আগামী মার্চের মধ্যে ৮ ভাগ মানুষ টিকার আওতায় আসবে

আগামী মার্চ মাসের মধ্যে দেশের ৮০ ভাগ মানুষ করোনা টিকার আওতায় চলে আসবে। এর মধ্যে ১২-১৮ বছরের শিক্ষার্থীরাও থাকবে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা রেখে একাডেমিক কোর্সের মেয়াদ ও সিলেবাস কমানো যেতে পারে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের টিকার আওতায় আনতে হবে। সেক্ষেত্রে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকি বিবেচনায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা প্রদানসহ করোনা আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সরকারিভাবে বিনামূল্যে করা উচিৎ।

গতকাল এফডিসিতে ‘করোনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে কি না’ তা নিয়ে ছায়া সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ছায়া সংসদ বিতর্ক অনুষ্ঠানে বিচারক ছিলেন, অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক আতাউর রহমান কাবুল, জিনিয়া কবির সূচনা ও ফালগুনী রশীদ।

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পূর্বেই ২ ডোজ ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে পারলে ভালো হতো। তা না হলে শিক্ষা কার্যক্রম ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। সরকারের করোনা খাতে যথেষ্ট বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ ও প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়নি। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাস নেয়াসহ সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা বাস্তবায়নের সক্ষমতা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ভয়ে কভিড আক্রান্তের তথ্য গোপন করা হচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে।

ওই সময় ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির পক্ষ থেকে ৮ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী কেনার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ বিশেষ অর্থ বরাদ্দ দেয়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র‌্যাপিড টেস্টের ব্যবস্থা রাখা, জরুরি প্রয়োজনের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসোলেশন কক্ষ, অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখা, শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা পরিবহন ব্যবস্থা করা, পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের মেয়াদ কমিয়ে ১০ মাসে সমাপ্ত করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ভ্যাকসিন প্রদান, করোনা আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর চিকিৎসা খরচ সরকারিভাবে বহন করা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ সেল গঠন করা।

এছাড়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

শনিবার, ০২ অক্টোবর ২০২১ , ১৭ আশ্বিন ১৪২৮ ২৩ সফর ১৪৪৩

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির ছায়া সংসদ

আগামী মার্চের মধ্যে ৮ ভাগ মানুষ টিকার আওতায় আসবে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আগামী মার্চ মাসের মধ্যে দেশের ৮০ ভাগ মানুষ করোনা টিকার আওতায় চলে আসবে। এর মধ্যে ১২-১৮ বছরের শিক্ষার্থীরাও থাকবে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা রেখে একাডেমিক কোর্সের মেয়াদ ও সিলেবাস কমানো যেতে পারে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের টিকার আওতায় আনতে হবে। সেক্ষেত্রে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকি বিবেচনায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা প্রদানসহ করোনা আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সরকারিভাবে বিনামূল্যে করা উচিৎ।

গতকাল এফডিসিতে ‘করোনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে কি না’ তা নিয়ে ছায়া সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ছায়া সংসদ বিতর্ক অনুষ্ঠানে বিচারক ছিলেন, অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক আতাউর রহমান কাবুল, জিনিয়া কবির সূচনা ও ফালগুনী রশীদ।

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পূর্বেই ২ ডোজ ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে পারলে ভালো হতো। তা না হলে শিক্ষা কার্যক্রম ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। সরকারের করোনা খাতে যথেষ্ট বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ ও প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়নি। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাস নেয়াসহ সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা বাস্তবায়নের সক্ষমতা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ভয়ে কভিড আক্রান্তের তথ্য গোপন করা হচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে।

ওই সময় ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির পক্ষ থেকে ৮ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী কেনার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ বিশেষ অর্থ বরাদ্দ দেয়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র‌্যাপিড টেস্টের ব্যবস্থা রাখা, জরুরি প্রয়োজনের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসোলেশন কক্ষ, অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখা, শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা পরিবহন ব্যবস্থা করা, পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের মেয়াদ কমিয়ে ১০ মাসে সমাপ্ত করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ভ্যাকসিন প্রদান, করোনা আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর চিকিৎসা খরচ সরকারিভাবে বহন করা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ সেল গঠন করা।

এছাড়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।