এসকে সিনহার মামলার রায় পেছালো

চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ (এসকে সিনহা) ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলার রায় পিছিয়ে আগামী ২১ অক্টোবর ধার্য করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক পারিবারিক কারণে ছুটিতে থাকায় মামলার রায় পিছিয়ে আগামী ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে।

এই মামলার দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম জানান, মাননীয় বিচারক ছুটিতে থাকায় আদালতে আসতে পারেননি। এ জন্য রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে আগামী ২১ অক্টোবর নতুন তারিখ ঠিক করা হয়েছে। এর আগে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন আদালত। গত ২৯ আগস্ট মামলাটিতে পলাতক আসামিরা ছাড়া আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। গত ২৪ আগস্ট মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গত বছরের ১৩ আগস্ট বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম মামলাটির চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

বিচারপতি এস কে সিনহা বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন। এই মামলায় পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা রয়েছে। পলাতক থাকায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারান তিনি। কোন মামলায় দেশের সাবেক কোন প্রধান বিচারপতি এই প্রথম বিচারের মুখোমুখি হলেন।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এস ই ভি পি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক এবং টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়। মামলার তদন্তের সময় এজাহারভুক্ত আসামি মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ মারা গেলে তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

গত ৫ জানুয়ারি ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও আত্মসাতের অভিযোগে দেয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন, ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। এরপর আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের হাজির হতে নির্দেশনা দেন।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১ এ এই মামলাটি দায়ের করেন। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহমেদ এ চার্জশিট দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে চার কোটি টাকা ভুয়া ঋণ তৈরি করে তা একই দিনে পে-অর্ডারের মাধ্যমে আসামি এসকে সিনহার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেন। পরে এসকে সিনহা নগদ, চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা সরিয়ে নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আরও খবর
জাপার দুর্গ রংপুরে মহাসচিব কে হচ্ছেন চলছে জল্পনা-কল্পনা
জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি শিক্ষকদের
মিরপুর থেকে নিখোঁজ ৪ কিশোরী উদ্ধার
ক্লিনফিড বাস্তবায়নে আজ থেকে ফের মোবাইল কোর্ট : তথ্যমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ লাখ ফাইজারের টিকা হস্তান্তর
মাদক চোরাচালান বন্ধে প্রয়োজনে মায়ানমার সীমান্তে গুলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১৮ বছরের কম বয়সীরা এখনই টিকা পাচ্ছে না
আজ মহালয়া দেবীপক্ষের শুরু
চলনবিলে পাখি ধরার কিল্লা ধ্বংস
খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছালো
৩০ ঘণ্টা আটকে রাখার পর প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে গ্রেপ্তার দেখালো পুলিশ

বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১ , ২১ আশ্বিন ১৪২৮ ২৭ সফর ১৪৪৩

বিচারক ছুটিতে

এসকে সিনহার মামলার রায় পেছালো

আদালত বার্তা পরিবেশক

চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ (এসকে সিনহা) ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলার রায় পিছিয়ে আগামী ২১ অক্টোবর ধার্য করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক পারিবারিক কারণে ছুটিতে থাকায় মামলার রায় পিছিয়ে আগামী ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে।

এই মামলার দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম জানান, মাননীয় বিচারক ছুটিতে থাকায় আদালতে আসতে পারেননি। এ জন্য রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে আগামী ২১ অক্টোবর নতুন তারিখ ঠিক করা হয়েছে। এর আগে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন আদালত। গত ২৯ আগস্ট মামলাটিতে পলাতক আসামিরা ছাড়া আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। গত ২৪ আগস্ট মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গত বছরের ১৩ আগস্ট বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম মামলাটির চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

বিচারপতি এস কে সিনহা বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন। এই মামলায় পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা রয়েছে। পলাতক থাকায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারান তিনি। কোন মামলায় দেশের সাবেক কোন প্রধান বিচারপতি এই প্রথম বিচারের মুখোমুখি হলেন।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এস ই ভি পি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক এবং টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়। মামলার তদন্তের সময় এজাহারভুক্ত আসামি মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ মারা গেলে তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

গত ৫ জানুয়ারি ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও আত্মসাতের অভিযোগে দেয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন, ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। এরপর আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের হাজির হতে নির্দেশনা দেন।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১ এ এই মামলাটি দায়ের করেন। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহমেদ এ চার্জশিট দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে চার কোটি টাকা ভুয়া ঋণ তৈরি করে তা একই দিনে পে-অর্ডারের মাধ্যমে আসামি এসকে সিনহার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেন। পরে এসকে সিনহা নগদ, চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা সরিয়ে নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।