দেশের ৪০ ভাগ মানুষের জন্য টিকা পাঠাবে ডব্লিউএইচও -স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আরও ২৫ লাখ ফাইজারের টিকা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষের জন্য কোভ্যাক্স থেকে টিকা দেয়ার কথা থাকলে তা বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। সে হিসীবে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজের পরিবর্তে কোভ্যাক্স থেকে ১৩ কোটি ৬০ লাখ টিকা পাবে বাংলাদেশ। গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ নভেম্বর ‘করোনা এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক হালনাগাদ তথ্য অবহিতকরণ সভা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল, কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ৬৮ মিলিয়ন বা ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ করোনার টিকা পাবে বাংলাদেশ।

এবার বাংলাদেশের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সেই টিকার সংখ্যা দ্বিগুণ করলো কোভ্যাক্স।

কোভ্যাক্সের পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ছাড়াও উদ্যোগটির সঙ্গে রয়েছে ‘কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন’ এবং দাতব্য সংস্থা ‘গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই)’। কোভ্যাক্সের লক্ষ্য হচ্ছে, ভ্যাকসিন মজুত করে না রেখে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সর্বোচ্চ ঝুঁকির দেশগুলোতে তা বণ্টন করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারকে উৎসাহিত করা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম টিকার সংখ্যা দ্বিগুণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাডানম গেব্রিয়াসিসের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী জাহিদ মালেক এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেন।

সেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক আলোচনার প্রথম পর্যায়ে ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় দেশের ২০ ভাগ মানুষের জন্য টিকা পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু দেশের জনসংখ্যা অনুযায়ী আমরা ৪০ ভাগ মানুষের জন্য টিকা পাঠানোর অনুরোধ জানালে তিনি পর্যায়ক্রমে দ্রুতই সেটা পাঠাতে সম্মত হয়েছেন।

আশা করা যাচ্ছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় দেশের ২০ ভাগ মানুষের জন্য এবং খুব অল্প সময়েই দেশের ৪০ ভাগ মানুষের জন্য কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় টিকা পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি অন্যান্য মাধ্যম থেকেও টিকা কেনার কাজ চলবে।

বিবৃতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, বৈঠকে বাংলাদেশে টিকা উৎপাদনের জন্য কারিগরি সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের কাছে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ফাইজার ও মডার্নার টিকা আরও বেশি পরিমাণে পাওয়ার অনুরোধ জানালে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে বলেও তাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।

রবিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২১ , ১৮ আশ্বিন ১৪২৮ ২৪ সফর ১৪৪৩

দেশের ৪০ ভাগ মানুষের জন্য টিকা পাঠাবে ডব্লিউএইচও -স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আরও ২৫ লাখ ফাইজারের টিকা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষের জন্য কোভ্যাক্স থেকে টিকা দেয়ার কথা থাকলে তা বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। সে হিসীবে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজের পরিবর্তে কোভ্যাক্স থেকে ১৩ কোটি ৬০ লাখ টিকা পাবে বাংলাদেশ। গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ নভেম্বর ‘করোনা এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক হালনাগাদ তথ্য অবহিতকরণ সভা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল, কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ৬৮ মিলিয়ন বা ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ করোনার টিকা পাবে বাংলাদেশ।

এবার বাংলাদেশের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সেই টিকার সংখ্যা দ্বিগুণ করলো কোভ্যাক্স।

কোভ্যাক্সের পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ছাড়াও উদ্যোগটির সঙ্গে রয়েছে ‘কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন’ এবং দাতব্য সংস্থা ‘গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই)’। কোভ্যাক্সের লক্ষ্য হচ্ছে, ভ্যাকসিন মজুত করে না রেখে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সর্বোচ্চ ঝুঁকির দেশগুলোতে তা বণ্টন করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারকে উৎসাহিত করা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম টিকার সংখ্যা দ্বিগুণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাডানম গেব্রিয়াসিসের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী জাহিদ মালেক এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেন।

সেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক আলোচনার প্রথম পর্যায়ে ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় দেশের ২০ ভাগ মানুষের জন্য টিকা পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু দেশের জনসংখ্যা অনুযায়ী আমরা ৪০ ভাগ মানুষের জন্য টিকা পাঠানোর অনুরোধ জানালে তিনি পর্যায়ক্রমে দ্রুতই সেটা পাঠাতে সম্মত হয়েছেন।

আশা করা যাচ্ছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় দেশের ২০ ভাগ মানুষের জন্য এবং খুব অল্প সময়েই দেশের ৪০ ভাগ মানুষের জন্য কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় টিকা পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি অন্যান্য মাধ্যম থেকেও টিকা কেনার কাজ চলবে।

বিবৃতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, বৈঠকে বাংলাদেশে টিকা উৎপাদনের জন্য কারিগরি সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের কাছে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ফাইজার ও মডার্নার টিকা আরও বেশি পরিমাণে পাওয়ার অনুরোধ জানালে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে বলেও তাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।