জাপার দুর্গ রংপুরে মহাসচিব কে হচ্ছেন চলছে জল্পনা-কল্পনা

জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দুর্গ এবং রাজধানী বলে খ্যাত রংপুরে দলের শীর্ষপর্যায়ের নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মহাসচিব পদে তাদের পছন্দের সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। বিষয়টি এখন রংপুরে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।

তবে বেশিরভাগ নেতাকর্মীদের মত হচ্ছে, দলের কো-চেয়ারম্যান, প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ঐক্যমতের ভিত্তিতে নয়া মহাসচিব নিয়োগ করা। এ ক্ষেত্রে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের একক ক্ষমতা প্রয়োগ করা দলের জন্য বুমেরাং হতে পারে বলে মত দিয়েছেন নেতাকর্মীরা।

এদিকে জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ এবং আবারও মহাসচিব হতে আগ্রহী মশিউর রহমান রাঙ্গার সঙ্গে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের মধ্যে মতবিরোধ ও মনোমালিন্য দূর করতে গত সোমবার রাতে মোবাইল ফোনে টেলিকনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দলের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। বৈঠকে রাঙ্গার সঙ্গে জি এম কাদেরের মনোমালিন্য দূর করার ব্যাপারে দূতিয়ালী ভূমিকা পালন করেছেন রংপুর মহানগর জাপার এক শীর্ষ নেতা। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে রাঙ্গা ও কাদেরের মধ্যে দূরত্ব কিছুটা কমেছে বলে জানা গেছে।

জাপার মহাসচিব বাবলু করোনায় মারা যাওয়ার পর আবারও নয়া মহাসচিব কে হবেন- এ নিয়ে চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কয়েকজনের নাম এসেছে। এদের মধ্যে সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, মশিউর রহমান রাঙ্গা এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আসনের এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

তবে দলের চেয়ারম্যান শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে দলের মহাসচিব করতে চান এমন কথা চাউর হয়েছে। যদিও প্রকাশ্যে এ সম্পর্কে কোন কথা কেউই বলেনি। এছাড়াও কাজী ফিরোজ রশীদ মহাসচিব হতে আগ্রহী বলেও জাপার রাজধানী রংপুরে আলোচনা চলছে।

এ ব্যাপারে জাপার সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গার সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধির কাছে খোলামেলা বেশকিছু কথা বলেন। রাঙ্গা জানান, দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ দলের কাউন্সিল করে সবার মতামত নিয়ে তাকে দলের মহাসচিব করেছিলেন। তিনি তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছেন। এরশাদ জীবিত থাকাকালে তার কর্মকা-ে কখনোই অখুশি ছিলেন না । কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পর এক বছরের মাথায় তাকে দলের মহাসচিব পদ থেকে অবসরে পাঠিয়ে দেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

তাকে যখন দলের মহাসচিব করা হয়, তখন তিনি ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। রাঙ্গা বলেন, আমি দলের কাউন্সিল অধিবেশনে নেতাকর্মীদের সর্বসম্মতিতে আমাকে দলের মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রে দলের চেয়ারম্যানকে একক ক্ষমতা দেয়া আছে। সেখানে চেয়ারম্যান ইচ্ছে করলে যখন তখন যাকে তাকে দলের পদ-পদবি প্রদান অব্যাহতিসহ যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। এটা গণতান্ত্রিক দলের জন্য ভালো নয়। তবে দলের প্রতিষ্ঠাতা এরশাদ যদিও একই ক্ষমতার মালিক ছিলেন। তিনিও বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নিলে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতেন। তাকে দলের মহাসচিব পদ থেকে অবসর দেয়ার ব্যাপারে তার কোন ক্ষোভ নেই। তবে দলের গঠনতন্ত্রে একক ক্ষমতা থাকা উচিত নয় বলে তিনি মনে করেন।

মহাসচিব পদে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে সাবেক মহাসচিব রাঙ্গা বলেন, এ ব্যাপারে তার মত হলো দলের কো চেয়ারম্যান আছেন, বেশ কয়েকজন প্রেসিডিয়াম মেম্বার আছেন, সিনিয়র নেতা আছেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে মহাসচিব পদে নিয়োগ দিলে ভালো হবে। এটাই হবে সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত। এককভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না। রাঙ্গা বলেন, তবে এটা বলতে পারি- আমি দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গে আগেও ছিলাম, এখনও আছি, ভবিষতেও থাকব।

