ভিজিডি কার্ডের প্রলোভনে মেম্বারের বিরুদ্ধে গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগ

ভিজিডি কার্ড করে দেয়ার কথা বলে চার সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে (৩৬) ধর্ষণের পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ঘটনাটি গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড খাঞ্জাপুর গ্রামের।

গৌরনদী উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে গত রোববার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, দেড় বছরপূর্বে খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন মৃধার সাথে তার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে দারিদ্র্যতার সুযোগে গত একবছর পূর্বে ভিজিডি কার্ড করে দেয়ার কথা বলে তাকে ইউপি সদস্যের ভুরঘাটার অফিসে ডেকে নেয়া হয়। সেখানে ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন মৃধা তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী আরও বলেন, ধর্ষণের পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আলাদা বাসা ভাড়া করে রাখার প্রস্তাব দেয়া হয়। পরবর্তীতে তাকে (ভুক্তভোগী) বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে ইউপি সদস্য গিয়াস। একপর্যায়ে বিয়ের জন্য চাপপ্রয়োগ করা হলে তার (ভুক্তভোগী) দিনমজুর স্বামীকে ইউপি সদস্য ডিভোর্স দিতে বলেন।

পরে গিয়াস উদ্দিনের পরামর্শে কালকিনির বাদশা মিয়া নামের এক নিকাহ রেজিষ্টারের মাধ্যমে ভুক্তভোগী ওই নারী তার প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দেয়। সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী বলেন, প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে পূর্নরায় গিয়াস উদ্দিন ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তার (ভুক্তভোগী) সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি ধামাচাঁপা দিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর তাকে (ভুক্তভোগী) ডেকে নিয়ে ইউপি সদস্য গিয়াস ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর আদায় করে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন।

একপর্যায়ে গিয়াস ও তার লোকজনে সমঝোতায় ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করেন। সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী বলেন, ইউপি সদস্য গিয়াসের প্রতারনার কারনে স্বামী-সন্তানদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করছি, এখন গিয়াস উদ্দিনও অস্বীকার করে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তাই ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের কাছে স্বামীর অধিকার ফিরে পেতে আমি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তবে সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের সাথে তার সম্পর্কের কোন প্রমাণ দেখাতে পারেননি। ভুক্তভোগী ওই নারীর সকল অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন মৃধা বলেন, সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনের দিন আমার নিকটতম পরাজিত প্রার্থী আরজ আলী সরদারের সমর্থকদের বোমা হামলায় আমার এক সমর্থক নিহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ঘটনার পর থেকে পরাজিত প্রার্থী আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ওই নারীকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যার সঠিক তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।

মঙ্গলবার, ০৫ অক্টোবর ২০২১ , ২০ আশ্বিন ১৪২৮ ২৬ সফর ১৪৪৩

ভিজিডি কার্ডের প্রলোভনে মেম্বারের বিরুদ্ধে গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগ

প্রতিনিধি, গৌরনদী (বরিশাল)

ভিজিডি কার্ড করে দেয়ার কথা বলে চার সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে (৩৬) ধর্ষণের পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ঘটনাটি গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড খাঞ্জাপুর গ্রামের।

গৌরনদী উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে গত রোববার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, দেড় বছরপূর্বে খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন মৃধার সাথে তার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে দারিদ্র্যতার সুযোগে গত একবছর পূর্বে ভিজিডি কার্ড করে দেয়ার কথা বলে তাকে ইউপি সদস্যের ভুরঘাটার অফিসে ডেকে নেয়া হয়। সেখানে ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন মৃধা তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী আরও বলেন, ধর্ষণের পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আলাদা বাসা ভাড়া করে রাখার প্রস্তাব দেয়া হয়। পরবর্তীতে তাকে (ভুক্তভোগী) বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে ইউপি সদস্য গিয়াস। একপর্যায়ে বিয়ের জন্য চাপপ্রয়োগ করা হলে তার (ভুক্তভোগী) দিনমজুর স্বামীকে ইউপি সদস্য ডিভোর্স দিতে বলেন।

পরে গিয়াস উদ্দিনের পরামর্শে কালকিনির বাদশা মিয়া নামের এক নিকাহ রেজিষ্টারের মাধ্যমে ভুক্তভোগী ওই নারী তার প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দেয়। সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী বলেন, প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে পূর্নরায় গিয়াস উদ্দিন ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তার (ভুক্তভোগী) সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি ধামাচাঁপা দিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর তাকে (ভুক্তভোগী) ডেকে নিয়ে ইউপি সদস্য গিয়াস ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর আদায় করে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন।

একপর্যায়ে গিয়াস ও তার লোকজনে সমঝোতায় ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করেন। সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী বলেন, ইউপি সদস্য গিয়াসের প্রতারনার কারনে স্বামী-সন্তানদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করছি, এখন গিয়াস উদ্দিনও অস্বীকার করে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তাই ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের কাছে স্বামীর অধিকার ফিরে পেতে আমি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তবে সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের সাথে তার সম্পর্কের কোন প্রমাণ দেখাতে পারেননি। ভুক্তভোগী ওই নারীর সকল অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন মৃধা বলেন, সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনের দিন আমার নিকটতম পরাজিত প্রার্থী আরজ আলী সরদারের সমর্থকদের বোমা হামলায় আমার এক সমর্থক নিহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ঘটনার পর থেকে পরাজিত প্রার্থী আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ওই নারীকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যার সঠিক তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।