চীন ২০২৫ সালের মধ্যে তাইওয়ান দখলে নিতে পারে

২০২৫ সালের ভেতর চীন তাইওয়ানে সর্বাত্মক আক্রমণ চালাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চীন ২০২৫ সালের ভেতর তাইওয়ানে সর্বাত্মক আক্রমণ চালাতে পারে বলে মন্ত্র¿ব্য করেছেন দ্বীপটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কুও-চেং। চীন ও তাইয়ানের সাম্প্রতিক উত্তেজনা গত ৪০ বছরে দেখা যায়নি বলেও জানান তিনি। চায়না টাইমসে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এসব মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

চিউ বলেন, ‘তাইওয়ানে হামলা চালাতে চীন এখনই সক্ষম। তবে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় রেখে এ মুহূর্তে যুদ্ধের সূত্রপাত করবে না চীন।

‘তাইওয়ানে আক্রমণ চালাতে নিজেদের পুরোপুরি প্রস্তুতে দেশটির আরও তিন বছর সময় লাগবে।’

শুক্রবার থেকে শুরু করে গত চার দিনে তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রায় দেড়শটি যুদ্ধবিমান পাঠায় চীন।

তাইওয়ানকে নিজেদের অঙ্গরাজ্য দাবি করা চীন ফের এটি দখলে বিভিন্ন সময়ে অঙ্গীকার করে। এ ছাড়া তাইওয়ানের নির্বাচিত সরকারকে শুরু থেকেই ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে আসছে চীন।

অন্যদিকে নিজেদের সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দেখে তাইওয়ান।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেন, ‘তাইওয়ান মোটেই দুঃসাহসী নয়। নিজেদের আত্মরক্ষার স্বার্থে সবকিছু করতে প্রস্তুত আমরা।’

সম্প্রতি ৮.৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বিশেষ প্রতিরক্ষা বাজেট বিল পর্যালোচনা করে দেখছে তাইওয়ানের আইনসভা। এ বাজেটের দুই-তৃতীয়াংশ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো জাহাজবিধ্বংসী অস্ত্রের পেছনে ব্যয় করা হবে।

এ ছাড়া এই অর্থ দিয়ে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ও বিপুল সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে তাইওয়ান সরকার।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ সংসদীয় এক কমিটিকে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ‘ভীষণ গুরুতর’ বলে অভিহিত করেছেন।

তাইওয়ানের সেনাবাহিনীতে ৪০ বছর আগে যোগ দেন চিউ। তার ভাষ্য, চলমান পরিস্থিতি সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার পর কখনো দেখেননি।

চিউ জানান, স্পর্শকাতর তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘চীনের সামরিক হুমকি ও উসকানি আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি। বিদ্যমান সংকট এর মাধ্যমে দ্রুত বাড়তে পারে।’

এদিকে, তাইওয়ান প্রসঙ্গে চীন ‘তাইওয়ান রিলেশন অ্যাক্ট’ চুক্তি মেনে চলবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে তার। রয়টার্স

হোয়াইট হাউজে উপস্থিত সাংবাদিকদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি তাইওয়ান প্রসঙ্গে শি’র সঙ্গে কথা বলেছি এবং উভয়ই এ বিষয়ে সম্মত হয়েছি যে, আমরা তাইওয়ান চুক্তি মেনে চলব।’

‘আমাদের আলোচনা বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল এবং আমার মনে হয় না শি এমন কিছু করবে যা তাইওয়ান চুক্তির পরিপন্থী।’

চীন ও তাইওয়ানের বিষয়ে ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরে ‘এক চীন নীতি’ মেনে চলছে। এই নীতির আওতায় বরাবর বেইজিংকে তাইপের (তাইওয়ানের রাজধানী) চেয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়।

অন্যদিকে, তাইওয়ান চুক্তি বা ‘তাইওয়ান রিলেশন অ্যাক্ট’ অনুযায়ী, কূটনৈতিক সম্পর্কগত দিক থেকে তাইপের পরিবর্তে বেইজিংকে প্রাধান্য দেবে ওয়াশিংটন। তার পরিবর্তে তাইওয়ানে অস্থিরতা সৃষ্টি থেকে বিরত থাকবে চীন এবং তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ শান্তিপূর্ণভাবে নির্ধারিত হবে।

বেইজিং ও তাইপের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই সি চিন পিংয়ের সঙ্গে তাইওয়ান নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা জানালেন বাইডেন বাইডেন। মিশিগান সফর থেকে ফিরেই হোয়াইট হাউজে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন তিনি।