এদিকে জাপার রাজধানী বলে খ্যাত রংপুরে মহানগর জাপার সভাপতি রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা সাংবাদিকদের জানান, মহাসচিব এমন ব্যক্তির হওয়া উচিত, যিনি দলকে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করবেন, দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ হবেন। আলাপ-আলোচনা সব সময় ভালো পদক্ষেপ বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে, রংপুর মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির জানান, এর আগে যারা দলের মহাসচিব ছিলেন রুহুল আমিন হাওলাদার, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মশিউর রহমান রাঙ্গা, প্রয়াত বাবলু ভাই, সবাই দলের জন্য ভালো কাজ করেছেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি দলের মহাসচিব করা নিয়ে যেন দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি কেউ করতে না পারে, সে জন্য দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়ে মহাসচিব মনোনীত করা।

তিনি করও নাম উল্লেখ না করে বলেন, ঢাকার অনেক নেতা চায় না জাপার নেতৃত্বে রংপুরের কেউ থাকুক। তিনি বলেন, রাঙ্গাকে যদি আবারও নতুন করে দলের মহাসচিব করা হয় তাতে তার কোন আপত্তি নেই। তবে যাই করা হোক, আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হলে আমাদের দলের জন্য মঙ্গল হবে।

এদিকে, রংপুর জেলা জাপার সিনিয়র সহ-সভাপতি আজমল হোসেন লেবু জানান, দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের একজন সৎ, নিতীবান মানুষ। তার ওপর আমার আত্মবিশ্বাস আছে। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেখানে তার সমর্থন থাকবে। অন্যদিকে, রংপুর জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমি মনে করি রাঙ্গা দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ। আগামী নির্বাচনে রংপুর অঞ্চলের ২২টি আসনে জাপার প্রার্থীদের জয়ী করতে তার নেতৃত্বের প্রয়োজন আছে।

এদিকে উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গেও কথা বলে জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা জাপা সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, রাঙ্গাকেই আবারও দলের মহাসচিব করলে দলের জন্য মঙ্গল হবে। অন্যদিকে বদরগঞ্জ উপজেলা জাপার সভাপতি মোকাম্মেল হক অ্যাডভোকেট বলেন, জি এম কাদের দলের চেয়ারম্যান। তিনি দলের জন্য যাকে মহাসচিব মনোনীত করবেন তার সিদ্ধান্তের প্রতি তার সমর্থন থাকবে বলে জানান তিনি।

এদিকে তৃনমূল পর্যায়ের জাপার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এককভাবে না, সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই মহাসচিব মনোনীত করা উচিত।

বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১ , ২১ আশ্বিন ১৪২৮ ২৭ সফর ১৪৪৩

জাপার দুর্গ রংপুরে মহাসচিব কে হচ্ছেন চলছে জল্পনা-কল্পনা

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর

জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দুর্গ এবং রাজধানী বলে খ্যাত রংপুরে দলের শীর্ষপর্যায়ের নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মহাসচিব পদে তাদের পছন্দের সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। বিষয়টি এখন রংপুরে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।

তবে বেশিরভাগ নেতাকর্মীদের মত হচ্ছে, দলের কো-চেয়ারম্যান, প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ঐক্যমতের ভিত্তিতে নয়া মহাসচিব নিয়োগ করা। এ ক্ষেত্রে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের একক ক্ষমতা প্রয়োগ করা দলের জন্য বুমেরাং হতে পারে বলে মত দিয়েছেন নেতাকর্মীরা।

এদিকে জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ এবং আবারও মহাসচিব হতে আগ্রহী মশিউর রহমান রাঙ্গার সঙ্গে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের মধ্যে মতবিরোধ ও মনোমালিন্য দূর করতে গত সোমবার রাতে মোবাইল ফোনে টেলিকনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দলের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। বৈঠকে রাঙ্গার সঙ্গে জি এম কাদেরের মনোমালিন্য দূর করার ব্যাপারে দূতিয়ালী ভূমিকা পালন করেছেন রংপুর মহানগর জাপার এক শীর্ষ নেতা। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে রাঙ্গা ও কাদেরের মধ্যে দূরত্ব কিছুটা কমেছে বলে জানা গেছে।

জাপার মহাসচিব বাবলু করোনায় মারা যাওয়ার পর আবারও নয়া মহাসচিব কে হবেন- এ নিয়ে চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কয়েকজনের নাম এসেছে। এদের মধ্যে সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, মশিউর রহমান রাঙ্গা এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আসনের এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

তবে দলের চেয়ারম্যান শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে দলের মহাসচিব করতে চান এমন কথা চাউর হয়েছে। যদিও প্রকাশ্যে এ সম্পর্কে কোন কথা কেউই বলেনি। এছাড়াও কাজী ফিরোজ রশীদ মহাসচিব হতে আগ্রহী বলেও জাপার রাজধানী রংপুরে আলোচনা চলছে।

