দেশের ক্রিকেটের সবোর্চ্চ সংস্থা বিসিবির নির্বাচনে ৫৩ ভোট পেয়ে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। ক্যাটাগরি-২ থেকে ৫৭ ভোটের মধ্যে তিনি যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন।
বিসিবির সাবেক বস এবার নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি পরিচালনা পরিষদে আসলেন। কিন্তু এর আগে সরকারের মনোনয়নে একবার ও আরেকবার বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। সরকারের মনোনয়নে ২০১২ সালের অক্টোবরে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন নাজমুল হাসান পাপন। এক বছর পর আরেক অক্টোবরে নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি। চার বছর পর ২০১৭ সালের নির্বাচনে আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বোর্ড সভাপতি হন।
এবার নির্বাচন করেই ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পরিষদে আসলেন নাজমুল হাসান পাপন। ঢাকার ক্লাব আবাহনী লিমিটেডের কাউন্সিলর হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
ক্যাটাগরি-২ বা ক্লাব ক্যাটাগরির নির্বাচনেই ছিল সবার চোখ। সবচেয়ে বেশি ১২ পরিচালক নির্বাচিত হন ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে। ১২ পদের জন্য লড়েছেন ১৬ প্রার্থী। নাজমুল হাসানের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫৩ ভোট পেয়েছেন গাজী গোলাম মর্তুজা ও এনায়েত হোসেন সিরাজ।
আগের পরিচালনা পরিষদ থেকেই বেশিরভাগ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এই ক্যাটাগরির নতুন মুখ ওবেদ নিজাম, সালাহ উদ্দিন চৌধুরী, ফাহিম সিনহা, ইফতেখার রহমান, মনজুর আলম। ভোটে হেরেছেন মাসুদুজ্জামান (৫), সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া (১০), মোহাম্মদ আবদুর রহমান (৬) ও রফিকুল ইসলাম (১০)।
এছাড়া যারা ভোটে জিতে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেনÑ গাজী গোলাম মর্তুজা (৫৩), নজিব আহমেদ (৫১), মাহবুব উল আনাম (৪৭), ওবেদ রশিদ নিজাম (৫১), সালাহ উদ্দিন চৌধুরী (৪৯), ইসমাইল হায়দার মল্লিক (৫২), ফাহিম সিনহা (৫০), ইফতেখার রহমান (৫০), মনজুর কাদের (৪৯) ও মনজুর আলম (৪৬)।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
পরিচালক যারা
বিসিবির পরিচালনা পরিষদ গঠিত হয় ২৫ পরিচালক নিয়ে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে দুইজন পরিচালক পরিচালনা পরিষদে আসেন। আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি ও জালাল ইউনুস এবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে আবারও বোর্ডের পরিচালক হয়েছেন। সবশেষ তিন মেয়াদেও তারা বোর্ড পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাকি ২৩ পরিচালক আসেন তিনটি ক্যাটাগরি থেকে। প্রথম ক্যাটাগরি আঞ্চলিক জেলা ও ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি, দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে ক্লাব প্রতিনিধি, তৃতীয় ক্যাটাগরিতে সার্ভিসেস, সাবেক ক্রিকেটার, অধিনায়ক, বিশ্ববিদল্যায় ও অন্যান্য প্রতিনিধি।
ক্লাব ক্যাটাগরিতে জমজমাট লড়াই হলেও প্রথম ও তৃতীয় ক্যাটাগরিতে নিরুত্তাপ নির্বাচন হয়েছে। বিভাগ ও জেলা থেকে ১০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। এরই মধ্যে সাত কাউন্সিলর বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সিলেট থেকে শফিউল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম থেকে আকরাম খান ও আ জ ম নাসির, খুলনা থেকে শেখ সোহেল ও কাজী ইনাম আহমেদ, বরিশাল থেকে আলমগীর খান ও রংপুর থেকে অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজশাহী বিভাগ থেকে এক পদের বিপরীতে লড়েছেন দুইজন। খালেদ মাসুদ পাইলটকে ৭-২ ব্যবধানে হারিয়ে জিতেছেন সাইফুল আলম চৌধুরী স্বপন। ঢাকা বিভাগে দুই পরিচালক পদের বিপরীতে চারজন প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের ঠিক আগে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম ও মাদারীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার খালিদ হোসেন। কিন্তু মনোনয়পত্র প্রত্যাহারের নির্ধারিত দিনের পর নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয়ায় তাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়নি। ফলে এখানেও ‘বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায়’ নির্বাচিত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার তানভীর আহমেদ টিটু, মানিকগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার নাঈমুর রহমান দুর্জয়।
বৃহস্পতিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২১ , ২২ আশ্বিন ১৪২৮ ২৮ সফর ১৪৪৩
ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক
দেশের ক্রিকেটের সবোর্চ্চ সংস্থা বিসিবির নির্বাচনে ৫৩ ভোট পেয়ে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। ক্যাটাগরি-২ থেকে ৫৭ ভোটের মধ্যে তিনি যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন।
বিসিবির সাবেক বস এবার নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি পরিচালনা পরিষদে আসলেন। কিন্তু এর আগে সরকারের মনোনয়নে একবার ও আরেকবার বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। সরকারের মনোনয়নে ২০১২ সালের অক্টোবরে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন নাজমুল হাসান পাপন। এক বছর পর আরেক অক্টোবরে নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি। চার বছর পর ২০১৭ সালের নির্বাচনে আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বোর্ড সভাপতি হন।
এবার নির্বাচন করেই ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পরিষদে আসলেন নাজমুল হাসান পাপন। ঢাকার ক্লাব আবাহনী লিমিটেডের কাউন্সিলর হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
ক্যাটাগরি-২ বা ক্লাব ক্যাটাগরির নির্বাচনেই ছিল সবার চোখ। সবচেয়ে বেশি ১২ পরিচালক নির্বাচিত হন ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে। ১২ পদের জন্য লড়েছেন ১৬ প্রার্থী। নাজমুল হাসানের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫৩ ভোট পেয়েছেন গাজী গোলাম মর্তুজা ও এনায়েত হোসেন সিরাজ।
আগের পরিচালনা পরিষদ থেকেই বেশিরভাগ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এই ক্যাটাগরির নতুন মুখ ওবেদ নিজাম, সালাহ উদ্দিন চৌধুরী, ফাহিম সিনহা, ইফতেখার রহমান, মনজুর আলম। ভোটে হেরেছেন মাসুদুজ্জামান (৫), সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া (১০), মোহাম্মদ আবদুর রহমান (৬) ও রফিকুল ইসলাম (১০)।
এছাড়া যারা ভোটে জিতে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেনÑ গাজী গোলাম মর্তুজা (৫৩), নজিব আহমেদ (৫১), মাহবুব উল আনাম (৪৭), ওবেদ রশিদ নিজাম (৫১), সালাহ উদ্দিন চৌধুরী (৪৯), ইসমাইল হায়দার মল্লিক (৫২), ফাহিম সিনহা (৫০), ইফতেখার রহমান (৫০), মনজুর কাদের (৪৯) ও মনজুর আলম (৪৬)।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
পরিচালক যারা
বিসিবির পরিচালনা পরিষদ গঠিত হয় ২৫ পরিচালক নিয়ে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে দুইজন পরিচালক পরিচালনা পরিষদে আসেন। আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি ও জালাল ইউনুস এবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে আবারও বোর্ডের পরিচালক হয়েছেন। সবশেষ তিন মেয়াদেও তারা বোর্ড পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাকি ২৩ পরিচালক আসেন তিনটি ক্যাটাগরি থেকে। প্রথম ক্যাটাগরি আঞ্চলিক জেলা ও ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি, দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে ক্লাব প্রতিনিধি, তৃতীয় ক্যাটাগরিতে সার্ভিসেস, সাবেক ক্রিকেটার, অধিনায়ক, বিশ্ববিদল্যায় ও অন্যান্য প্রতিনিধি।
ক্লাব ক্যাটাগরিতে জমজমাট লড়াই হলেও প্রথম ও তৃতীয় ক্যাটাগরিতে নিরুত্তাপ নির্বাচন হয়েছে। বিভাগ ও জেলা থেকে ১০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। এরই মধ্যে সাত কাউন্সিলর বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সিলেট থেকে শফিউল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম থেকে আকরাম খান ও আ জ ম নাসির, খুলনা থেকে শেখ সোহেল ও কাজী ইনাম আহমেদ, বরিশাল থেকে আলমগীর খান ও রংপুর থেকে অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজশাহী বিভাগ থেকে এক পদের বিপরীতে লড়েছেন দুইজন। খালেদ মাসুদ পাইলটকে ৭-২ ব্যবধানে হারিয়ে জিতেছেন সাইফুল আলম চৌধুরী স্বপন। ঢাকা বিভাগে দুই পরিচালক পদের বিপরীতে চারজন প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের ঠিক আগে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম ও মাদারীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার খালিদ হোসেন। কিন্তু মনোনয়পত্র প্রত্যাহারের নির্ধারিত দিনের পর নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয়ায় তাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়নি। ফলে এখানেও ‘বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায়’ নির্বাচিত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার তানভীর আহমেদ টিটু, মানিকগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার নাঈমুর রহমান দুর্জয়।