বিজ্ঞাপন ছাড়া অনুষ্ঠান বা ‘ক্লিনফিড’ সরবরাহ করে এমন ২৪টি টেলিভিশন চ্যানেলের তালিকা থেকে স্টার স্পোর্টস, টেন স্পোর্টস, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, ডিসকভারিসহ ১১টি চ্যানেল বাদ দিয়েছে সরকার।
গত মঙ্গলবার রাত ৮টার পর থেকে ঢাকার মহাখালী, ধানম-িসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তালিকা থেকে বাদ দেয়া চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।
সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার পর সেই চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ রেখেছেন পরিবেশক ও কেবল অপারেটররা। তারা বলছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরপরই তারা সে অনুযায়ী চ্যানেলগুলো বন্ধ রেখেছেন। এর আগে সোমবার বিকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে ‘ক্লিন ফিড’ প্রচার করে এমন ২৪টি চ্যানেলের তালিকা পাওয়ার পর বেশ কয়েকজন কেবল অপারেটর বলেছিল, স্টার স্পোর্টস, টেন স্পোর্টস, এম টিভি, ডিসকভারিসহ বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলে অনুষ্ঠানের ফাঁকে বিজ্ঞাপন প্রচার হয়।
অপারেটরদের অভিযোগের বিষয়ে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (টিভি-২) রুজিনা সুলতানা বলেছিলেন, কেবল অপারেটররা মন্ত্রণালয়ে জানালে বিষয়টি তারা দেখবেন।
গত মঙ্গলবার সকাল থেকে সম্প্রচার শুরু হওয়ার পর বেশ কয়েকটি বিদেশি টিভি চ্যানেলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শকরাও বিজ্ঞাপন প্রচারের তথ্য জানান। বিজ্ঞাপন প্রচার চলছে মানে চ্যানেলগুলো ‘ক্লিনফিড’ সরবরাহ করে না। ২০০৬ সালের কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনের ১৯(১৩) ধারায় বলা হয়েছে, বিদেশি কোন চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন সম্প্রচার বা সঞ্চালন করা যাবে না।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মধ্যে মঙ্গলবার বিকেলে পূর্বের তালিকা থেকে টেন স্পোর্টস, ডিসকভারি, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, দুবাই স্পোর্টস, মাস্তি টিভি, বিফোরইউ মিউজিক, এমটিভি, স্টার স্পোর্টস ১, স্টার স্পোর্টস-২, স্টার স্পোর্টস ৩ ও স্টার স্পোর্টস ৪ চ্যানেল বাদ দেয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
এর বাইরের তালিকায় থাকা ‘ক্লিনফিড’ সরবরাহ করে এমন ১৪টি চ্যানেলের সঙ্গে ট্রাভেল এক্সপি ও দূরদর্শন যুক্ত করে সম্প্রচারের নির্দেশ দেয়া হয়। বর্তমানে সম্প্রচারে থাকা বিদেশি চ্যানেলগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরা এইচডি, ডিডাব্লিউ, কেবিএস ওয়ার্ল্ড, এআরআই র্যাংগ টিভি, এনএইচকে ওয়ার্ল্ড, সিজিটিএন, রাশিয়া টুডে, ফ্রান্স ২৪, লোটাস, ট্রাভেল এক্সপি এইচডি, আল কুরান, আল সুন্না, ট্রাভেল এক্সপি ও দূরদর্শন। আইন বাস্তবায়নে সরকার কঠোর অবস্থান নেয়ায় বিজ্ঞাপন দেখায় এমন টেলিভিশনের পাশাপাশি ক্লিনফিড দেয়া টেলিভিশনগুলোর সম্প্রচারও গত শুক্রবার থেকে বন্ধ রেখেছিলেন পরিবেশক ও কেবল অপারেটররা।
এর মধ্যে জি বাংলা, স্টার জলসা, সনি লাইভের মতো জনপ্রিয় ভারতীয় চ্যানেল যেমন ছিল, তেমনি বিবিসি, সিএনএনের মতো নিউজ চ্যানেল এবং স্টার স্পোর্টস, টেন স্পোর্টসের মতো খেলার চ্যানেলও ছিল।