চীন বরাবরই তাইওয়ানকে তার নিজস্ব ভূখণ্ড মনে করে, এবং প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে হলেও তাইওয়ানকে নিজেদের সীমানাভুক্ত করতে বদ্ধপরিকর দেশটির সরকার।

অন্যদিকে তাইওয়ান নিজেকে দাবি করে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে এবং নিজেদের স্বাধীনতা-গণতন্ত্র রক্ষায় অত্যন্ত সচেতন এই ভূখণ্ডের জনগণ বরাবরই চীনের বিরুদ্ধে দখলদারিত্ব ও অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ করে আসছে।

ইদানিং ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে বেইজিং ও তাইপের মধ্যে। তাইওয়ানের সরকারের অভিযোগ- সম্প্রতি তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনের বিমান বাহিনীর অন্তত ১৪৮টি যুদ্ধবিমান অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে।

সবশেষ পাঠানো বিমানবহরে ৩৪টি জে-১৬ যুদ্ধবিমান ও পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ১২টি এইচ-৬ বোমারু বিমান ছিল বলে অভিযোগে জানিয়েছে তাইওয়ান।

এই অভিযোগের জেরে গত যুক্তরাষ্ট্র চীনকে তাইওয়ানের কাছাকাছি বেইজিংয়ের সামরিক তৎপরতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘তাইওয়ানের কাছে চীনের উসকানিমূলক সামরিক তৎপরতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। এতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হচ্ছে। ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট হচ্ছে।’

গত ৯ সেপ্টেম্বর জো বাইডেন ও সি চিন পিং প্রায় দেড় ঘণ্টা ফোনালাপ করেন। সেই ফোনালাপের পর একটি বিবৃতি প্রকাশ করে হোয়াইট হাউজ।

সেখানে বলা হয়, ফোনালাপে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। যেসব ক্ষেত্রে দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে, তার পাশাপাশি যেসব ক্ষেত্রে দুই দেশের স্বার্থ, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গিতে ভিন্নতা রয়েছে, সেগুলো নিয়ে তাদের কথা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২১ , ২২ আশ্বিন ১৪২৮ ২৮ সফর ১৪৪৩

চীন ২০২৫ সালের মধ্যে তাইওয়ান দখলে নিতে পারে

তাইওয়ান চুক্তি মেনে চলবে চীন : বাইডেন

image

২০২৫ সালের ভেতর চীন তাইওয়ানে সর্বাত্মক আক্রমণ চালাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চীন ২০২৫ সালের ভেতর তাইওয়ানে সর্বাত্মক আক্রমণ চালাতে পারে বলে মন্ত্র¿ব্য করেছেন দ্বীপটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কুও-চেং। চীন ও তাইয়ানের সাম্প্রতিক উত্তেজনা গত ৪০ বছরে দেখা যায়নি বলেও জানান তিনি। চায়না টাইমসে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এসব মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

চিউ বলেন, ‘তাইওয়ানে হামলা চালাতে চীন এখনই সক্ষম। তবে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় রেখে এ মুহূর্তে যুদ্ধের সূত্রপাত করবে না চীন।

‘তাইওয়ানে আক্রমণ চালাতে নিজেদের পুরোপুরি প্রস্তুতে দেশটির আরও তিন বছর সময় লাগবে।’

শুক্রবার থেকে শুরু করে গত চার দিনে তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রায় দেড়শটি যুদ্ধবিমান পাঠায় চীন।

তাইওয়ানকে নিজেদের অঙ্গরাজ্য দাবি করা চীন ফের এটি দখলে বিভিন্ন সময়ে অঙ্গীকার করে। এ ছাড়া তাইওয়ানের নির্বাচিত সরকারকে শুরু থেকেই ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে আসছে চীন।

অন্যদিকে নিজেদের সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দেখে তাইওয়ান।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেন, ‘তাইওয়ান মোটেই দুঃসাহসী নয়। নিজেদের আত্মরক্ষার স্বার্থে সবকিছু করতে প্রস্তুত আমরা।’

সম্প্রতি ৮.৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বিশেষ প্রতিরক্ষা বাজেট বিল পর্যালোচনা করে দেখছে তাইওয়ানের আইনসভা। এ বাজেটের দুই-তৃতীয়াংশ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো জাহাজবিধ্বংসী অস্ত্রের পেছনে ব্যয় করা হবে।

