খোঁজ মেলেনি পল্লবীর ৩ ছাত্রীর

রাজধানী মিরপুরের পল্লবী এলাকায় বাসা থেকে টাকা, স্বর্ণালংকার ও শিক্ষাসনদ নিয়ে পালিয়ে যাওয়া তিন ছাত্রীর সন্ধান এখনও পায়নি পুলিশ। তবে পল্লবী থানা পুলিশ তাদের সন্ধানে অভিযান পরিচালনা করছে, বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামুন। তিনি বলেন, তিন শিক্ষার্থীর সন্ধ্যানে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। ইতোমধ্যে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এখন পর্যন্ত আমরা শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করতে সক্ষম হইনি। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

এদিকে নিখোঁজ হওয়া তিনজনের মধ্যে এক ছাত্রীর মা পল্লবী থানায় দায়ের করা অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আমি আমার মেয়েসহ তিনজনের সন্ধান চাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হয়েছে তারা এ বিষয়টি দেখভাল করছে। আমার সন্তান যেন মায়ের কাছে ফিরে আসতে পারে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় জিনিয়া, তরিকুল ও রকিবুল নামের তিনজন আমার মেয়ে ও তার দুই বান্ধবীকে বিদেশ যাওয়ার প্রলোভন দেখায়। সেই প্রলোভনে পড়েই তারা বাসা থেকে বের হয়ে যায়। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আমার মেয়ে বাসা থেকে ৬ লাখ টাকা, মেয়ের এক বান্ধবী তার বাসা থেকে আড়াই ভরি স্বর্ণ ও আরেক বান্ধবী ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। শুধুমাত্র জিনিয়া, রকিবুল ও তরিকুলের প্রলোভনে পড়েই মেয়েরা এ ধরনের পথে পা বাড়িয়েছে। অভিযোগে আসামি করা এই তিনজনের মধ্যে জিনিয়া শর্ট ভিডিও শেয়ারিং সাইট টিকটকে পরিচিত মুখ, আর তরিকুল ও রকিবুল সহোদর বলে জানা গেছে।

নিখোঁজ পরিবার অভিযোগ করেন, গত বৃহস্পতিবার পল্লবীর ১১ নম্বর প্যারিস রোডের সি-ব্লক ১৮ নম্বর লাইনে ঘটনাটি ঘটে। নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে দিলখুশ জান্নাত নিসা মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট, স্নেহা পল্লবী ডিগ্রি কলেজ ও কানিজ ফাতেমা দুয়ারি পাড়া কলেজের শিক্ষার্থী। নিখোঁজ ছাত্রীর নিসার মা মাহমুদা আক্তার লিখিত অভিযোগে তিনজনকে আসামি করেছে। তারা হচ্ছে, তরিকুল, রকিবুল ও জিনিয়া। অভিযোগে দিলখুশ জান্নাত নিসার মা মাহমুদা জানান, তার মেয়ে নিসা ও মেয়ের দুই বান্ধবী কানিজ ফাতেমা ও স্নেহাকে বিদেশে নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘরছাড়া করেছে একটি নারী পাচারকারী চক্র। পরিবারের কাউকে কিছু না বলে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সবাই নিজ নিজ বাসা থেকে একসঙ্গে বের হয়। নিখোঁজ শিক্ষার্থী দিলখুশ জান্নাত নিসার বড় বোন অ্যাডভোকেট কাজী রওশন দিল আফরোজ জানান, আমার বোন ও তার বান্ধবীদের বিদেশে নেয়ার প্রলোভন দেখানো হয়েছে। এ জন্য তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে সবাই কলেজ ড্রেস পরে বের হয়েছে। কলেজের ব্যাগ ছিল সঙ্গে। আমাদের মহল্লার প্রতিবেশী তরিকুল, রকিবুল ও জিনিয়া এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

রবিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২১ , ১৮ আশ্বিন ১৪২৮ ২৪ সফর ১৪৪৩

