টাঙ্গাইলে ১২৪২ শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার

লতা, রানী, সুর্বণাসহ অন্য বান্ধবীরা স্কুলমাঠে বসে গল্প করছে। এদের গল্পের আসরে থাকার কথা ছিল বান্ধবী আশারও। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যেই দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আশা বাল্যবিয়ের শিকার হয়। এ জন্য আশা এখন আর স্কুলে আসে না। তাই অন্য বান্ধবীদের মন খারাপ।

এমন চিত্র এখন জেলার অনেক স্কুলের। করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সরকারি হিসাবে টাঙ্গাইল জেলার বিদ্যালয়গুলোর ১২৪২ শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে দুই ছেলে শিক্ষার্থীও রয়েছে। তবে বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা ৫ হাজারের ওপরে। এলাকাবাসী বলছে, অভাব-অনটনসহ নানা সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতার কারণে স্বজনরা তাদের বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। গ্রামগুলোতে গোপনীয়তার সঙ্গেই এ বাল্য বিয়ে দেয়া হয়েছে। জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে কালিহাতী উপজেলায় সবার্ধিক ২২৯ জন বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার কালিহাতী উপজেলায় ২২৯, দেলদুয়ার উপজেলায় ২২৮, ধনবাড়ী উপজেলায় ১৫৩, সখীপুর উপজেলায় ১৪৩ জনের মধ্যে দুই ছেলে শিক্ষার্থী রয়েছে। এ ছাড়া মধুপুর উপজেলায় ১১৮, নাগরপুর উপজেলায় ১১৪, টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৮৮, গোপালপুর উপজেলায় ৫৬, ঘাটাইল উপজেলায় ৪৯, বাসাইল উপজেলায় ৪৪, ভূঞাপুর উপজেলায় ১৪ এবং মির্জাপুর উপজেলায় ৬ জন শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া হাবিব কাদের উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৫৬ জন। এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করে ৩৫৯ জন। সরকারি ঘোষণার পর বিদ্যালয় খুললেও দুই শতাধিক শিক্ষার্থী স্কুলে উপস্থিত হয়। বাকিরা অনুপস্থিত থাকে। ক্লাস ও বোর্ডে অ্যাসাইমেন্ট নম্বর পাঠানোর কারণে ছাত্রীদের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাল্যবিয়ের শিকার ছাত্রীদের পরিবার বিভিন্ন এলাকার কাজী দিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করেছেন। অনেকে আবার রেজিস্ট্রি ছাড়াই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন।

এ ছাড়া নদীভাঙনকবলিত এলাকায় গ্রামের অধিকাংশ পরিবার খুবই দরিদ্র। কৃষিকাজ করে সংসার চালায়। এ কাজ করে মেয়ের লেখাপড়া চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সময় নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের বাল্যবিয়ে দিয়ে দিয়েছে।

স্থানীয় যুবক খালেদ মিয়া বলেন, গ্রামের মানুষ অভাবগ্রস্ত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। এ সময়ে স্কুলের ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

কলেজছাত্র তানভীর হাসান বলেন, আমাদের এলাকায় বাল্যবিয়ের প্রধান কারণ হচ্ছে দারিদ্র্য, অসচেতনতা। গ্রামের মানুষ মেয়েদের বিয়ে দিতে পারলেই মনে করে যে রক্ষা পেলাম।

এসএসসি পরীক্ষার্থী বিলকিস আক্তার বলেন, করোনায় স্কুল দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় আমার অনেক বান্ধবীর বিয়ে হয়ে গেছে।

আমেনা আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় বান্ধবী, স্যার, ম্যাডামদের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না। এখন স্কুল খোলার পর দেখি আমাদের অনেক বান্ধবী নেই। পরে শুনি তারা বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। আমাদের এখন একটাই চাওয়া, সরকার যেন বাল্যবিয়ে রোধ করে।

