নজরদারিতে রেখে রাসেলকে সুযোগ দেয়ার প্রস্তাব মার্চেন্ট ও গ্রাহকদের

ইভ্যালির রাসেলকে নজরদারির মাধ্যমে দিকনির্দেশনা দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ইভ্যালির মার্চেন্ট এবং ভোক্তাদের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ইভ্যালির মার্চেন্ট এবং ভোক্তাদের সমন্বয়ক মো. নাসির উদ্দিন, সহসমন্বয়ক সাকিব হাসানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘আমরা ইভ্যালির প্রায় ৭৪ লাখ গ্রাহক ও প্রায় ৩৫ হাজারের অধিক বিক্রেতা এবং পাঁচ হাজারের অধিক স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী ইভ্যালির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। আমরা সবাই জানি ইভ্যালি বর্তমানে বাংলাদেশের প্রথম সারির ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ডিজিটাল মার্কেট প্লেসে ভোক্তাদের পণ্য ক্রয়ে উদ্বুদ্ধকরণ এবং নতুন হাজার হাজার উদ্যোক্তা তৈরিতে ইভ্যালির ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। ইভ্যালির ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে আগামীদিনে বাংলাদেশের জিডিপি বিশ্বের প্রথম ১০ দেশের মধ্যে থাকবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিন এবং সিইও মোহাম্মদ রাসেল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে আছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ব্যবসাযর পরিধি বড় হলে কিছু অভিযোগ বা সমন্বয়হীনতা থাকতে পারে। আমরা মনে করি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, ইক্যাব, মার্চেন্ট, ভোক্তাসহ সবার প্রতিনিধি ও ইভ্যালির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করে এই সমন্বয়হীনতা বা সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘এই সংকট মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হলে প্রায় ৭৫ লাখ পরিবার ঋণগ্রস্ত হয়ে পথে বসার উপক্রম হবে। আমাদের বিশ্বাস সংশ্লিষ্ট সবার আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসন করে সম্ভাবনাময় একটি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা করার সুযোগ দিয়ে লাখ লাখ ভোক্তার স্বপ্নপূরণ এবং হাজার হাজার উদ্যোক্তার ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার পথ সুগম হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ই-কমার্স সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এ সময় তাদের সাত দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের মুক্তি দিতে হবে।

সোমবার, ০৪ অক্টোবর ২০২১ , ১৯ আশ্বিন ১৪২৮ ২৫ সফর ১৪৪৩

নজরদারিতে রেখে রাসেলকে সুযোগ দেয়ার প্রস্তাব মার্চেন্ট ও গ্রাহকদের

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

ইভ্যালির রাসেলকে নজরদারির মাধ্যমে দিকনির্দেশনা দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ইভ্যালির মার্চেন্ট এবং ভোক্তাদের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ইভ্যালির মার্চেন্ট এবং ভোক্তাদের সমন্বয়ক মো. নাসির উদ্দিন, সহসমন্বয়ক সাকিব হাসানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘আমরা ইভ্যালির প্রায় ৭৪ লাখ গ্রাহক ও প্রায় ৩৫ হাজারের অধিক বিক্রেতা এবং পাঁচ হাজারের অধিক স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী ইভ্যালির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। আমরা সবাই জানি ইভ্যালি বর্তমানে বাংলাদেশের প্রথম সারির ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ডিজিটাল মার্কেট প্লেসে ভোক্তাদের পণ্য ক্রয়ে উদ্বুদ্ধকরণ এবং নতুন হাজার হাজার উদ্যোক্তা তৈরিতে ইভ্যালির ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। ইভ্যালির ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে আগামীদিনে বাংলাদেশের জিডিপি বিশ্বের প্রথম ১০ দেশের মধ্যে থাকবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিন এবং সিইও মোহাম্মদ রাসেল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে আছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ব্যবসাযর পরিধি বড় হলে কিছু অভিযোগ বা সমন্বয়হীনতা থাকতে পারে। আমরা মনে করি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, ইক্যাব, মার্চেন্ট, ভোক্তাসহ সবার প্রতিনিধি ও ইভ্যালির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করে এই সমন্বয়হীনতা বা সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘এই সংকট মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হলে প্রায় ৭৫ লাখ পরিবার ঋণগ্রস্ত হয়ে পথে বসার উপক্রম হবে। আমাদের বিশ্বাস সংশ্লিষ্ট সবার আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসন করে সম্ভাবনাময় একটি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা করার সুযোগ দিয়ে লাখ লাখ ভোক্তার স্বপ্নপূরণ এবং হাজার হাজার উদ্যোক্তার ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার পথ সুগম হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ই-কমার্স সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এ সময় তাদের সাত দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের মুক্তি দিতে হবে।