শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে সতর্কতা

বর্তমান যুগ প্রযুক্তির। প্রযুক্তি ছাড়া আমাদের চলেই না। কিন্তু প্রযুক্তির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো দিকই রয়েছে। আর কোমলমতি শিশুরা এর নেতিবাচক প্রভাবেরই শিকার হচ্ছে বেশি। যেমন মোবাইল ফোনের ব্যবহারে কোমলমতি শিশুরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অভিভাবকরা শিশুদের খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো ও কান্না থামানোসহ নানা কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। এটি কোনভাবেই শিশুদের জন্য উপযোগী নয়। মোবাইল ফোন একদিকে যেমন শিশুর স্বাভাবিক প্রাণচাঞ্চল্যে কেড়ে নিচ্ছে, অন্যদিকে খেলার মাঠ ও স্বজনদের কাছ থেকেও দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। শিশুরা আজ গৃহবন্দী ও প্রাণচাঞ্চল্যহীন হয়ে পড়ছে। ফলে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

অভিভাবকরা ঠিক করবেন একজন শিশুর বেড়ে ওঠা কেমন হবে। তাই শিশুর হাতে কখন মোবাইল তুলে দিবেন, কতদিন পর্যন্ত দেবেন না, সেই সিদ্ধান্ত তাদের নিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্তানদের স্মার্টফোন দেয়ার অর্থ হলো, তাদের হাতে এক বোতল মদ কিংবা এক গ্রাম কোকেন তুলে দেওয়া। কারণ স্মার্টফোনের আসক্তি মাদকাসক্তির মতোই বিপজ্জনক। দুই মিনিট স্থায়ী একটি মোবাইল কল শিশুদের মস্তিষ্কের হাইপার অ্যাক্টিভিটি সৃষ্টি করে, যা কিনা পরবর্তী এক ঘণ্টা পর্যন্ত তাদের মস্তিষ্কে বিরাজ করে। এছাড়াও মোবাইল আসক্তির ফলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায় দ্বিগুণ, ব্যবহারকারীর স্নায়ু দুর্বল হয়ে যায়, দেহ ধীরে ধীরে ক্লান্ত ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এমনকি নিয়মিত ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটায়।

সর্বোপরি অতি ম্মার্ট বানাতে গিয়ে আদরের সোনামণিদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিভিন্ন ওষুধের মোড়কে যেমন লেখা থাকে শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। ঠিক অভিভাবকদের মনে রাখতে হবেÑ শিশুদের ফোন থেকে দূরে রাখুন।

সাইফুল ইসলাম

শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

বৃহস্পতিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২১ , ২২ আশ্বিন ১৪২৮ ২৮ সফর ১৪৪৩

শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে সতর্কতা

বর্তমান যুগ প্রযুক্তির। প্রযুক্তি ছাড়া আমাদের চলেই না। কিন্তু প্রযুক্তির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো দিকই রয়েছে। আর কোমলমতি শিশুরা এর নেতিবাচক প্রভাবেরই শিকার হচ্ছে বেশি। যেমন মোবাইল ফোনের ব্যবহারে কোমলমতি শিশুরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অভিভাবকরা শিশুদের খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো ও কান্না থামানোসহ নানা কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। এটি কোনভাবেই শিশুদের জন্য উপযোগী নয়। মোবাইল ফোন একদিকে যেমন শিশুর স্বাভাবিক প্রাণচাঞ্চল্যে কেড়ে নিচ্ছে, অন্যদিকে খেলার মাঠ ও স্বজনদের কাছ থেকেও দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। শিশুরা আজ গৃহবন্দী ও প্রাণচাঞ্চল্যহীন হয়ে পড়ছে। ফলে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

অভিভাবকরা ঠিক করবেন একজন শিশুর বেড়ে ওঠা কেমন হবে। তাই শিশুর হাতে কখন মোবাইল তুলে দিবেন, কতদিন পর্যন্ত দেবেন না, সেই সিদ্ধান্ত তাদের নিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্তানদের স্মার্টফোন দেয়ার অর্থ হলো, তাদের হাতে এক বোতল মদ কিংবা এক গ্রাম কোকেন তুলে দেওয়া। কারণ স্মার্টফোনের আসক্তি মাদকাসক্তির মতোই বিপজ্জনক। দুই মিনিট স্থায়ী একটি মোবাইল কল শিশুদের মস্তিষ্কের হাইপার অ্যাক্টিভিটি সৃষ্টি করে, যা কিনা পরবর্তী এক ঘণ্টা পর্যন্ত তাদের মস্তিষ্কে বিরাজ করে। এছাড়াও মোবাইল আসক্তির ফলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায় দ্বিগুণ, ব্যবহারকারীর স্নায়ু দুর্বল হয়ে যায়, দেহ ধীরে ধীরে ক্লান্ত ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এমনকি নিয়মিত ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটায়।

সর্বোপরি অতি ম্মার্ট বানাতে গিয়ে আদরের সোনামণিদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিভিন্ন ওষুধের মোড়কে যেমন লেখা থাকে শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। ঠিক অভিভাবকদের মনে রাখতে হবেÑ শিশুদের ফোন থেকে দূরে রাখুন।

সাইফুল ইসলাম

শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়