ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং এভারটন শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে ১-১ গোলে ড্র করেছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে অতিরিক্ত তালিকায় রেখে একাদশ গঠন করেন কোচ সোলসার। তারপরেও মার্শিয়ালের গোলে লিড নিয়েছিল ম্যানইউ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে সমতা ফেরায় এভারটন। টাওসেন্ড দুর্দান্ত গোল করে জয় বঞ্চিত করে ইউনাইটেড। প্রায় ৩৫ মিনিট খেলেছেন রোনালদো, কিন্তু এদিন তিনি গোল করতে পারেননি এবং জেতেনি ম্যানইউ। চলতি মৌসুমে অবস্থা দাঁড়িয়েছে রোনালদো গোল না করলে জিততে পারছে না ম্যানইউ। রোনালদো অবশ্য দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিলেন, ত্বরিৎ শটও নিয়েছিলেন, কিন্তু সেটি পোস্ট ঘেঁসে বাইরে চলে যায়।
জয়ী হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছে ম্যানইউ। কিন্তু এভারটনের রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় দ্বিতীয় গোল পায়নি ম্যানইউ। যদিও ম্যাচের বেশিরভাগ সময়ই প্রাধান্য ছিল তাদের। তারা এগারটি কর্নার কিকও আদায় করেছিল। এভারটন খেলেছে কাউন্টার অ্যাটাকে। তাদের এ কৌশল বেশ কাজে দিয়েছে। ম্যানইউর রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের ধীর গতির কারণে সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরেছে এভারটন। বিশেষকরে ভারানে এবং লিন্ডেলফের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা দ্রুত নিজের জায়গায় ফিরতে না পারায় বেশ ফাঁকা জায়গা পেয়ে যায় এভারটনের আক্রমণভাগ। খেলার ৮৬ মিনিটে তারা আরেকবার বল জালে পাঠিয়েছিল এই রক্ষণভাগের ব্যর্থতার সুযোগ কাজে লাগিয়েই। তবে রেফারি ভিএআর দেখে সেটি বাতিল করেন অফসাইডের কারণে। বল জালে পাঠানোর ঠিক আগে অল্পের জন্য অফসাইড পজিশনে চলে গিয়েছিলেন ইয়েরি মিনা। এ গোলটি না হওয়ায় পরাজয় থেকে রক্ষা পায় ম্যানইউ। আগের ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার কাছে হেরেছিল ম্যানইউ। এ ম্যাচ করেছে ড্র। তাদের রক্ষণভাগ যেভাবে ব্যর্থ হচ্ছে নিয়মিত তা কোচের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করতে না পারলে ম্যানইউর পক্ষে শিরোপা জেতা কঠিন হবে।
রবিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২১ , ১৮ আশ্বিন ১৪২৮ ২৪ সফর ১৪৪৩
সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং এভারটন শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে ১-১ গোলে ড্র করেছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে অতিরিক্ত তালিকায় রেখে একাদশ গঠন করেন কোচ সোলসার। তারপরেও মার্শিয়ালের গোলে লিড নিয়েছিল ম্যানইউ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে সমতা ফেরায় এভারটন। টাওসেন্ড দুর্দান্ত গোল করে জয় বঞ্চিত করে ইউনাইটেড। প্রায় ৩৫ মিনিট খেলেছেন রোনালদো, কিন্তু এদিন তিনি গোল করতে পারেননি এবং জেতেনি ম্যানইউ। চলতি মৌসুমে অবস্থা দাঁড়িয়েছে রোনালদো গোল না করলে জিততে পারছে না ম্যানইউ। রোনালদো অবশ্য দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিলেন, ত্বরিৎ শটও নিয়েছিলেন, কিন্তু সেটি পোস্ট ঘেঁসে বাইরে চলে যায়।
জয়ী হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছে ম্যানইউ। কিন্তু এভারটনের রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় দ্বিতীয় গোল পায়নি ম্যানইউ। যদিও ম্যাচের বেশিরভাগ সময়ই প্রাধান্য ছিল তাদের। তারা এগারটি কর্নার কিকও আদায় করেছিল। এভারটন খেলেছে কাউন্টার অ্যাটাকে। তাদের এ কৌশল বেশ কাজে দিয়েছে। ম্যানইউর রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের ধীর গতির কারণে সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরেছে এভারটন। বিশেষকরে ভারানে এবং লিন্ডেলফের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা দ্রুত নিজের জায়গায় ফিরতে না পারায় বেশ ফাঁকা জায়গা পেয়ে যায় এভারটনের আক্রমণভাগ। খেলার ৮৬ মিনিটে তারা আরেকবার বল জালে পাঠিয়েছিল এই রক্ষণভাগের ব্যর্থতার সুযোগ কাজে লাগিয়েই। তবে রেফারি ভিএআর দেখে সেটি বাতিল করেন অফসাইডের কারণে। বল জালে পাঠানোর ঠিক আগে অল্পের জন্য অফসাইড পজিশনে চলে গিয়েছিলেন ইয়েরি মিনা। এ গোলটি না হওয়ায় পরাজয় থেকে রক্ষা পায় ম্যানইউ। আগের ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার কাছে হেরেছিল ম্যানইউ। এ ম্যাচ করেছে ড্র। তাদের রক্ষণভাগ যেভাবে ব্যর্থ হচ্ছে নিয়মিত তা কোচের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করতে না পারলে ম্যানইউর পক্ষে শিরোপা জেতা কঠিন হবে।