রংপুরে স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ ধর্ষকের যাবজ্জীবন

রংপুর ক্যান্টনম্যান্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে ৯ দিন আটকে রেখে উপযুপরি ধর্ষণের অভিযোগে আসামি মেহেদী হাসান রাব্বিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ১-এর বিচারক জাবিদ হোসেন এ রায় প্রদান করেন। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, রংপুর নগরীর ধাপ শ্যামলী লেন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে শিক্ষা অফিসার নুর মোহাম্মদ ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তি করে লেখাপড়া করাতেন এবং পরিবার পরিজন নিয়ে বাস করতেন। তার বড় মেয়ে রংপুর ক্যান্টঃ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। একই এলাকার মেহেদী হাসান রাব্বি নামে এক বখাটে যুবক মেয়েটি স্কুলে যাতায়াত করার সময় প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো।

২০১৮ সালের ৭ জুলাই তারিখে ওই শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে স্কুলের কাছে রংপুর সেনানিবাসসংলগ্ন চেকপোস্টের কাছে এলে আসামি রাব্বি ও তার সহযোগীরা মেয়েটিকে অপহরণ করে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনদিন পর শিক্ষার্থীর বাবা নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। পুলিশ ৯ দিন পর ১৭ জুলাই তারিখে ঢাকার আশুলিয়া থেকে অপহৃত স্কুল শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। আসামি রাব্বি তাকে ৯ দিন ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় তদন্ত শেষে পুলিশ আসামি রাব্বিসহ ৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ইং তারিখে চার্জশিট দাখিল করে। মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিচারক আসামি রাব্বিকে ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অপহরণের অভিযোগে ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। আসামি পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করে বিচারক। সেই সঙ্গে ৪ আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর রায় কার্যকর হবে।

সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী খন্দকার রফিক হাসনাইন অ্যাডভোকেট জানান, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। এ রায়ে আমরা ও ভিকটিমের পরিবার সন্তুষ্ট। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আবদুল রউফ অ্যাডভোকেট এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানান।

বৃহস্পতিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২১ , ২২ আশ্বিন ১৪২৮ ২৮ সফর ১৪৪৩

রংপুরে স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ ধর্ষকের যাবজ্জীবন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

রংপুর ক্যান্টনম্যান্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে ৯ দিন আটকে রেখে উপযুপরি ধর্ষণের অভিযোগে আসামি মেহেদী হাসান রাব্বিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ১-এর বিচারক জাবিদ হোসেন এ রায় প্রদান করেন। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, রংপুর নগরীর ধাপ শ্যামলী লেন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে শিক্ষা অফিসার নুর মোহাম্মদ ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তি করে লেখাপড়া করাতেন এবং পরিবার পরিজন নিয়ে বাস করতেন। তার বড় মেয়ে রংপুর ক্যান্টঃ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। একই এলাকার মেহেদী হাসান রাব্বি নামে এক বখাটে যুবক মেয়েটি স্কুলে যাতায়াত করার সময় প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো।

২০১৮ সালের ৭ জুলাই তারিখে ওই শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে স্কুলের কাছে রংপুর সেনানিবাসসংলগ্ন চেকপোস্টের কাছে এলে আসামি রাব্বি ও তার সহযোগীরা মেয়েটিকে অপহরণ করে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনদিন পর শিক্ষার্থীর বাবা নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। পুলিশ ৯ দিন পর ১৭ জুলাই তারিখে ঢাকার আশুলিয়া থেকে অপহৃত স্কুল শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। আসামি রাব্বি তাকে ৯ দিন ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় তদন্ত শেষে পুলিশ আসামি রাব্বিসহ ৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ইং তারিখে চার্জশিট দাখিল করে। মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিচারক আসামি রাব্বিকে ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অপহরণের অভিযোগে ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। আসামি পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করে বিচারক। সেই সঙ্গে ৪ আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর রায় কার্যকর হবে।

সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী খন্দকার রফিক হাসনাইন অ্যাডভোকেট জানান, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। এ রায়ে আমরা ও ভিকটিমের পরিবার সন্তুষ্ট। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আবদুল রউফ অ্যাডভোকেট এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানান।