নিবন্ধন না হলে চালু হবে না অনলাইন পোর্টাল : তথ্যমন্ত্রী

আগামী বছর থেকে অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রকাশের আগেই নিবন্ধন নিতে হবে।

অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে শৃঙ্খলা আনতে এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা জানান।

অনলাইন সংবাদ মাধ্যমকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে ২০২০ সালে নিবন্ধনের উদ্যোগ গ্রহণ করে সরকার। প্রকাশিত আড়াই শতাধিক অনলাইন সংবাদপত্রকে নিবন্ধনের অনুমতি দেয়ার পর এখন প্রকাশের আগেই নিবন্ধন নেয়ার পদ্ধতি চালুর কথা জানালেন তথ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ‘পত্রিকা প্রকাশ করতে হলে প্রথমে ডিক্লারেশন নিতে হয়, এছাড়া কেউ পত্রিকা প্রকাশ করতে পারে না। অনলাইনের ক্ষেত্রে তো সেটা হওয়া সমীচীন। সুতরাং আমরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া মোটামুটি একটা পর্যায়ে নিয়ে যাব। আমরা আলোচনা করেছি, আগামী বছর থেকে কোন অনলাইনকে আত্মপ্রকাশ করার আগেই রেজিস্ট্রেশন নিতে হবে। তাহলে এখানে একটা শৃঙ্খলা আসবে।’

চালু অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপাতত চালুর পর নিবন্ধন দেয়া চালু রেখেছি এজন্য যে, অনেকগুলো অনলাইন চালু আছে। আমরা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু করেছি অনেক পরে।’

সরকারের নিষেধাজ্ঞা না মেনে যেসব আইপি টিভি সংবাদ প্রচার করছে, সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি আরও বলেন, ‘যে আইপি টিভি খবর প্রচার করে, খুব সহসা সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হবে।’ আইপি টিভি পরিচালানায়ও নিবন্ধনসহ নিয়ম মানার ওপর জোর দেন তিনি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আইপি টিভি সারা পৃথিবীর বাস্তবতা, এটি নিউ মিডিয়া। এটিকে বন্ধ করা সমীচীন নয়। তবে ব্যাঙের ছাতার মতো আইপি টিভি, এটি হতে পারে না। এ জন্য আইপি টিভি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করেছি। যেগুলো সত্যিকার অর্থে কাজ করতে চায়, তাদেরকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া হবে।’

কোন আইপি টিভি কোন টেলিভিশনের নামের সঙ্গে মিল রেখে নাম দিলে নিবন্ধন দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোন অনুষ্ঠান বা সংবাদ সম্মেলন হলে এক ঝলকে যেন কোনটা টিভি আর কোনটা আইপি টিভি, এটা যেন বোঝা যায়। ওখানেও একটা শৃঙ্খলা আনতে হবে। একই ধরণের বুম (মাইক্রোফোন) যাতে ব্যবহার করতে না পারে। সেখানে যেন অ্যাট লিস্ট আইপি টিভি লেখা থাকে।’

বিদেশি চ্যানেলগুলো ক্লিনফিড যখন পাঠাবে, তখনই দেশে সেগুলোর সম্প্রচার শুরু হবে বলে জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।

সরকারি নির্দেশনা মেনে গত শুক্রবার থেকে অনুষ্ঠানের ফাঁকে বিজ্ঞাপন প্রচার করে- এমন বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশের কেবল অপারেটররা। ক্লিনফিড মানে হলো কোন বিজ্ঞাপন থাকতে পারবে না।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে কেবল অপারেটররা বলছে, বিদেশি টেলিভিশনগুলো এখন ক্লিনফিড পাঠাবে। আমি বলেছি, ক্লিডফিড পাঠালে আমরা চালাব, এতদিন পাঠায়নি কেন? ক্লিনফিড পাঠানোর দায়িত্ব তো তাদেরই। তারা অন্যান্য দেশে পাঠায় আমাদের এখানে পাঠাবে না কেন?’

‘যখন পাঠাবে তখনই সম্প্রচার শুরু হবে। এর আগে আমি কোন সময় দেয়ার পক্ষপাতী নই। অনেকগুলো চ্যানেল ক্লিনফিডসহ সম্প্রচার হচ্ছে।’

যারা ক্লিনফিড করে চ্যানেল চালু করতে পারবে তারা চালু করবে, যে পারবে না সে পারবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটির উপকার পুরো গণমাধ্যম পাবে। খুব সহসা এটির উপকার আপনারা দেখতে পাবেন। এটি দেশের স্বার্থেই করা হয়েছে।’

কেবল অপারেটররা তাদের আয় থেকে সরকারকে কর দেয় না অভিযোগ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১ নভেম্বর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সম্প্রচার মাধ্যমে ডিজিটাল করতে হবে। এটি তারা মেনেই নিয়েছেন। যখন কেবল অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটালাইজড হবে, তখন ফাঁকি দেয়া সম্ভব হবে না।’

বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন করার অতিরিক্ত ফি বাস্তবায়ন সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত কার্যকর হবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি করা হলে দেশের শিল্পীরা ও বিজ্ঞাপন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান সবাই উপকৃত হবে।

বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সংলাপে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২১ , ২২ আশ্বিন ১৪২৮ ২৮ সফর ১৪৪৩

