চোরাই স্বর্ণ উদ্ধারে বিমানের সহযোগিতা মেলে না-শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর

শাহাজালালে ১০ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার

চোরাই স্বর্ণ উদ্ধারের অভিযানে বিমানের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুর রউফ। বিমানের দুবাই ফ্লাইট থেকে স্বর্ণের বড় একটি চালান আটকের পরদিন বুধবার রাজধানীর কাকরাইলে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি। শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের প্রধানের এই অভিযোগের বিষয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিমানের কোন প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। দুবাই থেকে গত মঙ্গলবার আসা বিমানের ফ্লাইটে ১২০টি স্বর্ণের বার পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দারা। এর বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।

আবদুর রউফ বলেন, বিমানের বডিতে কয়েকটি স্পর্শকাতর জায়গায় ‘স্ক্রু’ দিয়ে খুলে চোরাচালান পণ্য ঢুকিয়ে রাখা হয়। ১২০টি স্বর্ণের বার উদ্ধারের সময় বিমান কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিলাম কয়েকটি সেনসেটিভ প্লেস খুলে দিতে, তারা দেয়নি। তারা বলে- টেকনিশিয়ান নেই, চিঠি লিখতে হবে, চিঠি দেন। খুব ভালো সহযোগিতা বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে পেয়েছি বলে বলতে পারব না বলেন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

স্বর্ণের বারগুলো বিমানের টয়লেটে টিস্যুবক্স রাখার চেম্বারের নিচে প্রকোষ্ঠে এবং ব্যবহৃত টিস্যু রাখার জায়গায় কালো স্কচটেপে মুড়িয়ে রাখা ছিল। প্রায় ১৪ কেজি ওজনের এই বারগুলো ছয়টি বান্ডেলে ছিল। রউফ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, বিমানে যাত্রী উঠার আগে এসব রাখা হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, স্বর্ণ উদ্ধারের সময় বিমানের কেউ ছিল না। বিমানের কাউকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। বিমানও জব্দ করা হয়নি। বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে, তারা তদন্ত করবে।

বিমানের কোন ক্রুকে গ্রেপ্তার না করা বা বিমান জব্দ না করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রউফ বলেন, গ্রেপ্তার বা বিমান জব্দ করতে পারলে ভালোই হত। তবে জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিবেচনায় তেমন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিমান পথে অবৈধভাবে আসা ৪০ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। গত অর্থ বছরে ১৭৪ কেজি এবং এর আগের অর্থ বছরে ১৮০ কেজি চোরাই স্বর্ণ উদ্ধার উদ্ধার করা হয়। ইদানিং স্বর্ণ চোরাচালান বেড়েছে মন্তব্য করে মহাপরিচালক রউফ জানান, বৈধভাবে দুটি স্বর্ণের বার আনা লোকের সংখ্যাও বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২১ , ২২ আশ্বিন ১৪২৮ ২৮ সফর ১৪৪৩

চোরাই স্বর্ণ উদ্ধারে বিমানের সহযোগিতা মেলে না-শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর

শাহাজালালে ১০ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

চোরাই স্বর্ণ উদ্ধারের অভিযানে বিমানের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুর রউফ। বিমানের দুবাই ফ্লাইট থেকে স্বর্ণের বড় একটি চালান আটকের পরদিন বুধবার রাজধানীর কাকরাইলে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি। শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের প্রধানের এই অভিযোগের বিষয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিমানের কোন প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। দুবাই থেকে গত মঙ্গলবার আসা বিমানের ফ্লাইটে ১২০টি স্বর্ণের বার পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দারা। এর বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।

আবদুর রউফ বলেন, বিমানের বডিতে কয়েকটি স্পর্শকাতর জায়গায় ‘স্ক্রু’ দিয়ে খুলে চোরাচালান পণ্য ঢুকিয়ে রাখা হয়। ১২০টি স্বর্ণের বার উদ্ধারের সময় বিমান কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিলাম কয়েকটি সেনসেটিভ প্লেস খুলে দিতে, তারা দেয়নি। তারা বলে- টেকনিশিয়ান নেই, চিঠি লিখতে হবে, চিঠি দেন। খুব ভালো সহযোগিতা বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে পেয়েছি বলে বলতে পারব না বলেন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

স্বর্ণের বারগুলো বিমানের টয়লেটে টিস্যুবক্স রাখার চেম্বারের নিচে প্রকোষ্ঠে এবং ব্যবহৃত টিস্যু রাখার জায়গায় কালো স্কচটেপে মুড়িয়ে রাখা ছিল। প্রায় ১৪ কেজি ওজনের এই বারগুলো ছয়টি বান্ডেলে ছিল। রউফ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, বিমানে যাত্রী উঠার আগে এসব রাখা হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, স্বর্ণ উদ্ধারের সময় বিমানের কেউ ছিল না। বিমানের কাউকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। বিমানও জব্দ করা হয়নি। বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে, তারা তদন্ত করবে।

বিমানের কোন ক্রুকে গ্রেপ্তার না করা বা বিমান জব্দ না করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রউফ বলেন, গ্রেপ্তার বা বিমান জব্দ করতে পারলে ভালোই হত। তবে জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিবেচনায় তেমন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিমান পথে অবৈধভাবে আসা ৪০ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। গত অর্থ বছরে ১৭৪ কেজি এবং এর আগের অর্থ বছরে ১৮০ কেজি চোরাই স্বর্ণ উদ্ধার উদ্ধার করা হয়। ইদানিং স্বর্ণ চোরাচালান বেড়েছে মন্তব্য করে মহাপরিচালক রউফ জানান, বৈধভাবে দুটি স্বর্ণের বার আনা লোকের সংখ্যাও বেড়েছে।