নির্বাচন কমিশন নিয়ে সংশয় থাকার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের

নির্বাচন কমিশন নিয়ে সংশয় থাকার কোন কারণ নেই বলে জানিয়েছেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে বিএনপিরও প্রতিনিধিত্ব থাকে। এখন যে নির্বাচন কমিশন আছে এখানেও তাদের একজন দলীয় কমিশনার আছেন। যিনি প্রায়ই বক্তব্য দিয়ে থাকেন এবং নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত করেন। বিএনপি যে সুরে কথা বলে, তাদের নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিও সেই সুরেই কথা বলেন।’

গতকাল ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। পরিদর্শনকালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খানসহ সওজ’র অন্য কর্মকর্তা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন নিয়ে খেলা করার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বিশ্বের অন্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশে ঠিক সেভাবেই নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষের দিকে। প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনার পর সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের এখানে খেলাধুলা করার প্রয়োজন নেই। নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচনে সরকারের কোন হস্তক্ষেপ থাকবে না। আমাদের সংবিধানে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের বিষয়ে বলা আছে। নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রশাসনিক এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এমনকি সেনাবাহিনীর টাস্কফোর্সও দায়িত্ব পালন করে থাকে। সেটা সরকারের অধীনে থাকে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন চলে যায় নির্বাচন কমিশনের অধীনে।’

সেতুর অগ্রগতি নিয়ে সড়ক ও সেতু মন্ত্রী বলেন, ‘২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারীতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ২য় আমিনবাজর সেতু চালু করা হবে। ২০২২ সালের জুনে মধ্যে সাভার বাজারসহ আমিনবাজার থেকে নবীনগর পর্যন্ত সড়কের বাজার অংশগুলো ৮ লেনের সড়ক এবং নবীনগর থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত সড়কের বাজার অংশগুলো ৬ লেনে উন্নীতকরণ কাজ শেষ হবে।’

তিনি জানান, ‘২১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন দ্বিতীয় আমিনবাজার সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৩৩ মিটার এবং প্রস্থ প্রায় ৩৪ মিটার। এছাড়া ৮০০ মিটার সংযোগ সড়ক রয়েছে। এ সেতুটির নির্মাণ কাজের অগ্রগতি শতকরা ২৫ ভাগ এবং আমিনবাজার থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত সড়কের বাজার অংশগুলো ৮ ও ৬ লেনে উন্নীতকরণ কাজের অগ্রগতি শতকরা ৫৬ ভাগ।’

বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১ , ২১ আশ্বিন ১৪২৮ ২৭ সফর ১৪৪৩

নির্বাচন কমিশন নিয়ে সংশয় থাকার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

নির্বাচন কমিশন নিয়ে সংশয় থাকার কোন কারণ নেই বলে জানিয়েছেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে বিএনপিরও প্রতিনিধিত্ব থাকে। এখন যে নির্বাচন কমিশন আছে এখানেও তাদের একজন দলীয় কমিশনার আছেন। যিনি প্রায়ই বক্তব্য দিয়ে থাকেন এবং নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত করেন। বিএনপি যে সুরে কথা বলে, তাদের নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিও সেই সুরেই কথা বলেন।’

গতকাল ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। পরিদর্শনকালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খানসহ সওজ’র অন্য কর্মকর্তা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন নিয়ে খেলা করার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বিশ্বের অন্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশে ঠিক সেভাবেই নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষের দিকে। প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনার পর সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের এখানে খেলাধুলা করার প্রয়োজন নেই। নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচনে সরকারের কোন হস্তক্ষেপ থাকবে না। আমাদের সংবিধানে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের বিষয়ে বলা আছে। নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রশাসনিক এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এমনকি সেনাবাহিনীর টাস্কফোর্সও দায়িত্ব পালন করে থাকে। সেটা সরকারের অধীনে থাকে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন চলে যায় নির্বাচন কমিশনের অধীনে।’

সেতুর অগ্রগতি নিয়ে সড়ক ও সেতু মন্ত্রী বলেন, ‘২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারীতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ২য় আমিনবাজর সেতু চালু করা হবে। ২০২২ সালের জুনে মধ্যে সাভার বাজারসহ আমিনবাজার থেকে নবীনগর পর্যন্ত সড়কের বাজার অংশগুলো ৮ লেনের সড়ক এবং নবীনগর থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত সড়কের বাজার অংশগুলো ৬ লেনে উন্নীতকরণ কাজ শেষ হবে।’

তিনি জানান, ‘২১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন দ্বিতীয় আমিনবাজার সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৩৩ মিটার এবং প্রস্থ প্রায় ৩৪ মিটার। এছাড়া ৮০০ মিটার সংযোগ সড়ক রয়েছে। এ সেতুটির নির্মাণ কাজের অগ্রগতি শতকরা ২৫ ভাগ এবং আমিনবাজার থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত সড়কের বাজার অংশগুলো ৮ ও ৬ লেনে উন্নীতকরণ কাজের অগ্রগতি শতকরা ৫৬ ভাগ।’