নিবন্ধন না হলে চালু হবে না অনলাইন পোর্টাল : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আগামী বছর থেকে অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রকাশের আগেই নিবন্ধন নিতে হবে।

অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে শৃঙ্খলা আনতে এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা জানান।

অনলাইন সংবাদ মাধ্যমকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে ২০২০ সালে নিবন্ধনের উদ্যোগ গ্রহণ করে সরকার। প্রকাশিত আড়াই শতাধিক অনলাইন সংবাদপত্রকে নিবন্ধনের অনুমতি দেয়ার পর এখন প্রকাশের আগেই নিবন্ধন নেয়ার পদ্ধতি চালুর কথা জানালেন তথ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ‘পত্রিকা প্রকাশ করতে হলে প্রথমে ডিক্লারেশন নিতে হয়, এছাড়া কেউ পত্রিকা প্রকাশ করতে পারে না। অনলাইনের ক্ষেত্রে তো সেটা হওয়া সমীচীন। সুতরাং আমরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া মোটামুটি একটা পর্যায়ে নিয়ে যাব। আমরা আলোচনা করেছি, আগামী বছর থেকে কোন অনলাইনকে আত্মপ্রকাশ করার আগেই রেজিস্ট্রেশন নিতে হবে। তাহলে এখানে একটা শৃঙ্খলা আসবে।’

চালু অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপাতত চালুর পর নিবন্ধন দেয়া চালু রেখেছি এজন্য যে, অনেকগুলো অনলাইন চালু আছে। আমরা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু করেছি অনেক পরে।’

সরকারের নিষেধাজ্ঞা না মেনে যেসব আইপি টিভি সংবাদ প্রচার করছে, সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি আরও বলেন, ‘যে আইপি টিভি খবর প্রচার করে, খুব সহসা সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হবে।’ আইপি টিভি পরিচালানায়ও নিবন্ধনসহ নিয়ম মানার ওপর জোর দেন তিনি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আইপি টিভি সারা পৃথিবীর বাস্তবতা, এটি নিউ মিডিয়া। এটিকে বন্ধ করা সমীচীন নয়। তবে ব্যাঙের ছাতার মতো আইপি টিভি, এটি হতে পারে না। এ জন্য আইপি টিভি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করেছি। যেগুলো সত্যিকার অর্থে কাজ করতে চায়, তাদেরকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া হবে।’

কোন আইপি টিভি কোন টেলিভিশনের নামের সঙ্গে মিল রেখে নাম দিলে নিবন্ধন দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোন অনুষ্ঠান বা সংবাদ সম্মেলন হলে এক ঝলকে যেন কোনটা টিভি আর কোনটা আইপি টিভি, এটা যেন বোঝা যায়। ওখানেও একটা শৃঙ্খলা আনতে হবে। একই ধরণের বুম (মাইক্রোফোন) যাতে ব্যবহার করতে না পারে। সেখানে যেন অ্যাট লিস্ট আইপি টিভি লেখা থাকে।’

বিদেশি চ্যানেলগুলো ক্লিনফিড যখন পাঠাবে, তখনই দেশে সেগুলোর সম্প্রচার শুরু হবে বলে জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।

সরকারি নির্দেশনা মেনে গত শুক্রবার থেকে অনুষ্ঠানের ফাঁকে বিজ্ঞাপন প্রচার করে- এমন বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশের কেবল অপারেটররা। ক্লিনফিড মানে হলো কোন বিজ্ঞাপন থাকতে পারবে না।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে কেবল অপারেটররা বলছে, বিদেশি টেলিভিশনগুলো এখন ক্লিনফিড পাঠাবে। আমি বলেছি, ক্লিডফিড পাঠালে আমরা চালাব, এতদিন পাঠায়নি কেন? ক্লিনফিড পাঠানোর দায়িত্ব তো তাদেরই। তারা অন্যান্য দেশে পাঠায় আমাদের এখানে পাঠাবে না কেন?’

‘যখন পাঠাবে তখনই সম্প্রচার শুরু হবে। এর আগে আমি কোন সময় দেয়ার পক্ষপাতী নই। অনেকগুলো চ্যানেল ক্লিনফিডসহ সম্প্রচার হচ্ছে।’

যারা ক্লিনফিড করে চ্যানেল চালু করতে পারবে তারা চালু করবে, যে পারবে না সে পারবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটির উপকার পুরো গণমাধ্যম পাবে। খুব সহসা এটির উপকার আপনারা দেখতে পাবেন। এটি দেশের স্বার্থেই করা হয়েছে।’

কেবল অপারেটররা তাদের আয় থেকে সরকারকে কর দেয় না অভিযোগ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১ নভেম্বর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সম্প্রচার মাধ্যমে ডিজিটাল করতে হবে। এটি তারা মেনেই নিয়েছেন। যখন কেবল অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটালাইজড হবে, তখন ফাঁকি দেয়া সম্ভব হবে না।’

বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন করার অতিরিক্ত ফি বাস্তবায়ন সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত কার্যকর হবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি করা হলে দেশের শিল্পীরা ও বিজ্ঞাপন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান সবাই উপকৃত হবে।

বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সংলাপে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া উপস্থিত ছিলেন।