দেশের বেসরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, শিক্ষক দিবসে ঐচ্ছিক ছুটি, সরকারিভাবে শিক্ষক দিবস পালন, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বৈষম্য দূর করাসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে শিক্ষকদের একাধিক সংগঠন।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন, মুজিববর্ষে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ’ এই সেøাগান নিয়ে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান থেকে এসব দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস), এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরাম, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট, স্বাধীনতা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদসহ অন্য সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধন, সমাবেশ ও র্যালি করেন শিক্ষকরা। এছাড়া ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সেমিনারের আয়োজন করে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ)।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম রনি বলেন, ‘সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে যে বৈষম্য দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে এর একমাত্র সমাধান শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করা। শিক্ষকদের বেতন ও বাড়িভাড়াসহ যে সব বৈষম্য রয়েছে তা দূর করতে মুজিববর্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের ঘোষণা দিতে হবে। পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে।
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনার্স-মাস্টার্স করা শিক্ষকসহ নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রায় বিনা বেতনে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বৈষম্যের শিক্ষার হচ্ছেন। এভাবে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সে কারণেই মুজিববর্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা শুরু করতে হবে।’
স্বাধীনতা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ নেতারা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ‘নিবন্ধিত বেসরকারি সব প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করা হয়েছে। অথচ বছরের পর বছর চলে গেলেও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে না। কিছু প্রতিষ্ঠানকে সামান্য সম্মানী দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।’
সমাবেশে শিক্ষক নেতারা শিক্ষক দিবস পালনের জন্য ওই দিন ঐচ্ছিক ছুটি দাবি করে বলেন, ‘সরকারিভাবে শিক্ষক দিবস পালন করতে হবে। শিক্ষকদের মর্যাদার প্রশ্নে সরকারিভাবে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন করা জরুরি।’
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শিক্ষক দিবসের সেমিনারে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী সাজু বলেন, ‘করোনার সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে যে ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে তা মেটাতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।’ সেমিনারে আট দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
এদিকে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন ও মুজিব শতবর্ষে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা বিচারক প্যানেলের সদস্য এম. ফারুক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালি।
বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১ , ২১ আশ্বিন ১৪২৮ ২৭ সফর ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
দেশের বেসরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, শিক্ষক দিবসে ঐচ্ছিক ছুটি, সরকারিভাবে শিক্ষক দিবস পালন, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বৈষম্য দূর করাসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে শিক্ষকদের একাধিক সংগঠন।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন, মুজিববর্ষে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ’ এই সেøাগান নিয়ে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান থেকে এসব দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস), এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরাম, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট, স্বাধীনতা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদসহ অন্য সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধন, সমাবেশ ও র্যালি করেন শিক্ষকরা। এছাড়া ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সেমিনারের আয়োজন করে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ)।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম রনি বলেন, ‘সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে যে বৈষম্য দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে এর একমাত্র সমাধান শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করা। শিক্ষকদের বেতন ও বাড়িভাড়াসহ যে সব বৈষম্য রয়েছে তা দূর করতে মুজিববর্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের ঘোষণা দিতে হবে। পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে।
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনার্স-মাস্টার্স করা শিক্ষকসহ নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রায় বিনা বেতনে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বৈষম্যের শিক্ষার হচ্ছেন। এভাবে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সে কারণেই মুজিববর্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা শুরু করতে হবে।’
স্বাধীনতা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ নেতারা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ‘নিবন্ধিত বেসরকারি সব প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করা হয়েছে। অথচ বছরের পর বছর চলে গেলেও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে না। কিছু প্রতিষ্ঠানকে সামান্য সম্মানী দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।’
সমাবেশে শিক্ষক নেতারা শিক্ষক দিবস পালনের জন্য ওই দিন ঐচ্ছিক ছুটি দাবি করে বলেন, ‘সরকারিভাবে শিক্ষক দিবস পালন করতে হবে। শিক্ষকদের মর্যাদার প্রশ্নে সরকারিভাবে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন করা জরুরি।’
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শিক্ষক দিবসের সেমিনারে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী সাজু বলেন, ‘করোনার সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে যে ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে তা মেটাতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।’ সেমিনারে আট দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
এদিকে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন ও মুজিব শতবর্ষে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা বিচারক প্যানেলের সদস্য এম. ফারুক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালি।