পুঁজিবাজারকে অতিমূল্যায়িত বলা সমীচীন হবে না : বিএসইসি চেয়ারম্যান

দেশের অর্থনীতি, জাতীয় উৎপাদন ও মাথাপিছু আয় যে হারে উন্নতি হয়েছে, পুঁজিবাজার সে হারে বাড়েনি। পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা দেখে কেউ কেউ অতিমূল্যায়িত (ওভারভ্যালুড) বলে মন্তব্য করছেন। কিন্তু বাস্তবে পুঁজিবাজারকে অতিমূল্যায়িত বলা সমীচীন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। গতকাল বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ ২০২১-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ। এরপরে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন থাইল্যান্ডের স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট, এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির সহকারী অধ্যাপক ড. তানাতাত পুট্রাসুয়ান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী। এরপরে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, সিকিউরিটিজের দর বাড়লে মূল্যসূচক বাড়ে-এটাই স্বাভাবিক। তাই শুধু এই সূচক দিয়ে পুঁজিবাজারকে বিবেচনা করা ঠিক হবে না। মূল্য-আয় (পিই) অনুপাতকে বিবেচনায় নিতে হবে। এ বিবেচনায় পুঁজিবাজার এখনো অতিমূল্যায়িত নয়। বিগত সময়ে মার্কেট তার কাঙ্খিত কার্যক্ষমতা দেখাতে পারে নি। কেউ যদি দুই দশক আগের জাতীয় উৎপাদন ও মাথাপিছু আয়ের সঙ্গে তুলনা করে মার্কেটকে অতিমূল্যায়িত বলে তবে তা হবে না। বিগত এক দশকে দেশের অর্থনীতি যেভাবে এগিয়েছে, সেভাবে পুঁজিবাজার এগোয়নি।

তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা হচ্ছে পুঁজিবাজারের প্রাণ। আমরা যদি বিনিয়োগকারদের সুরক্ষা দিতে না পারি তবে তারা অন্য সুযোগের খোঁজ করবে। আমরা বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকর দিচ্ছি। আমরা তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে করপোরেট গভর্নেন্স গাইড লাইন পরিপালনে উৎসাহিত করছি। সম্প্রতিক সময়ে কিছু কোম্পানির বিরুদ্ধে ডিভিডেন্ড (লভ্যাংশ) বন্টন ও বিনিয়োগকারীদের অধিকার খর্ব করার অভিযোগ উঠছে। আমরা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়েছি।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে নতুন নতুন পণ্য আনার চেষ্টা করছে। এছাড়া কমিশন পুঁজিবাজারের প্রধান অংশ বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে ও বিনিয়োগের রিটার্ন নিশ্চিতে কাজ করছে।

মঙ্গলবার, ০৫ অক্টোবর ২০২১ , ২০ আশ্বিন ১৪২৮ ২৬ সফর ১৪৪৩

বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের উদ্বোধন

পুঁজিবাজারকে অতিমূল্যায়িত বলা সমীচীন হবে না : বিএসইসি চেয়ারম্যান

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

দেশের অর্থনীতি, জাতীয় উৎপাদন ও মাথাপিছু আয় যে হারে উন্নতি হয়েছে, পুঁজিবাজার সে হারে বাড়েনি। পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা দেখে কেউ কেউ অতিমূল্যায়িত (ওভারভ্যালুড) বলে মন্তব্য করছেন। কিন্তু বাস্তবে পুঁজিবাজারকে অতিমূল্যায়িত বলা সমীচীন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। গতকাল বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ ২০২১-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ। এরপরে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন থাইল্যান্ডের স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট, এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির সহকারী অধ্যাপক ড. তানাতাত পুট্রাসুয়ান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী। এরপরে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, সিকিউরিটিজের দর বাড়লে মূল্যসূচক বাড়ে-এটাই স্বাভাবিক। তাই শুধু এই সূচক দিয়ে পুঁজিবাজারকে বিবেচনা করা ঠিক হবে না। মূল্য-আয় (পিই) অনুপাতকে বিবেচনায় নিতে হবে। এ বিবেচনায় পুঁজিবাজার এখনো অতিমূল্যায়িত নয়। বিগত সময়ে মার্কেট তার কাঙ্খিত কার্যক্ষমতা দেখাতে পারে নি। কেউ যদি দুই দশক আগের জাতীয় উৎপাদন ও মাথাপিছু আয়ের সঙ্গে তুলনা করে মার্কেটকে অতিমূল্যায়িত বলে তবে তা হবে না। বিগত এক দশকে দেশের অর্থনীতি যেভাবে এগিয়েছে, সেভাবে পুঁজিবাজার এগোয়নি।

তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা হচ্ছে পুঁজিবাজারের প্রাণ। আমরা যদি বিনিয়োগকারদের সুরক্ষা দিতে না পারি তবে তারা অন্য সুযোগের খোঁজ করবে। আমরা বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকর দিচ্ছি। আমরা তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে করপোরেট গভর্নেন্স গাইড লাইন পরিপালনে উৎসাহিত করছি। সম্প্রতিক সময়ে কিছু কোম্পানির বিরুদ্ধে ডিভিডেন্ড (লভ্যাংশ) বন্টন ও বিনিয়োগকারীদের অধিকার খর্ব করার অভিযোগ উঠছে। আমরা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়েছি।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে নতুন নতুন পণ্য আনার চেষ্টা করছে। এছাড়া কমিশন পুঁজিবাজারের প্রধান অংশ বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে ও বিনিয়োগের রিটার্ন নিশ্চিতে কাজ করছে।