বৃহস্পতিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২১ , ২২ আশ্বিন ১৪২৮ ২৮ সফর ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
বিজ্ঞাপন ছাড়া অনুষ্ঠান বা ‘ক্লিনফিড’ সরবরাহ করে এমন ২৪টি টেলিভিশন চ্যানেলের তালিকা থেকে স্টার স্পোর্টস, টেন স্পোর্টস, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, ডিসকভারিসহ ১১টি চ্যানেল বাদ দিয়েছে সরকার।
গত মঙ্গলবার রাত ৮টার পর থেকে ঢাকার মহাখালী, ধানম-িসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তালিকা থেকে বাদ দেয়া চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।
সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার পর সেই চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ রেখেছেন পরিবেশক ও কেবল অপারেটররা। তারা বলছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরপরই তারা সে অনুযায়ী চ্যানেলগুলো বন্ধ রেখেছেন। এর আগে সোমবার বিকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে ‘ক্লিন ফিড’ প্রচার করে এমন ২৪টি চ্যানেলের তালিকা পাওয়ার পর বেশ কয়েকজন কেবল অপারেটর বলেছিল, স্টার স্পোর্টস, টেন স্পোর্টস, এম টিভি, ডিসকভারিসহ বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলে অনুষ্ঠানের ফাঁকে বিজ্ঞাপন প্রচার হয়।
অপারেটরদের অভিযোগের বিষয়ে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (টিভি-২) রুজিনা সুলতানা বলেছিলেন, কেবল অপারেটররা মন্ত্রণালয়ে জানালে বিষয়টি তারা দেখবেন।
গত মঙ্গলবার সকাল থেকে সম্প্রচার শুরু হওয়ার পর বেশ কয়েকটি বিদেশি টিভি চ্যানেলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শকরাও বিজ্ঞাপন প্রচারের তথ্য জানান। বিজ্ঞাপন প্রচার চলছে মানে চ্যানেলগুলো ‘ক্লিনফিড’ সরবরাহ করে না। ২০০৬ সালের কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনের ১৯(১৩) ধারায় বলা হয়েছে, বিদেশি কোন চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন সম্প্রচার বা সঞ্চালন করা যাবে না।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মধ্যে মঙ্গলবার বিকেলে পূর্বের তালিকা থেকে টেন স্পোর্টস, ডিসকভারি, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, দুবাই স্পোর্টস, মাস্তি টিভি, বিফোরইউ মিউজিক, এমটিভি, স্টার স্পোর্টস ১, স্টার স্পোর্টস-২, স্টার স্পোর্টস ৩ ও স্টার স্পোর্টস ৪ চ্যানেল বাদ দেয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
এর বাইরের তালিকায় থাকা ‘ক্লিনফিড’ সরবরাহ করে এমন ১৪টি চ্যানেলের সঙ্গে ট্রাভেল এক্সপি ও দূরদর্শন যুক্ত করে সম্প্রচারের নির্দেশ দেয়া হয়। বর্তমানে সম্প্রচারে থাকা বিদেশি চ্যানেলগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরা এইচডি, ডিডাব্লিউ, কেবিএস ওয়ার্ল্ড, এআরআই র্যাংগ টিভি, এনএইচকে ওয়ার্ল্ড, সিজিটিএন, রাশিয়া টুডে, ফ্রান্স ২৪, লোটাস, ট্রাভেল এক্সপি এইচডি, আল কুরান, আল সুন্না, ট্রাভেল এক্সপি ও দূরদর্শন। আইন বাস্তবায়নে সরকার কঠোর অবস্থান নেয়ায় বিজ্ঞাপন দেখায় এমন টেলিভিশনের পাশাপাশি ক্লিনফিড দেয়া টেলিভিশনগুলোর সম্প্রচারও গত শুক্রবার থেকে বন্ধ রেখেছিলেন পরিবেশক ও কেবল অপারেটররা।
এর মধ্যে জি বাংলা, স্টার জলসা, সনি লাইভের মতো জনপ্রিয় ভারতীয় চ্যানেল যেমন ছিল, তেমনি বিবিসি, সিএনএনের মতো নিউজ চ্যানেল এবং স্টার স্পোর্টস, টেন স্পোর্টসের মতো খেলার চ্যানেলও ছিল।