জান্নাত খাতুন বলেন, বাল্যবিয়ে ঠেকাতে হলে বাবা-মাসহ আমাদের সচেতন হতে হবে।

সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, সরকার স্কুল খোলার অনুমতি দেয়ার পর আমার স্কুলে ছাত্রীদের উপস্থিতি কম দেখি। পরে জানতে পারি, স্কুলের কিছু ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। কিছু অবিভাবক আছে যারা লেখাপড়া জানে না, তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই। তারা ভাবে মেয়ে যত বড় হবে, বিয়ে দিতে তত বেশি টাকা লাগবে। এর জন্যই তারা মেয়েদের অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দেয়। অন্য স্কুলের সহকারী শিক্ষক ইদ্রিস মিয়া বলেন, করোনাকালে বাল্যবিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত, গ্রামাঞ্চলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণে অবিভাবকরা তাদের মেয়েদের বিয়ে দেয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। করোনার কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় আমরা অবিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি।

এর জন্যই বেশি সংখ্যক মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

সহকারী শিক্ষিকা মাহামুদা খাতুন বলেন, এই এলাকা নদীভাঙন এলাকা। অশিক্ষিত বাবা-মা মনে করে যে, তাদের সন্তানকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে পারলে একটু ঝামেলা দূর হলো। এখন যেহেতু স্কুল খোলা, অভিভাবকদের সঙ্গে আমরা কাউন্সিল করতে পারব। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করতে পারব।

হাবিব কাদের উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীম আল মামুন জুয়েল বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েসহ অভিভাবকদের সচেতন করি, বাল্যবিয়ে রোধ করার চেষ্টা করি। দীর্ঘ দেড় বছর বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে ছাত্রছাত্রীসহ অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি নাই। সে কারণে কিছু মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। আমরা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটি আবার মিটিং করেছি এবং অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, যাতে করে কেউ বাল্যবিয়ের শিকার আর না হয়। অভিভাবকসহ এলাকার লোকজনের সচেতন হতে হবে। ইতোমধ্যে যারা ঝরে পড়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিদ্যালয়ে আনার চেষ্টা করব।

টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা খানম বলেন, টাঙ্গাইলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৮৮ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত আছে। উপস্থিতি দিনদিন বাড়ছে। আমরা কিছু বাল্যবিয়ের ঘটনা শুনতে পাচ্ছি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খোঁজও নিয়েছি। আশা করছি, এদেরকে আমরা কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনতে পারব।

রবিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২১ , ১৮ আশ্বিন ১৪২৮ ২৪ সফর ১৪৪৩

করোনার বন্ধে

টাঙ্গাইলে ১২৪২ শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল

লতা, রানী, সুর্বণাসহ অন্য বান্ধবীরা স্কুলমাঠে বসে গল্প করছে। এদের গল্পের আসরে থাকার কথা ছিল বান্ধবী আশারও। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যেই দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আশা বাল্যবিয়ের শিকার হয়। এ জন্য আশা এখন আর স্কুলে আসে না। তাই অন্য বান্ধবীদের মন খারাপ।

এমন চিত্র এখন জেলার অনেক স্কুলের। করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সরকারি হিসাবে টাঙ্গাইল জেলার বিদ্যালয়গুলোর ১২৪২ শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে দুই ছেলে শিক্ষার্থীও রয়েছে। তবে বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা ৫ হাজারের ওপরে। এলাকাবাসী বলছে, অভাব-অনটনসহ নানা সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতার কারণে স্বজনরা তাদের বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। গ্রামগুলোতে গোপনীয়তার সঙ্গেই এ বাল্য বিয়ে দেয়া হয়েছে। জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে কালিহাতী উপজেলায় সবার্ধিক ২২৯ জন বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার কালিহাতী উপজেলায় ২২৯, দেলদুয়ার উপজেলায় ২২৮, ধনবাড়ী উপজেলায় ১৫৩, সখীপুর উপজেলায় ১৪৩ জনের মধ্যে দুই ছেলে শিক্ষার্থী রয়েছে। এ ছাড়া মধুপুর উপজেলায় ১১৮, নাগরপুর উপজেলায় ১১৪, টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৮৮, গোপালপুর উপজেলায় ৫৬, ঘাটাইল উপজেলায় ৪৯, বাসাইল উপজেলায় ৪৪, ভূঞাপুর উপজেলায় ১৪ এবং মির্জাপুর উপজেলায় ৬ জন শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া হাবিব কাদের উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৫৬ জন। এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করে ৩৫৯ জন। সরকারি ঘোষণার পর বিদ্যালয় খুললেও দুই শতাধিক শিক্ষার্থী স্কুলে উপস্থিত হয়। বাকিরা অনুপস্থিত থাকে। ক্লাস ও বোর্ডে অ্যাসাইমেন্ট নম্বর পাঠানোর কারণে ছাত্রীদের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাল্যবিয়ের শিকার ছাত্রীদের পরিবার বিভিন্ন এলাকার কাজী দিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করেছেন। অনেকে আবার রেজিস্ট্রি ছাড়াই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন।

