পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় বসতবাড়ির জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলা নিয়ে বিরোধের জেরে কবিতা রানী গোমস্তা (৫৬) নামের এক এনজিও কর্মকর্তার স্ত্রী কে প্রতিপক্ষরা পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। গত শনিবার সকালে উপজেলার সেনের টিকিকাটা ইউনিয়নের পূর্ব সেনের টিকিকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষের হামলায় আহত কবিতা রানী গোমস্তা পূর্ব সেনেরটিকিকাটা গ্রামের অমলেন্দু গোমস্তার স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা গেছে, পূর্ব সেনের টিকিকাটা গ্রামের এনজিও উদ্দীপন এর তুষখালী শাখা ব্যবস্থাপক অমলেন্দু গোমস্তা একই গ্রামের প্রতিবেশী জয়দেব হালদার, অশোক হালদার ও অনীল হালদার কাছে থেকে ২০১০ সালে টিকিকাটা মৌজার এস এ ১৫৪৪,১৫৪৫ নং খতিয়ানের ৪৯,৫০ নং দাগের সোয়া ৮ শতাংশ বসতবাড়ির জমি সাব- কবলা দলিল মূলে জমি ক্রয় করে মালিক হন। কিন্তু দাতা জয়দেব,অনীল ও অনীক গ্রহিতা এনজিও কর্মকর্তা অমলেন্দু গোমস্তা কে জমি দখল বুজিয়ে দিতে নানা টালবাহানা ও হয়রানি করেন।অবশেষে নিরুপায় হয়ে গৃহীতা অমলেন্দু গোমস্তা স্থানীয় শালিস গনের শরনাপন্ন হলে শালিসগন ওই জমি সম্প্রতি দাতাদের উপস্থিতিতে সমঝোতার মাধ্যমে গৃহীতর সাব- কবলা দলিলের বসতবাড়ির জমির দখল বুঝিয়ে দিয়ে সীমানা প্রাচীর করে দেন। গত শনিবার সকালে ওই জমিতে সীমানার বেড়া উপড়ে ফেললে এনজিও কর্মকর্তার স্ত্রী বৃদ্ধা কবিতা রানী গোমস্তা বাধা দেয়। এ সময় প্রতিপক্ষ জয়দেব, অনীল ও অনীক হালদার বৃদ্ধা কবিতা রানী কে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহত কবিতা রানী গোমস্তা জানান, জয়দেব হালদার গংরা আমাদের কাছে জমি বিক্রি করে দখল বুজিয়ে দেয়ায় সালিশদার বিষয়টি নিষ্পত্তি করে সীমানা দিয়ে দেন। ওই সীমানার বেড়া উপড়ে ফেললে আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।