যুবককে হত্যা করে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বলে দাফন

৪ মাস ১৮ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীর সেনবাগে মৃত্যুর ৪ মাস ১৮ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য বেলাল হোসেন (১৯) নামে এক যুবকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা করেছে। গতকাল দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মংচিংনু মারমার উপস্থিতে লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এদিকে লাশ উত্তোলনের খবর পেয়ে শতশত এলাকাবাসী ওই বাড়িতে ভিড় জমায়। এ সময় পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।

একাধিক সূত্র জানায়, সেনবাগের শায়েস্তানগর গ্রামের মুজা মিয়া হাজিবাড়ি প্রকাশ বাঁশ আলা বাড়ির আবদুল গোফরানের সঙ্গে একই এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম, তোফাজ্জাল হোসেনের ছেলে আরাফাত হোসেন বাবু ও পার্শ্ববর্তী বেগমগঞ্জ উপজেলার লাউতলী গ্রামের আমিন উল্লাহ ছেলে মোশারফ হোসেনে সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল। এর জের ধরে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে আবদুল গোফরানের ছেলে বেলাল হোসেনকে চলতি বছরের ১৬ মে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তারা পরিকল্পিতভাবে সেনবাগ উপজেলার নোয়াখালী মহাসড়কের আহম্মদিয়া ব্রিকফিল্ডের সামনে নিয়ে মাথায় আঘাত করে বেলালকে হত্যা করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরবর্তীতে তারা বেলাল মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে বলে প্রচার করে। পরে তড়িঘড়ি করে দাফন সম্পন্ন করে। এরপর নিহতের বড় ভাই মোফাজুল হোসেন প্রকাশ উজ্জল বাদী হয়ে গত ২২ আগস্ট নোয়াখালী বিচারিক আদালতে সাইফুল ইসলাম, আরাফাত হোসেন বাবু ও মোশারফ হোসেনসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে সিআর মামলা নং ১৮৪২ দায়ের করে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এরপর সেনবাগ থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নুর হোসেন অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ও মোশারফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে। এরপর সেনবাগ থানা পুলিশ বেলালের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আবেদন করলে আদালত কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন। গতকাল দুপুরে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মংচিংনু মারমার উপস্থিতে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মঙ্গলবার, ০৫ অক্টোবর ২০২১ , ২০ আশ্বিন ১৪২৮ ২৬ সফর ১৪৪৩

যুবককে হত্যা করে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বলে দাফন

৪ মাস ১৮ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

প্রতিনিধি, সেনবাগ (নোয়াখালী)

নোয়াখালীর সেনবাগে মৃত্যুর ৪ মাস ১৮ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য বেলাল হোসেন (১৯) নামে এক যুবকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা করেছে। গতকাল দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মংচিংনু মারমার উপস্থিতে লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এদিকে লাশ উত্তোলনের খবর পেয়ে শতশত এলাকাবাসী ওই বাড়িতে ভিড় জমায়। এ সময় পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।

একাধিক সূত্র জানায়, সেনবাগের শায়েস্তানগর গ্রামের মুজা মিয়া হাজিবাড়ি প্রকাশ বাঁশ আলা বাড়ির আবদুল গোফরানের সঙ্গে একই এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম, তোফাজ্জাল হোসেনের ছেলে আরাফাত হোসেন বাবু ও পার্শ্ববর্তী বেগমগঞ্জ উপজেলার লাউতলী গ্রামের আমিন উল্লাহ ছেলে মোশারফ হোসেনে সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল। এর জের ধরে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে আবদুল গোফরানের ছেলে বেলাল হোসেনকে চলতি বছরের ১৬ মে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তারা পরিকল্পিতভাবে সেনবাগ উপজেলার নোয়াখালী মহাসড়কের আহম্মদিয়া ব্রিকফিল্ডের সামনে নিয়ে মাথায় আঘাত করে বেলালকে হত্যা করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরবর্তীতে তারা বেলাল মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে বলে প্রচার করে। পরে তড়িঘড়ি করে দাফন সম্পন্ন করে। এরপর নিহতের বড় ভাই মোফাজুল হোসেন প্রকাশ উজ্জল বাদী হয়ে গত ২২ আগস্ট নোয়াখালী বিচারিক আদালতে সাইফুল ইসলাম, আরাফাত হোসেন বাবু ও মোশারফ হোসেনসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে সিআর মামলা নং ১৮৪২ দায়ের করে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এরপর সেনবাগ থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নুর হোসেন অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ও মোশারফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে। এরপর সেনবাগ থানা পুলিশ বেলালের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আবেদন করলে আদালত কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন। গতকাল দুপুরে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মংচিংনু মারমার উপস্থিতে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।