তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যে সমস্ত চ্যানেল বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে দেশে আসে, সেগুলো সম্প্রচারের ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই। আইন মানা বিদেশি চ্যানেলের যেমন দায়িত্ব একইসঙ্গে যারা বিদেশি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করে সেই অপারেটরদেরও দায়িত্ব। কেউ যদি উদ্দেশ্যমূলক জনগণকে বিক্ষুদ্ধ করার জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত আসা চ্যানেল বন্ধ রাখে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকার কোন চ্যানেল বন্ধ করেনি। বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে যেহেতু তারা ফিড দিচ্ছেনা তাই এই চ্যানেলগুলোর যারা বাংলাদেশে অপারেটর তারাই সম্প্রচার বন্ধ করেছে। তিনি বলেন, বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব গত কয়েকদিন ধরে বক্তৃতা করছেন, সব দলের ঐক্য করে তারা সরকারের পতন ঘটাবেন। এই বুলি যখন দিচ্ছে, তখন খেলাফত মজলিস ঘোষণা করল আমরা আর বিএনপির সঙ্গে নাই। যেই ঐক্য আছে সেই ঐক্যই ধরে রাখতে পারেনা, সেখান থেকে দলগুলো তাদেরকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। তারা প্রতিনিয়ত সরকার পতনের হুমকি দেয়। এই কথা বলতে বলতে আসলে তারা নিজেদেরই পতন ঘটিয়ে ফেলেছে।
গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রবাসী কমিউনিটি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ আবুধাবি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইফতেখার হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সহসভাপতি ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, চট্টগ্রাম প্রবাসী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এম এ ছালাম। বক্তব্য রাখেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী কমিউনিটি নেতা আবদুল মোতালেব, জামসেদুল আলম, শফিউল আলম, সেলিম আনছারি, জমির হোসেন জমির প্রমুখ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের আকাশ উম্মুক্ত, এখানে যেকোন বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করতে পারে, কিন্তু অবশ্যই সেটি বাংলাদেশের আইন মেনে করতে হবে। বাংলাদেশের আইনানুযায়ী বিদেশি চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে কোন বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারেনা। একই আইন ইউরোপ আমেরিকা, ভারত, পাকিস্তান শ্রীলঙ্কাসহ উপমহাদেশের অন্য দেশগুলোতে আছে। সেই আইন মেনেই সেখানে ভিনদেশী চ্যানেলগুলোকে সম্প্রচার করতে হয়।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে বছরের পর বছর ধরে আমাদের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে বিদেশি চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপনসহ সম্প্রচার করছিল। আমরা বহুবার তাগাদা দিয়েছি, শেষ পর্যন্ত আমরা বিদেশি চ্যানেলের যারা এখানে প্রতিনিধি ক্যাবল অপারেটরদের সঙ্গে, টেলিভিশন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম পহেলা অক্টোবর থেকে আমরা আইন কার্যকর করব। সে অনুযায়ী গতকাল থেকে আমরা মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করছি।
রবিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২১ , ১৮ আশ্বিন ১৪২৮ ২৪ সফর ১৪৪৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যে সমস্ত চ্যানেল বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে দেশে আসে, সেগুলো সম্প্রচারের ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই। আইন মানা বিদেশি চ্যানেলের যেমন দায়িত্ব একইসঙ্গে যারা বিদেশি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করে সেই অপারেটরদেরও দায়িত্ব। কেউ যদি উদ্দেশ্যমূলক জনগণকে বিক্ষুদ্ধ করার জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত আসা চ্যানেল বন্ধ রাখে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকার কোন চ্যানেল বন্ধ করেনি। বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে যেহেতু তারা ফিড দিচ্ছেনা তাই এই চ্যানেলগুলোর যারা বাংলাদেশে অপারেটর তারাই সম্প্রচার বন্ধ করেছে। তিনি বলেন, বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব গত কয়েকদিন ধরে বক্তৃতা করছেন, সব দলের ঐক্য করে তারা সরকারের পতন ঘটাবেন। এই বুলি যখন দিচ্ছে, তখন খেলাফত মজলিস ঘোষণা করল আমরা আর বিএনপির সঙ্গে নাই। যেই ঐক্য আছে সেই ঐক্যই ধরে রাখতে পারেনা, সেখান থেকে দলগুলো তাদেরকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। তারা প্রতিনিয়ত সরকার পতনের হুমকি দেয়। এই কথা বলতে বলতে আসলে তারা নিজেদেরই পতন ঘটিয়ে ফেলেছে।
গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রবাসী কমিউনিটি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ আবুধাবি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইফতেখার হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সহসভাপতি ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, চট্টগ্রাম প্রবাসী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এম এ ছালাম। বক্তব্য রাখেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী কমিউনিটি নেতা আবদুল মোতালেব, জামসেদুল আলম, শফিউল আলম, সেলিম আনছারি, জমির হোসেন জমির প্রমুখ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের আকাশ উম্মুক্ত, এখানে যেকোন বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করতে পারে, কিন্তু অবশ্যই সেটি বাংলাদেশের আইন মেনে করতে হবে। বাংলাদেশের আইনানুযায়ী বিদেশি চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে কোন বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারেনা। একই আইন ইউরোপ আমেরিকা, ভারত, পাকিস্তান শ্রীলঙ্কাসহ উপমহাদেশের অন্য দেশগুলোতে আছে। সেই আইন মেনেই সেখানে ভিনদেশী চ্যানেলগুলোকে সম্প্রচার করতে হয়।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে বছরের পর বছর ধরে আমাদের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে বিদেশি চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপনসহ সম্প্রচার করছিল। আমরা বহুবার তাগাদা দিয়েছি, শেষ পর্যন্ত আমরা বিদেশি চ্যানেলের যারা এখানে প্রতিনিধি ক্যাবল অপারেটরদের সঙ্গে, টেলিভিশন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম পহেলা অক্টোবর থেকে আমরা আইন কার্যকর করব। সে অনুযায়ী গতকাল থেকে আমরা মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করছি।