ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চায় বাংলাদেশ

চলমান সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ জয়ের পর তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভারতকে রুখে দেয় বাংলাদেশ। জামাল ভূঁইয়ারা সামনেও এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান। বৃহস্পতিবার তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক মালদ্বীপের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে সমর্থকদের ভালোবাসা আদায় করে নেয়া জিকো, ইয়াসিন আরাফাতরা মালদ্বীপের বিপক্ষেও দুর্দান্ত খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান। 

গতকাল অনুশীলন শেষে গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো বলেন, ‘আমরা এখন পজেটিভ ফুটবল খেলছি। পাসিং ফুটবল খেলার চেষ্টা করছি। সবার আত্মবিশ্বাস রয়েছে, আমরা এখন যে ফুটবলটা খেলছি সামনেও সেটি খেলতে চাই। ভারত অবশ্যই র‌্যাংকিংয়ে অনেক ভালো একটা দল। তাদের ব্যবধানটা সবসময় গড়ে দিচ্ছেন সুনিল ছেত্রী। আমরা অনেকগুলো সুযোগ পেয়েছিলাম। যদি কাজে লাগাতে পারতাম ম্যাচটা জিততে পারতাম। এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই।’

জিকো মনে করেন ভবিষ্যতে ভারতকে হারিয়ে দিতে পারবে বাংলাদেশ। তার কথায়, ‘ভারতের সঙ্গে আমরা গত কয়েক বছরে অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছি। তাই তাদের সম্পর্কে ভালো ধারণা হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা তাদেরকে হারানোর জন্যই মাঠে নামবো। ভারতের কাছে পয়েন্ট পাওয়া এ ধরনের টুর্নামেন্টে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। 

কারণ এই এক পয়েন্ট আমাদের অনেক কাজে লাগবে। বাকি দুই ম্যাচ থেকে একটা জিতলে আমাদের ফাইনালে যাবার সম্ভাবনাটা অনেক বেড়ে যাবে। গত সোমবার ম্যাচটা হেরে গেলে আমরা অনেক সমস্যায় পড়ে যেতাম। তাই ভারতের বিপক্ষের এক পয়েন্ট আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’

ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া বলেন, ‘কোচের পরিকল্পনা মাফিক খেলতে চেষ্টা করেছি। এমন খেললে আত্মবিশ্বাসটা অনেক বাড়ে। আমাদেরও বেড়েছে। শুধু আমি না, সবাই ভালো করেছে।’ দুই ম্যাচে বাংলাদেশের দুটি গোলই করেছেন দুই ডিফেন্ডার। ফরোয়ার্ডরা গোল করতে পারেননি।’

সামনের ম্যাচ নিয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসি আপনারা? 

প্রশ্নে মতিনের উত্তর, ‘ফরোয়ার্ডরা গোল করবে এটা ঠিক আছে। তবে আমি মনে করি এগারো জন মিলেই একটা দল। গোল যে কেউই করতে পারে। আমরা আশাবাদী। আমরা সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছি। ট্রেনিংয়েও কোচ ফিনিশিং নিয়ে কাজ করেছেন। আশাকরি আগামী ম্যাচে ফরোয়ার্ডরাও গোল পাবো ইনশআল্লাহ।’

আক্রমণভাগ ধারালো হলেও মালদ্বীপের রক্ষণে কিছুটা দুর্বলতা আছে। আর এই সুযোগটা কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে মতিন বলেন, ‘এটা নিয়ে কোচ কাজ করবেন। তাদের রক্ষণের দুর্বলতা আমাদের ফরোয়ার্ডরা কাজে লাগাবেন। এই ম্যাচটা আমরা জেতার জন্য খেলবো। কোচ আমাদের এমনভাবে ট্রেনিং করিয়েছেন যে মনে হয়েছে ভারত আমাদের কাছে কিছুই না। কোচ আমাদের মানসিকভাবে উজ্জীবিত করেছেন। যে কারণে ভারতের সঙ্গে এভাবে খেলতে পেরেছি। যখন দেখি একজন ডিফেন্ডার গোল করতে পেরেছে। তখন আমরা ফরোয়ার্ডরা আরও সাহস পাই, উজ্জীবিত হই।’ পরের ম্যাচে দু’জনকে পাচ্ছেন না অস্কার ব্রুজোন। লালকার্ড পাওয়া ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ এবং টানা দু’ম্যাচে হলুদ কার্ড পাওয়া মিডফিল্ডার রাকিব হোসেন।

বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১ , ২১ আশ্বিন ১৪২৮ ২৭ সফর ১৪৪৩

ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চায় বাংলাদেশ

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক 

image

চলমান সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ জয়ের পর তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভারতকে রুখে দেয় বাংলাদেশ। জামাল ভূঁইয়ারা সামনেও এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান। বৃহস্পতিবার তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক মালদ্বীপের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে সমর্থকদের ভালোবাসা আদায় করে নেয়া জিকো, ইয়াসিন আরাফাতরা মালদ্বীপের বিপক্ষেও দুর্দান্ত খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান। 

গতকাল অনুশীলন শেষে গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো বলেন, ‘আমরা এখন পজেটিভ ফুটবল খেলছি। পাসিং ফুটবল খেলার চেষ্টা করছি। সবার আত্মবিশ্বাস রয়েছে, আমরা এখন যে ফুটবলটা খেলছি সামনেও সেটি খেলতে চাই। ভারত অবশ্যই র‌্যাংকিংয়ে অনেক ভালো একটা দল। তাদের ব্যবধানটা সবসময় গড়ে দিচ্ছেন সুনিল ছেত্রী। আমরা অনেকগুলো সুযোগ পেয়েছিলাম। যদি কাজে লাগাতে পারতাম ম্যাচটা জিততে পারতাম। এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই।’

জিকো মনে করেন ভবিষ্যতে ভারতকে হারিয়ে দিতে পারবে বাংলাদেশ। তার কথায়, ‘ভারতের সঙ্গে আমরা গত কয়েক বছরে অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছি। তাই তাদের সম্পর্কে ভালো ধারণা হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা তাদেরকে হারানোর জন্যই মাঠে নামবো। ভারতের কাছে পয়েন্ট পাওয়া এ ধরনের টুর্নামেন্টে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। 

কারণ এই এক পয়েন্ট আমাদের অনেক কাজে লাগবে। বাকি দুই ম্যাচ থেকে একটা জিতলে আমাদের ফাইনালে যাবার সম্ভাবনাটা অনেক বেড়ে যাবে। গত সোমবার ম্যাচটা হেরে গেলে আমরা অনেক সমস্যায় পড়ে যেতাম। তাই ভারতের বিপক্ষের এক পয়েন্ট আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’

ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া বলেন, ‘কোচের পরিকল্পনা মাফিক খেলতে চেষ্টা করেছি। এমন খেললে আত্মবিশ্বাসটা অনেক বাড়ে। আমাদেরও বেড়েছে। শুধু আমি না, সবাই ভালো করেছে।’ দুই ম্যাচে বাংলাদেশের দুটি গোলই করেছেন দুই ডিফেন্ডার। ফরোয়ার্ডরা গোল করতে পারেননি।’

সামনের ম্যাচ নিয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসি আপনারা? 

প্রশ্নে মতিনের উত্তর, ‘ফরোয়ার্ডরা গোল করবে এটা ঠিক আছে। তবে আমি মনে করি এগারো জন মিলেই একটা দল। গোল যে কেউই করতে পারে। আমরা আশাবাদী। আমরা সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছি। ট্রেনিংয়েও কোচ ফিনিশিং নিয়ে কাজ করেছেন। আশাকরি আগামী ম্যাচে ফরোয়ার্ডরাও গোল পাবো ইনশআল্লাহ।’

আক্রমণভাগ ধারালো হলেও মালদ্বীপের রক্ষণে কিছুটা দুর্বলতা আছে। আর এই সুযোগটা কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে মতিন বলেন, ‘এটা নিয়ে কোচ কাজ করবেন। তাদের রক্ষণের দুর্বলতা আমাদের ফরোয়ার্ডরা কাজে লাগাবেন। এই ম্যাচটা আমরা জেতার জন্য খেলবো। কোচ আমাদের এমনভাবে ট্রেনিং করিয়েছেন যে মনে হয়েছে ভারত আমাদের কাছে কিছুই না। কোচ আমাদের মানসিকভাবে উজ্জীবিত করেছেন। যে কারণে ভারতের সঙ্গে এভাবে খেলতে পেরেছি। যখন দেখি একজন ডিফেন্ডার গোল করতে পেরেছে। তখন আমরা ফরোয়ার্ডরা আরও সাহস পাই, উজ্জীবিত হই।’ পরের ম্যাচে দু’জনকে পাচ্ছেন না অস্কার ব্রুজোন। লালকার্ড পাওয়া ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ এবং টানা দু’ম্যাচে হলুদ কার্ড পাওয়া মিডফিল্ডার রাকিব হোসেন।