এ ছাড়া নদীভাঙনকবলিত এলাকায় গ্রামের অধিকাংশ পরিবার খুবই দরিদ্র। কৃষিকাজ করে সংসার চালায়। এ কাজ করে মেয়ের লেখাপড়া চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সময় নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের বাল্যবিয়ে দিয়ে দিয়েছে।

স্থানীয় যুবক খালেদ মিয়া বলেন, গ্রামের মানুষ অভাবগ্রস্ত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। এ সময়ে স্কুলের ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

কলেজছাত্র তানভীর হাসান বলেন, আমাদের এলাকায় বাল্যবিয়ের প্রধান কারণ হচ্ছে দারিদ্র্য, অসচেতনতা। গ্রামের মানুষ মেয়েদের বিয়ে দিতে পারলেই মনে করে যে রক্ষা পেলাম।

এসএসসি পরীক্ষার্থী বিলকিস আক্তার বলেন, করোনায় স্কুল দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় আমার অনেক বান্ধবীর বিয়ে হয়ে গেছে।

আমেনা আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় বান্ধবী, স্যার, ম্যাডামদের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না। এখন স্কুল খোলার পর দেখি আমাদের অনেক বান্ধবী নেই। পরে শুনি তারা বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। আমাদের এখন একটাই চাওয়া, সরকার যেন বাল্যবিয়ে রোধ করে।

জান্নাত খাতুন বলেন, বাল্যবিয়ে ঠেকাতে হলে বাবা-মাসহ আমাদের সচেতন হতে হবে।

সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, সরকার স্কুল খোলার অনুমতি দেয়ার পর আমার স্কুলে ছাত্রীদের উপস্থিতি কম দেখি। পরে জানতে পারি, স্কুলের কিছু ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। কিছু অবিভাবক আছে যারা লেখাপড়া জানে না, তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই। তারা ভাবে মেয়ে যত বড় হবে, বিয়ে দিতে তত বেশি টাকা লাগবে। এর জন্যই তারা মেয়েদের অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দেয়। অন্য স্কুলের সহকারী শিক্ষক ইদ্রিস মিয়া বলেন, করোনাকালে বাল্যবিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত, গ্রামাঞ্চলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণে অবিভাবকরা তাদের মেয়েদের বিয়ে দেয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। করোনার কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় আমরা অবিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি।

এর জন্যই বেশি সংখ্যক মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

সহকারী শিক্ষিকা মাহামুদা খাতুন বলেন, এই এলাকা নদীভাঙন এলাকা। অশিক্ষিত বাবা-মা মনে করে যে, তাদের সন্তানকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে পারলে একটু ঝামেলা দূর হলো। এখন যেহেতু স্কুল খোলা, অভিভাবকদের সঙ্গে আমরা কাউন্সিল করতে পারব। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করতে পারব।

হাবিব কাদের উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীম আল মামুন জুয়েল বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েসহ অভিভাবকদের সচেতন করি, বাল্যবিয়ে রোধ করার চেষ্টা করি। দীর্ঘ দেড় বছর বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে ছাত্রছাত্রীসহ অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি নাই। সে কারণে কিছু মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। আমরা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটি আবার মিটিং করেছি এবং অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, যাতে করে কেউ বাল্যবিয়ের শিকার আর না হয়। অভিভাবকসহ এলাকার লোকজনের সচেতন হতে হবে। ইতোমধ্যে যারা ঝরে পড়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিদ্যালয়ে আনার চেষ্টা করব।

টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা খানম বলেন, টাঙ্গাইলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৮৮ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত আছে। উপস্থিতি দিনদিন বাড়ছে। আমরা কিছু বাল্যবিয়ের ঘটনা শুনতে পাচ্ছি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খোঁজও নিয়েছি। আশা করছি, এদেরকে আমরা কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনতে পারব।