বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ আজ

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ ভারতের মুখোমুখি হবে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে নিজেদের উজাড় করে দেয়ার লক্ষ্য জামাল ভূঁইয়াদের। মালদ্বীপের রাজধানী মালের জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু বিকেল ৫টায়।

সাফের পরিসংখ্যানে ভারত অনেকটা এগিয়ে। আগের ১২টি প্রতিযোগিতার সাতটিতে ট্রফি ঘরে তুলেছে প্রতিবেশী দেশটি। সেখানে বাংলাদেশের শিরোপা একটি! সাফে আটবার মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। সেখানে ভারত জিতেছে ৫ বার। দুটি ম্যাচ হয়েছে ড্র। এর মধ্যে ২০০৩ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে সেমিফাইনালে ২-১ গোলে ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ।

অবশ্য ব্যবধান থাকলেও ভারতকে কোন ম্যাচই সহজে জিততে দেয়নি বাংলাদেশ। এই তো সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে দু’বার মুখোমুখি হয়েছে। কলকাতার মাঠে বাংলাদেশ সাদউদ্দিনের গোলে এগিয়ে গেলেও ম্যাচটা শেষ মুহূর্তে ড্র হয়েছে ১-১ গোলে। তবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফিরতি পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশ কোন গোল করতে পারেনি। ম্যাচের অনেক সময়জুড়ে ভারতকে আটকে রেখে শেষের দিকে দুই গোল হজম করতে হয়েছে।

তবে এবার মালদ্বীপে একদিক দিয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১-০ গোলে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে জামালের দল। সেই জায়গায় ভারত এখন পর্যন্ত কোন ম্যাচ খেলেনি। বলতে গেলে উজ্জীবিত বা আত্মবিশ্বাসী এক বাংলাদেশকে সামনে পাচ্ছে ইগর স্টিমাকের ভারত।

শিরোপা জেতার জন্য দুই দেশই মালেতে এসেছে। কিন্তু ২০০৩ সালের পর ট্রফি জেতা হয়নি। ২০০৫ সালে করাচিতে গিয়ে হয়েছে রানার্স আপ।

সেই জায়গায় ভারত ২০১৮ সালে ফাইনালে পৌঁছেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। মালদ্বীপের কাছে হেরে গেছে।

এখন ফাইনালে জেতে হলে জয়ের কোন বিকল্প নেই। যেহেতু রাউন্ড রবিন লীগ পর্বের খেলা। তাই চারটি ম্যাচে যে যত জিততে পারবে, তার ফাইনালের পথ তত সুগম হবে। তাই এগিয়ে যাওয়ার মিশনে হার মানেই হোঁচট খেয়ে পেছনে পড়ে যাওয়া।

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারত আছে ১০৭তম স্থানে। বাংলাদেশ -১৮৯। র‌্যাঙ্কিং বিবেচনায় নিলে সহজেই ভারতের জেতার কথা। কিন্তু তা অনেক সময় মাঠের আসল পারফরম্যান্স ফুটিয়ে তোলে না। যদিও এবার সাফের ম্যাচে কী হবে, তা বলা কঠিন। (আরও খবর খেলার পৃষ্ঠায়)।

সোমবার, ০৪ অক্টোবর ২০২১ , ১৯ আশ্বিন ১৪২৮ ২৫ সফর ১৪৪৩

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ আজ

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

image

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ ভারতের মুখোমুখি হবে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে নিজেদের উজাড় করে দেয়ার লক্ষ্য জামাল ভূঁইয়াদের। মালদ্বীপের রাজধানী মালের জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু বিকেল ৫টায়।

সাফের পরিসংখ্যানে ভারত অনেকটা এগিয়ে। আগের ১২টি প্রতিযোগিতার সাতটিতে ট্রফি ঘরে তুলেছে প্রতিবেশী দেশটি। সেখানে বাংলাদেশের শিরোপা একটি! সাফে আটবার মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। সেখানে ভারত জিতেছে ৫ বার। দুটি ম্যাচ হয়েছে ড্র। এর মধ্যে ২০০৩ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে সেমিফাইনালে ২-১ গোলে ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ।

অবশ্য ব্যবধান থাকলেও ভারতকে কোন ম্যাচই সহজে জিততে দেয়নি বাংলাদেশ। এই তো সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে দু’বার মুখোমুখি হয়েছে। কলকাতার মাঠে বাংলাদেশ সাদউদ্দিনের গোলে এগিয়ে গেলেও ম্যাচটা শেষ মুহূর্তে ড্র হয়েছে ১-১ গোলে। তবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফিরতি পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশ কোন গোল করতে পারেনি। ম্যাচের অনেক সময়জুড়ে ভারতকে আটকে রেখে শেষের দিকে দুই গোল হজম করতে হয়েছে।

তবে এবার মালদ্বীপে একদিক দিয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১-০ গোলে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে জামালের দল। সেই জায়গায় ভারত এখন পর্যন্ত কোন ম্যাচ খেলেনি। বলতে গেলে উজ্জীবিত বা আত্মবিশ্বাসী এক বাংলাদেশকে সামনে পাচ্ছে ইগর স্টিমাকের ভারত।

শিরোপা জেতার জন্য দুই দেশই মালেতে এসেছে। কিন্তু ২০০৩ সালের পর ট্রফি জেতা হয়নি। ২০০৫ সালে করাচিতে গিয়ে হয়েছে রানার্স আপ।

সেই জায়গায় ভারত ২০১৮ সালে ফাইনালে পৌঁছেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। মালদ্বীপের কাছে হেরে গেছে।

এখন ফাইনালে জেতে হলে জয়ের কোন বিকল্প নেই। যেহেতু রাউন্ড রবিন লীগ পর্বের খেলা। তাই চারটি ম্যাচে যে যত জিততে পারবে, তার ফাইনালের পথ তত সুগম হবে। তাই এগিয়ে যাওয়ার মিশনে হার মানেই হোঁচট খেয়ে পেছনে পড়ে যাওয়া।

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারত আছে ১০৭তম স্থানে। বাংলাদেশ -১৮৯। র‌্যাঙ্কিং বিবেচনায় নিলে সহজেই ভারতের জেতার কথা। কিন্তু তা অনেক সময় মাঠের আসল পারফরম্যান্স ফুটিয়ে তোলে না। যদিও এবার সাফের ম্যাচে কী হবে, তা বলা কঠিন। (আরও খবর খেলার পৃষ্ঠায়)।