সুন্দরগঞ্জে যত্রতত্র বালু উত্তোলনের হিড়িক : হুমকিতে জমি-জনবসতি

দফায় দফায় প্রশাসনের সাড়াসি অভিযানের পরও ঠেকানো যাচ্ছে না অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার যত্রতত্র দেদারচ্ছে বালু উত্তোলনের কারনে হুমকির মুখে পড়েছে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি, অবকাঠামোসহ প্রাকৃতিক ভারসাম্য।

গতকাল শনিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের ফুলমিয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে পাম্পসহ ২টি মেশিন ও ৫০০ ফুট পাইপ জব্দ করেছে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে ওই এলাকার এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সরকারি বিধি তোয়াক্কা না করে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিত্বে অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের উপকরণ সমুহ জব্দ করে। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় বালু উত্তোলনকারি সিন্ডিকেটের সদস্য ওই গ্রামের মনজিলার রহমান ও মজনু মিয়া পালিয়ে যায়। স্থানীয় কৃষক আব্দুল মতিন মিয়া জানান, দীর্ঘদিন থেকে একটি অসাধু চক্র বালু উত্তোলন করে আসছিল। স্থানীয়দের বাঁধা আমলে না নিয়ে তারা বালু উত্তোলন করছিল। তিনি আরও বলেন, চক্রটির দাবি তারা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী, চেয়ারম্যান, নেম্বার, চকিদার, দাফাদার, তহশীলদার এবং প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করে আসছে। শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি বালু উত্তোলন সংক্রান্ত বিষয়ে কিছুই জানেন না। অসাধু চক্রটি মিথ্যা কথা বলে, বালু উত্তোলন করে আসছিল। উপজেলা নিবার্হী অফিসার জানান, গোটা উপজেলায় কিছুসংখ্যক বালু ব্যবসায়ী সুকৌশলে রাতের অন্ধকারে বা গোপনে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একাধিকবার অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের শতাধিক পাম্পসহ মেশিন, প্রায় ৫ হাজার ফুট পাইপ ও অন্যান্য উপকরণ জব্দ এবং বেশ কিছুসংখ্যক ব্যক্তিকে জেল এবং জরিমানা করা হলেও পুনরায় তারা বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে করে রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি, ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। এ জন্য সমাজের সকল স্তরের মানুষের আন্তরিকতা এবং সচেতনতা একান্ত প্রয়োজন।

মঙ্গলবার, ০৫ অক্টোবর ২০২১ , ২০ আশ্বিন ১৪২৮ ২৬ সফর ১৪৪৩

সুন্দরগঞ্জে যত্রতত্র বালু উত্তোলনের হিড়িক : হুমকিতে জমি-জনবসতি

প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)

image

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : তিস্তা থেকে এভাবেই বালু উত্তোলন করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা -সংবাদ

দফায় দফায় প্রশাসনের সাড়াসি অভিযানের পরও ঠেকানো যাচ্ছে না অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার যত্রতত্র দেদারচ্ছে বালু উত্তোলনের কারনে হুমকির মুখে পড়েছে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি, অবকাঠামোসহ প্রাকৃতিক ভারসাম্য।

গতকাল শনিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের ফুলমিয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে পাম্পসহ ২টি মেশিন ও ৫০০ ফুট পাইপ জব্দ করেছে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে ওই এলাকার এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সরকারি বিধি তোয়াক্কা না করে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিত্বে অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের উপকরণ সমুহ জব্দ করে। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় বালু উত্তোলনকারি সিন্ডিকেটের সদস্য ওই গ্রামের মনজিলার রহমান ও মজনু মিয়া পালিয়ে যায়। স্থানীয় কৃষক আব্দুল মতিন মিয়া জানান, দীর্ঘদিন থেকে একটি অসাধু চক্র বালু উত্তোলন করে আসছিল। স্থানীয়দের বাঁধা আমলে না নিয়ে তারা বালু উত্তোলন করছিল। তিনি আরও বলেন, চক্রটির দাবি তারা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী, চেয়ারম্যান, নেম্বার, চকিদার, দাফাদার, তহশীলদার এবং প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করে আসছে। শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি বালু উত্তোলন সংক্রান্ত বিষয়ে কিছুই জানেন না। অসাধু চক্রটি মিথ্যা কথা বলে, বালু উত্তোলন করে আসছিল। উপজেলা নিবার্হী অফিসার জানান, গোটা উপজেলায় কিছুসংখ্যক বালু ব্যবসায়ী সুকৌশলে রাতের অন্ধকারে বা গোপনে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একাধিকবার অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের শতাধিক পাম্পসহ মেশিন, প্রায় ৫ হাজার ফুট পাইপ ও অন্যান্য উপকরণ জব্দ এবং বেশ কিছুসংখ্যক ব্যক্তিকে জেল এবং জরিমানা করা হলেও পুনরায় তারা বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে করে রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি, ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। এ জন্য সমাজের সকল স্তরের মানুষের আন্তরিকতা এবং সচেতনতা একান্ত প্রয়োজন।