চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাশিয়ালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে অনৈতিকভাবে নিয়োগ দেয়ায় দুদুকের কাছে দেয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
গত সোমবার দুদুকের চিঠি পেয়ে তদন্তে আসেন চাঁদপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গিয়াস উদ্দিন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে একটি টিম। অভিযোগ রয়েছে, কয়েকবছর পূর্বে এমপিও তালিকাভুক্ত হওয়া ফরিদগঞ্জ উপজেলা ৭নং পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের শাশিয়ালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি সফিকুল ইসলাম তপাদারের স্ত্রী সেলিনা বেগম(ইনডেক্স নং হ ৫৬৮০০৩৪০)কে নিয়োগ দেয়া হয়।
কিন্তু নিয়োগ বিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলে গত ২৭ জুলাই দুদুকের কাছে লিখিত অভিযোগ করে স্থানীয় আনোয়ার হোসেন ও সোহাগ পাটওয়ারী।
আনোয়ার হোসেন ও সোহাগ পাটওয়ারী জানান, এমপিও নীতিমালা ২০১৮/১৯ মোতাবেক সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে ১০ বছর নিয়মিত চাকরি করার নিয়ম থাকলেও নিয়োগ পাওয়া সেলিনা বেগম ননএমপিও অবস্থায় ২০০৫ সালে এই প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেখানো হলেও তিনি স্বামীর সাথে ঢাকায় বসবাস করেছেন। কখনোই বিদ্যালয়ের আসেননি। ফলে তিনি নিয়মিত শিক্ষক নন। যা অনিয়ম।
দশম শ্রেণীর ছাত্র আরমান মজুমদারসহ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, আমরা ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে এই বিদ্যালয়ে পড়ছি। সেলিনা ম্যাডামকে কোনদিন বিদ্যালয়ে কোনদিন ক্লাস করতে দেখিনি।
তদন্ত শেষে সাংবাদিকদের জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন পাটওয়ারী জানান, কাগজপত্র দেখেছি। তাদেরকে আরো চাহিদা মাফিক আরো কাগজ দিতে বলেছি। আগামী ১৪ তারিখের মধ্যে আমাদের রির্পোট প্রদান করতে হবে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন জানান, আমি তাদের চাহিদা মোতাবেক কাগজপত্র সরবরাহ করেছি।
বৃহস্পতিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২১ , ২২ আশ্বিন ১৪২৮ ২৮ সফর ১৪৪৩
সংবাদদাতা, ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর)
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাশিয়ালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে অনৈতিকভাবে নিয়োগ দেয়ায় দুদুকের কাছে দেয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
গত সোমবার দুদুকের চিঠি পেয়ে তদন্তে আসেন চাঁদপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গিয়াস উদ্দিন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে একটি টিম। অভিযোগ রয়েছে, কয়েকবছর পূর্বে এমপিও তালিকাভুক্ত হওয়া ফরিদগঞ্জ উপজেলা ৭নং পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের শাশিয়ালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি সফিকুল ইসলাম তপাদারের স্ত্রী সেলিনা বেগম(ইনডেক্স নং হ ৫৬৮০০৩৪০)কে নিয়োগ দেয়া হয়।
কিন্তু নিয়োগ বিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলে গত ২৭ জুলাই দুদুকের কাছে লিখিত অভিযোগ করে স্থানীয় আনোয়ার হোসেন ও সোহাগ পাটওয়ারী।
আনোয়ার হোসেন ও সোহাগ পাটওয়ারী জানান, এমপিও নীতিমালা ২০১৮/১৯ মোতাবেক সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে ১০ বছর নিয়মিত চাকরি করার নিয়ম থাকলেও নিয়োগ পাওয়া সেলিনা বেগম ননএমপিও অবস্থায় ২০০৫ সালে এই প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেখানো হলেও তিনি স্বামীর সাথে ঢাকায় বসবাস করেছেন। কখনোই বিদ্যালয়ের আসেননি। ফলে তিনি নিয়মিত শিক্ষক নন। যা অনিয়ম।
দশম শ্রেণীর ছাত্র আরমান মজুমদারসহ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, আমরা ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে এই বিদ্যালয়ে পড়ছি। সেলিনা ম্যাডামকে কোনদিন বিদ্যালয়ে কোনদিন ক্লাস করতে দেখিনি।
তদন্ত শেষে সাংবাদিকদের জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন পাটওয়ারী জানান, কাগজপত্র দেখেছি। তাদেরকে আরো চাহিদা মাফিক আরো কাগজ দিতে বলেছি। আগামী ১৪ তারিখের মধ্যে আমাদের রির্পোট প্রদান করতে হবে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন জানান, আমি তাদের চাহিদা মোতাবেক কাগজপত্র সরবরাহ করেছি।