১০ দফা দাবিতে রংপুরে শত শত হরিজনের বিক্ষোভ ও সমাবেশ

হরিজন জনগোষ্ঠীর নাম বাংলাদেশ গেজেটে যুক্তকরণ, সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রকৃত হরিজনদের সরকার ঘোষিত শতকরা ৮০ ভাগ কোটা কার্যকরসহ ১০ দফা দাবিতে গতকাল দুপুরে শত শত হরিজন সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ ও শিশুরা বিভাগীয় নগরী রংপুরে বিক্ষোভ ও রংপুর টাউন হলে সমাবেশ করেছে। হরিজন অধিকার আদায় সংগঠন রংপুরের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ-সমাবেশে রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে কয়েকশ হরিজন অংশ নেয়।

এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে বারটার দিকে রংপুর টাউন হল চত্বর থেকে হরিজনরা ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিল বের করে মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আবারও টাউন হল চত্বরে ফিরে আসে। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ। হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের সভাপতি সুরেশ বাশফোরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন নারী নেত্রী ইরা হক, মৌসুমী সরকার রীতা, হরিজন নেতা লিটন বাশফোর, সরৎ বাশফোর, খুমরি লালসহ অন্য নেতরা। সমাবেশে হরিজন সম্প্রদায়ের অভিযোগ, দেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে অথচ দীর্ঘ ৫০ বছরেও পিছিয়েপড়া হরিজন জনগোষ্ঠীর নাগরিক অধিকার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা পায়নি। স্বাধীন দেশে এখনও হরিজনদের পেশার কারণে লাঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে। সমাবেশে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করা হয় দাবিগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ গেজেটে হরিজন জনগোষ্ঠীর নাম যুক্তকরণ এবং সরকারিভাবে হরিজনদের পরিসংখ্যান ও তথ্য সংগ্রহ করা, পুনর্বাসন না করে হরিজনদের বস্তি থেকে উচ্ছেদ না করা, তাদের সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে দলিল সম্প্রদান করে দেয়া, সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রকৃত হরিজনদের নিয়োগে সরকার ঘোষিত শতকরা ৮০ ভাগ কোটা কার্যকর করা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হরিজনদের মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ উপাধি প্রদান, অবিলম্বে বৈষম্য বিলোপ আইন ২০১৪ প্রণয়ন, সরকারি সব চাকরির ক্ষেত্রে হরিজনদের জন্য বিশেষ কোটার ব্যবস্থা করা, দেশের সব সিটি করপোরেশনে হরিজনদের স্থায়ী চাকরি প্রদান, ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা নির্ধারণ, উৎসব বোনাস, অবসর ভাতা প্রদান, সব বিশ্ববিদ্যালয়ে হরিজন শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে বিশেষ কোটা বরাদ্দকরণ এবং হরিজন জনগোষ্ঠীর জন্য বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা। সমাবেশ থেকে তাদের ১০ দফা মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়।

রবিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২১ , ১৮ আশ্বিন ১৪২৮ ২৪ সফর ১৪৪৩

১০ দফা দাবিতে রংপুরে শত শত হরিজনের বিক্ষোভ ও সমাবেশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

হরিজন জনগোষ্ঠীর নাম বাংলাদেশ গেজেটে যুক্তকরণ, সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রকৃত হরিজনদের সরকার ঘোষিত শতকরা ৮০ ভাগ কোটা কার্যকরসহ ১০ দফা দাবিতে গতকাল দুপুরে শত শত হরিজন সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ ও শিশুরা বিভাগীয় নগরী রংপুরে বিক্ষোভ ও রংপুর টাউন হলে সমাবেশ করেছে। হরিজন অধিকার আদায় সংগঠন রংপুরের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ-সমাবেশে রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে কয়েকশ হরিজন অংশ নেয়।

এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে বারটার দিকে রংপুর টাউন হল চত্বর থেকে হরিজনরা ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিল বের করে মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আবারও টাউন হল চত্বরে ফিরে আসে। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ। হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের সভাপতি সুরেশ বাশফোরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন নারী নেত্রী ইরা হক, মৌসুমী সরকার রীতা, হরিজন নেতা লিটন বাশফোর, সরৎ বাশফোর, খুমরি লালসহ অন্য নেতরা। সমাবেশে হরিজন সম্প্রদায়ের অভিযোগ, দেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে অথচ দীর্ঘ ৫০ বছরেও পিছিয়েপড়া হরিজন জনগোষ্ঠীর নাগরিক অধিকার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা পায়নি। স্বাধীন দেশে এখনও হরিজনদের পেশার কারণে লাঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে। সমাবেশে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করা হয় দাবিগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ গেজেটে হরিজন জনগোষ্ঠীর নাম যুক্তকরণ এবং সরকারিভাবে হরিজনদের পরিসংখ্যান ও তথ্য সংগ্রহ করা, পুনর্বাসন না করে হরিজনদের বস্তি থেকে উচ্ছেদ না করা, তাদের সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে দলিল সম্প্রদান করে দেয়া, সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রকৃত হরিজনদের নিয়োগে সরকার ঘোষিত শতকরা ৮০ ভাগ কোটা কার্যকর করা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হরিজনদের মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ উপাধি প্রদান, অবিলম্বে বৈষম্য বিলোপ আইন ২০১৪ প্রণয়ন, সরকারি সব চাকরির ক্ষেত্রে হরিজনদের জন্য বিশেষ কোটার ব্যবস্থা করা, দেশের সব সিটি করপোরেশনে হরিজনদের স্থায়ী চাকরি প্রদান, ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা নির্ধারণ, উৎসব বোনাস, অবসর ভাতা প্রদান, সব বিশ্ববিদ্যালয়ে হরিজন শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে বিশেষ কোটা বরাদ্দকরণ এবং হরিজন জনগোষ্ঠীর জন্য বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা। সমাবেশ থেকে তাদের ১০ দফা মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়।