতা জাহিদ হোসেন খান, ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি ডা. ফজলুর রহমান, তেল-গ্যাস বিদ্যুৎ-বন্দর ও সুন্দরবন রক্ষায় জাতীয় কমিটির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল প্রমুখ।