আফগানিস্তানে ফের গণমাধ্যমের ওপর বিধিনিষেধ

তালেবানের নতুন সরকার গণমাধ্যমের ওপর আবারও ১১টি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মিডিয়া সেন্সরশিপের জন্যই এ নির্দেশনা। নতুন নির্দেশনা জারি হওয়ায় দেশটির গণমাধ্যমকর্মী, অধিকারকর্মীসহ সংশ্লিষ্টরা আতঙ্কিত বলে খবর পাওয়া গেছে।

আফগানিস্তানে তালেবান শাসনকাল শুরু হয় ছয় সপ্তাহ আগে। অর্থনৈতিক সংকটসহ বিভিন্ন ধরনের বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন আফগান নাগরিকরা। এর মাঝে বিভিন্ন ইস্যুতে তালেবানের পূর্বের শাসনের ইঙ্গিত পাচ্ছেন তারা। নারীদের পড়াশোনা কার্যত বন্ধ রয়েছে দেশটিতে। মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করাসহ বহু অভিযোগ উঠছে তালেবানের বিরুদ্ধে। এবার তালেবানের তোপের মুখে পড়লো দেশটির গণমাধ্যমগুলো বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।

গণমাধ্যমের ওপর তালেবানের আরোপিত নতুন নিয়ম চলতি সপ্তাহে জারি হয়। এতে দেখা যাচ্ছে যে, তালেবান আবারও ১৯৯০ সালের নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে। ১১টি নির্দেশনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যে কোনো গণমাধ্যম প্রতিবেদন তৈরি করবে আফগানিস্তানের গভর্নমেন্ট মিডিয়া অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারের (জিএমআইসি) সঙ্গে সমন্বয় করে। এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান এখন মোহাম্মদ ইউসুফ আহমাদি, গত ২০ বছর ধরে আফগানযুদ্ধ চলাকালে যিনি তালেবানের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশটির গণমাধ্যমকে বারবার পূর্বের প্রশাসনকে মোকাবিলা করে কাজ করতে হয়েছে। এমনকি সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানিও সমালোচনার মুখে পড়েন। চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও ফ্রিডম প্রেস রেটিংয়ে এগিয়ে ছিল আফগানিস্তান, তুরস্ক, পাকিস্তান, ইরান, ভারত, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানের তুলনায়। কিন্তু তালেবানের ইসলামিক আমিরাত সরকারের তোপের মুখে এখন শঙ্কা প্রকাশ করছেন সাংবাদিকরা। সম্প্রতি তালেবানের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ করা, ধরপাকড়, শারীরিক নির্যাতনের খবর পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।

রবিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২১ , ১৮ আশ্বিন ১৪২৮ ২৪ সফর ১৪৪৩

আফগানিস্তানে ফের গণমাধ্যমের ওপর বিধিনিষেধ

তালেবানের নতুন সরকার গণমাধ্যমের ওপর আবারও ১১টি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মিডিয়া সেন্সরশিপের জন্যই এ নির্দেশনা। নতুন নির্দেশনা জারি হওয়ায় দেশটির গণমাধ্যমকর্মী, অধিকারকর্মীসহ সংশ্লিষ্টরা আতঙ্কিত বলে খবর পাওয়া গেছে।

আফগানিস্তানে তালেবান শাসনকাল শুরু হয় ছয় সপ্তাহ আগে। অর্থনৈতিক সংকটসহ বিভিন্ন ধরনের বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন আফগান নাগরিকরা। এর মাঝে বিভিন্ন ইস্যুতে তালেবানের পূর্বের শাসনের ইঙ্গিত পাচ্ছেন তারা। নারীদের পড়াশোনা কার্যত বন্ধ রয়েছে দেশটিতে। মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করাসহ বহু অভিযোগ উঠছে তালেবানের বিরুদ্ধে। এবার তালেবানের তোপের মুখে পড়লো দেশটির গণমাধ্যমগুলো বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।

গণমাধ্যমের ওপর তালেবানের আরোপিত নতুন নিয়ম চলতি সপ্তাহে জারি হয়। এতে দেখা যাচ্ছে যে, তালেবান আবারও ১৯৯০ সালের নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে। ১১টি নির্দেশনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যে কোনো গণমাধ্যম প্রতিবেদন তৈরি করবে আফগানিস্তানের গভর্নমেন্ট মিডিয়া অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারের (জিএমআইসি) সঙ্গে সমন্বয় করে। এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান এখন মোহাম্মদ ইউসুফ আহমাদি, গত ২০ বছর ধরে আফগানযুদ্ধ চলাকালে যিনি তালেবানের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশটির গণমাধ্যমকে বারবার পূর্বের প্রশাসনকে মোকাবিলা করে কাজ করতে হয়েছে। এমনকি সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানিও সমালোচনার মুখে পড়েন। চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও ফ্রিডম প্রেস রেটিংয়ে এগিয়ে ছিল আফগানিস্তান, তুরস্ক, পাকিস্তান, ইরান, ভারত, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানের তুলনায়। কিন্তু তালেবানের ইসলামিক আমিরাত সরকারের তোপের মুখে এখন শঙ্কা প্রকাশ করছেন সাংবাদিকরা। সম্প্রতি তালেবানের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ করা, ধরপাকড়, শারীরিক নির্যাতনের খবর পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।