এ ব্যাপারে জাপার সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গার সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধির কাছে খোলামেলা বেশকিছু কথা বলেন। রাঙ্গা জানান, দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ দলের কাউন্সিল করে সবার মতামত নিয়ে তাকে দলের মহাসচিব করেছিলেন। তিনি তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছেন। এরশাদ জীবিত থাকাকালে তার কর্মকা-ে কখনোই অখুশি ছিলেন না । কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পর এক বছরের মাথায় তাকে দলের মহাসচিব পদ থেকে অবসরে পাঠিয়ে দেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

তাকে যখন দলের মহাসচিব করা হয়, তখন তিনি ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। রাঙ্গা বলেন, আমি দলের কাউন্সিল অধিবেশনে নেতাকর্মীদের সর্বসম্মতিতে আমাকে দলের মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রে দলের চেয়ারম্যানকে একক ক্ষমতা দেয়া আছে। সেখানে চেয়ারম্যান ইচ্ছে করলে যখন তখন যাকে তাকে দলের পদ-পদবি প্রদান অব্যাহতিসহ যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। এটা গণতান্ত্রিক দলের জন্য ভালো নয়। তবে দলের প্রতিষ্ঠাতা এরশাদ যদিও একই ক্ষমতার মালিক ছিলেন। তিনিও বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নিলে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতেন। তাকে দলের মহাসচিব পদ থেকে অবসর দেয়ার ব্যাপারে তার কোন ক্ষোভ নেই। তবে দলের গঠনতন্ত্রে একক ক্ষমতা থাকা উচিত নয় বলে তিনি মনে করেন।

মহাসচিব পদে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে সাবেক মহাসচিব রাঙ্গা বলেন, এ ব্যাপারে তার মত হলো দলের কো চেয়ারম্যান আছেন, বেশ কয়েকজন প্রেসিডিয়াম মেম্বার আছেন, সিনিয়র নেতা আছেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে মহাসচিব পদে নিয়োগ দিলে ভালো হবে। এটাই হবে সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত। এককভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না। রাঙ্গা বলেন, তবে এটা বলতে পারি- আমি দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গে আগেও ছিলাম, এখনও আছি, ভবিষতেও থাকব।

এদিকে জাপার রাজধানী বলে খ্যাত রংপুরে মহানগর জাপার সভাপতি রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা সাংবাদিকদের জানান, মহাসচিব এমন ব্যক্তির হওয়া উচিত, যিনি দলকে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করবেন, দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ হবেন। আলাপ-আলোচনা সব সময় ভালো পদক্ষেপ বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে, রংপুর মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির জানান, এর আগে যারা দলের মহাসচিব ছিলেন রুহুল আমিন হাওলাদার, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মশিউর রহমান রাঙ্গা, প্রয়াত বাবলু ভাই, সবাই দলের জন্য ভালো কাজ করেছেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি দলের মহাসচিব করা নিয়ে যেন দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি কেউ করতে না পারে, সে জন্য দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়ে মহাসচিব মনোনীত করা।

তিনি করও নাম উল্লেখ না করে বলেন, ঢাকার অনেক নেতা চায় না জাপার নেতৃত্বে রংপুরের কেউ থাকুক। তিনি বলেন, রাঙ্গাকে যদি আবারও নতুন করে দলের মহাসচিব করা হয় তাতে তার কোন আপত্তি নেই। তবে যাই করা হোক, আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হলে আমাদের দলের জন্য মঙ্গল হবে।

এদিকে, রংপুর জেলা জাপার সিনিয়র সহ-সভাপতি আজমল হোসেন লেবু জানান, দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের একজন সৎ, নিতীবান মানুষ। তার ওপর আমার আত্মবিশ্বাস আছে। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেখানে তার সমর্থন থাকবে। অন্যদিকে, রংপুর জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমি মনে করি রাঙ্গা দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ। আগামী নির্বাচনে রংপুর অঞ্চলের ২২টি আসনে জাপার প্রার্থীদের জয়ী করতে তার নেতৃত্বের প্রয়োজন আছে।

এদিকে উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গেও কথা বলে জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা জাপা সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, রাঙ্গাকেই আবারও দলের মহাসচিব করলে দলের জন্য মঙ্গল হবে। অন্যদিকে বদরগঞ্জ উপজেলা জাপার সভাপতি মোকাম্মেল হক অ্যাডভোকেট বলেন, জি এম কাদের দলের চেয়ারম্যান। তিনি দলের জন্য যাকে মহাসচিব মনোনীত করবেন তার সিদ্ধান্তের প্রতি তার সমর্থন থাকবে বলে জানান তিনি।

এদিকে তৃনমূল পর্যায়ের জাপার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এককভাবে না, সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই মহাসচিব মনোনীত করা উচিত।