দুই দিনে মৃত্যু ১২
পশ্চিমবঙ্গের আট জেলার বন্যাপরিস্থিতি গুরুতর আকার ধারণ করেছে। গত শুক্রবার রাত পর্যন্ত ২৩ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত ছিল। গত দু’দিনে পানিতে ডুবে ও সাপের কামড়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজ্যে দেড় হাজার ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন দুই লাখের অধিক মানুষ। চার লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, ‘আরও নতুন নতুন এলাকা জলমগ্ন হতে পারে। বন্যা উপদ্রুত এলাকাগুলোতে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকেই দক্ষিণবঙ্গের দামোদরসহ বিভিন্ন নদীর পানি বেড়ে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, হুগলির আরামবাগ, বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। বন্যার এই ভয়াবহতায় রাজ্য প্রশাসন চিন্তিত হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই বণ্যাকে ‘ম্যান মেড ফ্লাড’-এর বলে অভিহিত করেছেন। তার অভিযোগ, না জানিয়ে ডিবিসি ব্যারেজ থেকে পানি ছাড়ার ফলেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বানভাসী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং বাঁকুড়া। টানা বৃষ্টিতে ডিভিসি জলাধারে জলের পরিমাণও অনেকটাই বেড়েছে। বেশকিছু এলাকায় বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়েছে। বিঘার পর বিঘা জমি পানির নিচে। দূর্গাপুর ব্যারেজ থেকে পানি ছাড়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমা এলাকায়।
গতকাল সকালে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ডিভিসির যে কমিটি পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিও রয়েছে। তাই রাজ্য সরকারের পানি ছাড়ার বিষয়টি না জানার প্রশ্নই ওঠে না।’
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে বলেন, এই বন্যার জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। তার অভিযোগ, গত কয়েক দশক ধরে বর্ষার আগে ফেব্রুয়ারি-মার্চে যে কাজ হয়, তা তিনি এবার করেননি। কেননা, এই মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুরের উপনির্বাচন নিয়েও ব্যস্ত ছিলেন।
রবিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২১ , ১৮ আশ্বিন ১৪২৮ ২৪ সফর ১৪৪৩
দুই দিনে মৃত্যু ১২
প্রতিনিধি, কলকাতা
পশ্চিমবঙ্গের আট জেলার বন্যাপরিস্থিতি গুরুতর আকার ধারণ করেছে। গত শুক্রবার রাত পর্যন্ত ২৩ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত ছিল। গত দু’দিনে পানিতে ডুবে ও সাপের কামড়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজ্যে দেড় হাজার ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন দুই লাখের অধিক মানুষ। চার লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, ‘আরও নতুন নতুন এলাকা জলমগ্ন হতে পারে। বন্যা উপদ্রুত এলাকাগুলোতে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকেই দক্ষিণবঙ্গের দামোদরসহ বিভিন্ন নদীর পানি বেড়ে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, হুগলির আরামবাগ, বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। বন্যার এই ভয়াবহতায় রাজ্য প্রশাসন চিন্তিত হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই বণ্যাকে ‘ম্যান মেড ফ্লাড’-এর বলে অভিহিত করেছেন। তার অভিযোগ, না জানিয়ে ডিবিসি ব্যারেজ থেকে পানি ছাড়ার ফলেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বানভাসী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং বাঁকুড়া। টানা বৃষ্টিতে ডিভিসি জলাধারে জলের পরিমাণও অনেকটাই বেড়েছে। বেশকিছু এলাকায় বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়েছে। বিঘার পর বিঘা জমি পানির নিচে। দূর্গাপুর ব্যারেজ থেকে পানি ছাড়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমা এলাকায়।
গতকাল সকালে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ডিভিসির যে কমিটি পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিও রয়েছে। তাই রাজ্য সরকারের পানি ছাড়ার বিষয়টি না জানার প্রশ্নই ওঠে না।’
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে বলেন, এই বন্যার জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। তার অভিযোগ, গত কয়েক দশক ধরে বর্ষার আগে ফেব্রুয়ারি-মার্চে যে কাজ হয়, তা তিনি এবার করেননি। কেননা, এই মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুরের উপনির্বাচন নিয়েও ব্যস্ত ছিলেন।