বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থাকলেও রাতের আলোয় স্বাগতিক দর্শকদের বিরুদ্ধে খেলা চ্যালেঞ্জই বটে। রাতের আলোয় অনুশীলন করার সুযোগ অবশ্য বাংলাদেশ পায়নি মালেতে।

গত দুই ম্যাচে গোল করেছেন দুই ডিফেন্ডার। ফরোয়ার্ডদের কোন গোল নেই। ফরোয়ার্ডদের স্কোরিং নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে কোচ অস্কার ব্রুজন বলেন, ‘আপনারা দেখছেন ডিফেন্ডার গোল করছে। আমি দেখছি জামালের কর্নারের রাকিবের ফ্লিক এরপর ইয়াসিনের ফিনিশিং। শ্রীলঙ্কা ম্যাচে পেনাল্টি আদায়ও হয়েছে ফরোয়ার্ডদের মাধ্যমেই।’

ভারত ম্যাচের আগে বাংলাদেশের জন্য হুমকি ছিল সুনীল ছেত্রী। মালদ্বীপ ম্যাচের সময় আলী আশফাক। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড। আশফাকের সঙ্গে রয়েছেন আলী ফাসির। তাদের আটকানো যে কোন ডিফেন্ডারদের জন্যই চ্যালেঞ্জিং। আশফাককে প্রতিহত করা নিয়ে অস্কার বলেন, ‘অবশ্যই তাকে নিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে। সেটা এখানে প্রকাশযোগ্য নয়। শুধু এটুকু বলতে পারি। বাংলাদেশের সেরা রক্ষণ দেখা যাবে আগামী ম্যাচে।’

দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় না থাকার বিষয়টি মানসিক দৃঢ়তা দিয়ে অস্কার দেখছেন অন্যভাবে, ‘বিষয়টি ইতিবাচকভাবেও দেখা যায়। নতুন দুইজন খেলোয়াড় সুযোগ পাবেন। তারা আরও সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবে।’

দুই খেলোয়াড় না পাওয়ার মতো ম্যাচের সময় নিয়েও ইতিবাচক মনোভাব অস্কারের, ‘আমরা দুই ম্যাচ বিকেলে খেলেছি। মালদ্বীপে সবগুলোই রাতে। মালদ্বীপ ম্যাচ আমরা রাতে খেলব। ফ্লাডলাইটের আলোয় খেলা কোন সমস্যা নেই। বাংলাদেশেরও ফ্লাডলাইটের আলোয় খেলার অভিজ্ঞতা আছে।’

চার পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ ফাইনালের কক্ষপথেই আছে। মালদ্বীপ খেলেছে মাত্র এক। এই ম্যাচে মালদ্বীপ বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন পয়েন্ট নেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টাই করবে। এরপরও নিজেদের তিন পয়েন্টের ব্যাপারে সজাগ অস্কার, ‘আমরা এই ম্যাচে তিন পয়েন্টের জন্য যাব। তিন পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালের পথে ভালোভাবে এগিয়ে থাকতে চাই।’