খোঁজ মেলেনি পল্লবীর ৩ ছাত্রীর

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রাজধানী মিরপুরের পল্লবী এলাকায় বাসা থেকে টাকা, স্বর্ণালংকার ও শিক্ষাসনদ নিয়ে পালিয়ে যাওয়া তিন ছাত্রীর সন্ধান এখনও পায়নি পুলিশ। তবে পল্লবী থানা পুলিশ তাদের সন্ধানে অভিযান পরিচালনা করছে, বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামুন। তিনি বলেন, তিন শিক্ষার্থীর সন্ধ্যানে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। ইতোমধ্যে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এখন পর্যন্ত আমরা শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করতে সক্ষম হইনি। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

এদিকে নিখোঁজ হওয়া তিনজনের মধ্যে এক ছাত্রীর মা পল্লবী থানায় দায়ের করা অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আমি আমার মেয়েসহ তিনজনের সন্ধান চাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হয়েছে তারা এ বিষয়টি দেখভাল করছে। আমার সন্তান যেন মায়ের কাছে ফিরে আসতে পারে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় জিনিয়া, তরিকুল ও রকিবুল নামের তিনজন আমার মেয়ে ও তার দুই বান্ধবীকে বিদেশ যাওয়ার প্রলোভন দেখায়। সেই প্রলোভনে পড়েই তারা বাসা থেকে বের হয়ে যায়। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আমার মেয়ে বাসা থেকে ৬ লাখ টাকা, মেয়ের এক বান্ধবী তার বাসা থেকে আড়াই ভরি স্বর্ণ ও আরেক বান্ধবী ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। শুধুমাত্র জিনিয়া, রকিবুল ও তরিকুলের প্রলোভনে পড়েই মেয়েরা এ ধরনের পথে পা বাড়িয়েছে। অভিযোগে আসামি করা এই তিনজনের মধ্যে জিনিয়া শর্ট ভিডিও শেয়ারিং সাইট টিকটকে পরিচিত মুখ, আর তরিকুল ও রকিবুল সহোদর বলে জানা গেছে।

নিখোঁজ পরিবার অভিযোগ করেন, গত বৃহস্পতিবার পল্লবীর ১১ নম্বর প্যারিস রোডের সি-ব্লক ১৮ নম্বর লাইনে ঘটনাটি ঘটে। নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে দিলখুশ জান্নাত নিসা মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট, স্নেহা পল্লবী ডিগ্রি কলেজ ও কানিজ ফাতেমা দুয়ারি পাড়া কলেজের শিক্ষার্থী। নিখোঁজ ছাত্রীর নিসার মা মাহমুদা আক্তার লিখিত অভিযোগে তিনজনকে আসামি করেছে। তারা হচ্ছে, তরিকুল, রকিবুল ও জিনিয়া। অভিযোগে দিলখুশ জান্নাত নিসার মা মাহমুদা জানান, তার মেয়ে নিসা ও মেয়ের দুই বান্ধবী কানিজ ফাতেমা ও স্নেহাকে বিদেশে নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘরছাড়া করেছে একটি নারী পাচারকারী চক্র। পরিবারের কাউকে কিছু না বলে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সবাই নিজ নিজ বাসা থেকে একসঙ্গে বের হয়। নিখোঁজ শিক্ষার্থী দিলখুশ জান্নাত নিসার বড় বোন অ্যাডভোকেট কাজী রওশন দিল আফরোজ জানান, আমার বোন ও তার বান্ধবীদের বিদেশে নেয়ার প্রলোভন দেখানো হয়েছে। এ জন্য তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে সবাই কলেজ ড্রেস পরে বের হয়েছে। কলেজের ব্যাগ ছিল সঙ্গে। আমাদের মহল্লার প্রতিবেশী তরিকুল, রকিবুল ও জিনিয়া এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।