অনলাইনে তথ্য-বিভ্রান্তি, পদক্ষেপ চায় বাংলাদেশ

অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সৃষ্ট ঘৃণ্য বক্তব্য, জাতিগত বিদ্বেষ ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য-বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের আলোচনা সভায় দেওয়া বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান তিনি। গতকাল জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, সন্ত্রাসবাদকে কোন ধর্ম, জাতি, বিশ্বাস, সংস্কৃতি, নৃগোষ্ঠী বা সমাজের সঙ্গে যুক্ত করা উচিত নয়। কোন বিশেষ ধর্ম বা জাতীয়তার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদকে যুক্ত করার যে কোন প্রচেষ্টাকেই বাংলাদেশ প্রত্যাখ্যান করে ও তীব্র নিন্দা জানায়।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা তার বক্তব্যে সন্ত্রাসবাদ ও এর যে কোন রূপ বা ধরনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতির পুনরাবৃত্তি করেন। সন্ত্রাসবাদ, সহিংস চরমপন্থা, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও এ সংশ্লিষ্ট যে কোন হুমকি প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার যে সব আইনি ও নীতিগত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বাস্তবায়ন করেছে তা তুলে ধরেন তিনি।

এছাড়া বাংলাদেশ সরকার সহিংস উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবিলায় দেশের সক্ষমতাকে আরও সুদৃঢ় করতে জাতিসংঘ সংস্থাসমূহ, দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদার ও সিভিল সোসাইটি সংস্থার সঙ্গে নিবিড় অংশীদারত্ব বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।

বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের ওপর করোনার প্রভাবের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, করোনা মহামারী সন্ত্রাস প্রতিরোধ এবং সন্ত্রাসবিরোধী জাতীয় ও বৈশ্বিক প্রচেষ্টাগুলোকে ব্যাহত করেছে। এ ক্ষেত্রে তিনি বৈশ্বিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্থিতিশীল পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার পাশাপাশি সক্ষমতা বিনির্মাণ, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, নারী ও যুবদের ক্ষমতায়ন, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সৃষ্ট ঘৃণ্য বক্তব্য, জাতিগত বিদ্বেষ ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য-বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২১ , ২২ আশ্বিন ১৪২৮ ২৮ সফর ১৪৪৩

অনলাইনে তথ্য-বিভ্রান্তি, পদক্ষেপ চায় বাংলাদেশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সৃষ্ট ঘৃণ্য বক্তব্য, জাতিগত বিদ্বেষ ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য-বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের আলোচনা সভায় দেওয়া বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান তিনি। গতকাল জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, সন্ত্রাসবাদকে কোন ধর্ম, জাতি, বিশ্বাস, সংস্কৃতি, নৃগোষ্ঠী বা সমাজের সঙ্গে যুক্ত করা উচিত নয়। কোন বিশেষ ধর্ম বা জাতীয়তার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদকে যুক্ত করার যে কোন প্রচেষ্টাকেই বাংলাদেশ প্রত্যাখ্যান করে ও তীব্র নিন্দা জানায়।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা তার বক্তব্যে সন্ত্রাসবাদ ও এর যে কোন রূপ বা ধরনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতির পুনরাবৃত্তি করেন। সন্ত্রাসবাদ, সহিংস চরমপন্থা, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও এ সংশ্লিষ্ট যে কোন হুমকি প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার যে সব আইনি ও নীতিগত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বাস্তবায়ন করেছে তা তুলে ধরেন তিনি।

এছাড়া বাংলাদেশ সরকার সহিংস উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবিলায় দেশের সক্ষমতাকে আরও সুদৃঢ় করতে জাতিসংঘ সংস্থাসমূহ, দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদার ও সিভিল সোসাইটি সংস্থার সঙ্গে নিবিড় অংশীদারত্ব বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।

বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের ওপর করোনার প্রভাবের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, করোনা মহামারী সন্ত্রাস প্রতিরোধ এবং সন্ত্রাসবিরোধী জাতীয় ও বৈশ্বিক প্রচেষ্টাগুলোকে ব্যাহত করেছে। এ ক্ষেত্রে তিনি বৈশ্বিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্থিতিশীল পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার পাশাপাশি সক্ষমতা বিনির্মাণ, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, নারী ও যুবদের ক্ষমতায়ন, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সৃষ্ট ঘৃণ্য বক্তব্য, জাতিগত বিদ্বেষ ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য-বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।