বোনকে ধর্ষণ, ভাইকে হত্যা, দুই আসামি ফের জেলহাজতে

মুন্সীগঞ্জে কিশোরী বোনকে ধর্ষণ ও ভাই হত্যার ঘটনায় বিজ্ঞ আদালত দুই আসামির জামিন বাতিল করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। গতকাল নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুক্তা ম-লের আদেশে আসামিদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। কোর্ট জানায়, ধর্ষক সামী চৌধুরী (১৯), পিতা আফসার চৌধুরী ও ধর্ষক হাবিবুর রহমান (১৮), পিতা মো. হাসান মিয়ার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পৃথক মামলায়ই তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

ধর্ষিতার বাবা মহিউদ্দিন খান বাদী হয়ে টংগীবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১২ (২) ২১ জি আর (৪১/২১)।

মামলা দায়ের পর আসামিদ্বয় কোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত সে সময় জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। মামলার তদন্তকমিটি ধর্ষিতার সন্তানের ডিএনএ টেস্ট করার জন্য জুন ’২১ এর ২ তারিখে আবেদন করে। (৩৫/২১ এবং ৩৬/২১) ডিএনএ টেস্টের মামলা ধার্য করে ওই মামলায় ৯ (১) ধারায় চার্জ গঠন করে কোর্ট ডিএনএ টেস্টের রায় দেয়। দোষীপত্র দাখিল করে ৯ (১) ধারায় ৩০ জুলাই। কিন্তু তার পূর্বে ৩০ মে তারিখ কোর্ট থেকে জামিনে বের হয়ে যায় সামী চৌধুরী ও হাবিবুর রহমান। ৯(১) ধারায় নতুন করে একটি মামলা দায়ের করার পর নারী ও শিশু কোর্টে মামলাটি আসে গতকাল। নারী ও শিশু কোর্টের সরকার পক্ষের পিপি অ্যাডভোকেট লাবলু মোল্লা জামিন আবেদনের বিরোধিতা করলে কোর্ট আসামিদ্বয়ের জামিন না মঞ্জুর করে ফের জেলহাজতে প্রেরণ করে।

উল্লেখ্য, মুন্সীগঞ্জের টংগীবাড়ি উপজেলার আবদুল্লাহপুরে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর ভাই পারভেজকে অভিযুক্তরা তিন দফা মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যা করেছে বলে পারভেজের বাবা মহিউদ্দিন অভিযোগ করেছেন। পারভেজকে গত ১ জুন ভোর রাতে মিডফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সে মারা যায়। নিহত পারভেজ (১৮) টংগীবাড়ি উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের পূর্ব পাইকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন খানের ছেলে।

মঙ্গলবার, ০৫ অক্টোবর ২০২১ , ২০ আশ্বিন ১৪২৮ ২৬ সফর ১৪৪৩

মুন্সীগঞ্জে

বোনকে ধর্ষণ, ভাইকে হত্যা, দুই আসামি ফের জেলহাজতে

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ

মুন্সীগঞ্জে কিশোরী বোনকে ধর্ষণ ও ভাই হত্যার ঘটনায় বিজ্ঞ আদালত দুই আসামির জামিন বাতিল করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। গতকাল নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুক্তা ম-লের আদেশে আসামিদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। কোর্ট জানায়, ধর্ষক সামী চৌধুরী (১৯), পিতা আফসার চৌধুরী ও ধর্ষক হাবিবুর রহমান (১৮), পিতা মো. হাসান মিয়ার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পৃথক মামলায়ই তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

ধর্ষিতার বাবা মহিউদ্দিন খান বাদী হয়ে টংগীবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১২ (২) ২১ জি আর (৪১/২১)।

মামলা দায়ের পর আসামিদ্বয় কোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত সে সময় জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। মামলার তদন্তকমিটি ধর্ষিতার সন্তানের ডিএনএ টেস্ট করার জন্য জুন ’২১ এর ২ তারিখে আবেদন করে। (৩৫/২১ এবং ৩৬/২১) ডিএনএ টেস্টের মামলা ধার্য করে ওই মামলায় ৯ (১) ধারায় চার্জ গঠন করে কোর্ট ডিএনএ টেস্টের রায় দেয়। দোষীপত্র দাখিল করে ৯ (১) ধারায় ৩০ জুলাই। কিন্তু তার পূর্বে ৩০ মে তারিখ কোর্ট থেকে জামিনে বের হয়ে যায় সামী চৌধুরী ও হাবিবুর রহমান। ৯(১) ধারায় নতুন করে একটি মামলা দায়ের করার পর নারী ও শিশু কোর্টে মামলাটি আসে গতকাল। নারী ও শিশু কোর্টের সরকার পক্ষের পিপি অ্যাডভোকেট লাবলু মোল্লা জামিন আবেদনের বিরোধিতা করলে কোর্ট আসামিদ্বয়ের জামিন না মঞ্জুর করে ফের জেলহাজতে প্রেরণ করে।

উল্লেখ্য, মুন্সীগঞ্জের টংগীবাড়ি উপজেলার আবদুল্লাহপুরে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর ভাই পারভেজকে অভিযুক্তরা তিন দফা মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যা করেছে বলে পারভেজের বাবা মহিউদ্দিন অভিযোগ করেছেন। পারভেজকে গত ১ জুন ভোর রাতে মিডফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সে মারা যায়। নিহত পারভেজ (১৮) টংগীবাড়ি উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের পূর্ব পাইকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন খানের ছেলে।