এ ছাড়া এই অর্থ দিয়ে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ও বিপুল সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে তাইওয়ান সরকার।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ সংসদীয় এক কমিটিকে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ‘ভীষণ গুরুতর’ বলে অভিহিত করেছেন।

তাইওয়ানের সেনাবাহিনীতে ৪০ বছর আগে যোগ দেন চিউ। তার ভাষ্য, চলমান পরিস্থিতি সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার পর কখনো দেখেননি।

চিউ জানান, স্পর্শকাতর তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘চীনের সামরিক হুমকি ও উসকানি আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি। বিদ্যমান সংকট এর মাধ্যমে দ্রুত বাড়তে পারে।’

এদিকে, তাইওয়ান প্রসঙ্গে চীন ‘তাইওয়ান রিলেশন অ্যাক্ট’ চুক্তি মেনে চলবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে তার। রয়টার্স

হোয়াইট হাউজে উপস্থিত সাংবাদিকদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি তাইওয়ান প্রসঙ্গে শি’র সঙ্গে কথা বলেছি এবং উভয়ই এ বিষয়ে সম্মত হয়েছি যে, আমরা তাইওয়ান চুক্তি মেনে চলব।’

‘আমাদের আলোচনা বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল এবং আমার মনে হয় না শি এমন কিছু করবে যা তাইওয়ান চুক্তির পরিপন্থী।’

চীন ও তাইওয়ানের বিষয়ে ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরে ‘এক চীন নীতি’ মেনে চলছে। এই নীতির আওতায় বরাবর বেইজিংকে তাইপের (তাইওয়ানের রাজধানী) চেয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়।

অন্যদিকে, তাইওয়ান চুক্তি বা ‘তাইওয়ান রিলেশন অ্যাক্ট’ অনুযায়ী, কূটনৈতিক সম্পর্কগত দিক থেকে তাইপের পরিবর্তে বেইজিংকে প্রাধান্য দেবে ওয়াশিংটন। তার পরিবর্তে তাইওয়ানে অস্থিরতা সৃষ্টি থেকে বিরত থাকবে চীন এবং তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ শান্তিপূর্ণভাবে নির্ধারিত হবে।

বেইজিং ও তাইপের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই সি চিন পিংয়ের সঙ্গে তাইওয়ান নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা জানালেন বাইডেন বাইডেন। মিশিগান সফর থেকে ফিরেই হোয়াইট হাউজে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন তিনি।

চীন বরাবরই তাইওয়ানকে তার নিজস্ব ভূখণ্ড মনে করে, এবং প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে হলেও তাইওয়ানকে নিজেদের সীমানাভুক্ত করতে বদ্ধপরিকর দেশটির সরকার।

অন্যদিকে তাইওয়ান নিজেকে দাবি করে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে এবং নিজেদের স্বাধীনতা-গণতন্ত্র রক্ষায় অত্যন্ত সচেতন এই ভূখণ্ডের জনগণ বরাবরই চীনের বিরুদ্ধে দখলদারিত্ব ও অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ করে আসছে।

ইদানিং ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে বেইজিং ও তাইপের মধ্যে। তাইওয়ানের সরকারের অভিযোগ- সম্প্রতি তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনের বিমান বাহিনীর অন্তত ১৪৮টি যুদ্ধবিমান অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে।

সবশেষ পাঠানো বিমানবহরে ৩৪টি জে-১৬ যুদ্ধবিমান ও পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ১২টি এইচ-৬ বোমারু বিমান ছিল বলে অভিযোগে জানিয়েছে তাইওয়ান।

এই অভিযোগের জেরে গত যুক্তরাষ্ট্র চীনকে তাইওয়ানের কাছাকাছি বেইজিংয়ের সামরিক তৎপরতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘তাইওয়ানের কাছে চীনের উসকানিমূলক সামরিক তৎপরতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। এতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হচ্ছে। ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট হচ্ছে।’

গত ৯ সেপ্টেম্বর জো বাইডেন ও সি চিন পিং প্রায় দেড় ঘণ্টা ফোনালাপ করেন। সেই ফোনালাপের পর একটি বিবৃতি প্রকাশ করে হোয়াইট হাউজ।

সেখানে বলা হয়, ফোনালাপে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। যেসব ক্ষেত্রে দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে, তার পাশাপাশি যেসব ক্ষেত্রে দুই দেশের স্বার্থ, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গিতে ভিন্নতা রয়েছে, সেগুলো নিয়ে তাদের কথা হয়েছে।