তামাক সেবন নিষিদ্ধের সুপারিশ

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে ই-সিগারেটসহ সব তামাক পণ্য উৎপাদন, আমদানি-রপ্তানি, প্রচারণা-বিজ্ঞাপন, বিপণন ও সেবন নিষিদ্ধকরণের সুপারিশ করেছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। এছাড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি আরও কঠোর করার সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর সংগঠনটি পরিচালিত ই-সিগারেট ব্যবহারবিষয়ক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠান থেকে এসব সুপারিশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের সিনিয়র লেকচারার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হায়াতুন নবী। তিনি জানান, সাধারণত ই-সিগারেট ওপেন সিস্টেম (রিফিল ট্যাংকযুক্ত) এবং ক্লোজ সিস্টেমে (ডিসপোজেবল কার্টিজযুক্ত) হয়ে থাকে। জরিপে দেখা গেছে, ই-লিকুইড ফ্লেভারের ভিন্নতা এবং ধোঁয়া নিয়ে বেশি কারুকাজ করার সুযোগ থাকে বিধায় বেশিরভাগ ব্যবহারকারী ওপেন সিস্টেম (রিফিল ট্যাংকযুক্ত) পছন্দ করেন।

ই-সিগারেট ব্যবহারের কারণ হিসেবে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারী (৬৫ শতাংশ) স্বাদের কারণে ই-সিগারেট ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন। স্টাইলের কারণে অনেকে ই-সিগারেট ব্যবহার করছেন বলেও জানা যায়। আবার অনেক অংশগ্রহণকারী ই-সিগারেট তাদের প্রচলিত সিগারেট ছাড়তে সাহায্য করতে পারে ভেবে এটা নিচ্ছেন বলে জানান। অংশগ্রহণকারীরা ই-সিগারেটকে প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় স্বাস্থ্যের জন্য কম ক্ষতিকর বলে মনে করেন। ই-সিগারেট থেকে নির্গত ধোঁয়ার মাধ্যমে রিং তৈরি করার কৌশল ও তা প্রদর্শন করা পুরুষ উত্তরদাতাদের মধ্যে একটি সাধারণ কারণ ছিল।

বাংলাদেশে ই-সিগারেটের প্রকৃত চিত্র সম্পর্কে ধারণা পেতে ঢাকা আহছানিয়া মিশন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের কারিগরি সহায়তায় শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ই-সিগারেটে ব্যবহার বিষয়ক একটি গবেষণা পরিচালনা করে। ২০২০ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে এই গবেষণা জরিপের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ২৩ ছাত্রদের মধ্যে তিনটি ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন পরিচালিত হয়। এতে যে শিক্ষার্থীরা বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং শেষ ৩০ দিনে নিয়মিত ই-সিগারেট ব্যবহার করছেন তারা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. আবদুল আজিজ, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মোস্তাফিজুর রহমান, মানসের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী প্রমুখ।

আরও খবর
অর্থ সংকটের কারণে আটকে আছে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতি চালু
শিশুদের টিকা দেয়ার বিষয়টি পর্যালোচনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ক্লিনফিড দেয়া বিদেশি চ্যানেল চালাতে বাধা নেই : তথ্যমন্ত্রী
চিরঅম্লান হয়ে থাকবেন মুনীরুজ্জামান
নির্দিষ্ট মেয়াদের বেশি পৌর মেয়র থাকতে পারবে না
ই-কমার্স ‘কিউকম’ বাজার পেতে লোভনীয় অফার, আটকে গেল গ্রাহকের আড়াইশ কোটি টাকা
প্রতারণা, এসপিসি ওয়ার্ল্ডের এমডি আল আমিন স্ত্রীসহ কারাগারে
মমতার শপথ পাঠ নিয়ে জটিলতা, রাজভবন থেকে আসছে না সবুজ সংকেত
চিরচেনা রঙে ফিরেছে ঢাবি ক্যাম্পাস
বোনকে ধর্ষণ, ভাইকে হত্যা, দুই আসামি ফের জেলহাজতে
অল্প সময়ে বেশি টাকার মালিক হতে নানা কৌশল

মঙ্গলবার, ০৫ অক্টোবর ২০২১ , ২০ আশ্বিন ১৪২৮ ২৬ সফর ১৪৪৩

তামাক সেবন নিষিদ্ধের সুপারিশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে ই-সিগারেটসহ সব তামাক পণ্য উৎপাদন, আমদানি-রপ্তানি, প্রচারণা-বিজ্ঞাপন, বিপণন ও সেবন নিষিদ্ধকরণের সুপারিশ করেছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। এছাড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি আরও কঠোর করার সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর সংগঠনটি পরিচালিত ই-সিগারেট ব্যবহারবিষয়ক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠান থেকে এসব সুপারিশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের সিনিয়র লেকচারার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হায়াতুন নবী। তিনি জানান, সাধারণত ই-সিগারেট ওপেন সিস্টেম (রিফিল ট্যাংকযুক্ত) এবং ক্লোজ সিস্টেমে (ডিসপোজেবল কার্টিজযুক্ত) হয়ে থাকে। জরিপে দেখা গেছে, ই-লিকুইড ফ্লেভারের ভিন্নতা এবং ধোঁয়া নিয়ে বেশি কারুকাজ করার সুযোগ থাকে বিধায় বেশিরভাগ ব্যবহারকারী ওপেন সিস্টেম (রিফিল ট্যাংকযুক্ত) পছন্দ করেন।

ই-সিগারেট ব্যবহারের কারণ হিসেবে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারী (৬৫ শতাংশ) স্বাদের কারণে ই-সিগারেট ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন। স্টাইলের কারণে অনেকে ই-সিগারেট ব্যবহার করছেন বলেও জানা যায়। আবার অনেক অংশগ্রহণকারী ই-সিগারেট তাদের প্রচলিত সিগারেট ছাড়তে সাহায্য করতে পারে ভেবে এটা নিচ্ছেন বলে জানান। অংশগ্রহণকারীরা ই-সিগারেটকে প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় স্বাস্থ্যের জন্য কম ক্ষতিকর বলে মনে করেন। ই-সিগারেট থেকে নির্গত ধোঁয়ার মাধ্যমে রিং তৈরি করার কৌশল ও তা প্রদর্শন করা পুরুষ উত্তরদাতাদের মধ্যে একটি সাধারণ কারণ ছিল।

বাংলাদেশে ই-সিগারেটের প্রকৃত চিত্র সম্পর্কে ধারণা পেতে ঢাকা আহছানিয়া মিশন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের কারিগরি সহায়তায় শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ই-সিগারেটে ব্যবহার বিষয়ক একটি গবেষণা পরিচালনা করে। ২০২০ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে এই গবেষণা জরিপের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ২৩ ছাত্রদের মধ্যে তিনটি ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন পরিচালিত হয়। এতে যে শিক্ষার্থীরা বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং শেষ ৩০ দিনে নিয়মিত ই-সিগারেট ব্যবহার করছেন তারা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. আবদুল আজিজ, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মোস্তাফিজুর রহমান, মানসের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী প্রমুখ।