ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি তৈরিতে ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট চায় ভিসিপিয়াব

ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি তৈরিতে ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট (প্রভাব বিনিয়োগ) চায় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব)। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিজ কমিশনের (আইওএসকো) উদ্যোগে বিশ্বজুড়ে সপ্তাহব্যাপী ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ ২০২১’ উদযাপনের অংশ হিসেবে গত বুধবার রাতে বিএসইসি এবং ভিসিপিয়াব যৌথ উদ্যোগে ‘প্রভাব বিনিয়োগ : কোভিড পরবর্তী স্থিতিশীল অর্থনীতির লক্ষ্যে’ শীর্ষক ওয়েবিনারে সংগঠনটি এ আহ্বান জানায়। গতকাল ভিসিপিয়াব থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রভাব বিনিয়োগ হচ্ছে, যে কোন ব্যবসা বা উদ্যোগ পরিবেশগত (ইনভায়রনমেন্টাল), সামাজিক (সোশ্যাল) এবং সুশাসন (গভর্নেন্স) বা সংক্ষেপে ইএসজির মাধ্যমে কতটুক কল্যাণ সাধন করছে তার মানদন্ড। শুধুমাত্র ক্ষতিকারক বিষয়গুলোকে কমিয়ে আনা নয়, বরং উদ্যোক্তাদের প্রতিভা এবং উদ্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সক্রিয়ভাবে ভালো ফলাফল তৈরি করার নামই হলো প্রভাব বা ইমপ্যাক্ট। বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সময় ইএসজি উদ্যোগগুলোকে মাথায় রাখতে হবে, যেন উদ্যোক্তারা উদ্দেশ্য-চালিত ব্যবসার পরিচালনায় আগ্রহী হন যা কি না ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে সাহায্য করবে।

আমাদের বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এককভাবে পৃথিবীর সব হুমকি মোকাবিলা করতে পারবে না। মানুষের তৈরি সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য সরকারের একার প্রচেষ্টাও যথেষ্ট নয়। এ কারণেই বিশ্বব্যাপী একটি নতুন সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তার জন্ম হয়। এই নতুন সিস্টেমই হলো ‘প্রভাব বিনিয়োগ বা ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট’। এটি সরকার, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, জনকল্যাণ এবং সামাজিক উদ্যোগের সঙ্গে ব্যবসা, বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তাদের সেতুবন্ধন তৈরি করে। পুঁজি এবং উদ্ভাবনাকে একত্রিত করে ইএসসি সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য ‘প্রভাব বিনিয়োগ বা ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট’ অতীব জরুরি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবায়েত-উল-ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ভিসিপিয়াব) সভাপতি শামীম আহসান এবং সঞ্চালনা করেন লাইট ক্যাসেল পার্টনারস লিমিটেডের পরিচালক শাকওয়াত হোসেইন।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, মানুষের তৈরি সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যাগুলো সমাধান করা সরকারের একার পক্ষে সহজ নয়। সরকার, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, জনকল্যাণ এবং সামাজিক উদ্যোগের সঙ্গে ব্যবসা, বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তাদের সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে এবং সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনীমূলক উদ্যোগ নিতে হবে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়্যাত-উল-ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের মধ্যে অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। আমাদের অর্থনীতির জন্য প্রভাব বিনিয়োগ খুবই জরুরি। কারণ, এটি আর্থিক আয়ের পাশাপাশি ইতিবাচক সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাব তৈরি করে।

ভিসিপিয়াব সভাপতি শামীম আহসান বলেন, আগামী ১৫ বছরের মধ্যে, বিশ্বের অধিকাংশ কোম্পানি অনতিবিলম্বে প্রভাবভিত্তিক ব্যবসা শুরু করবে এবং বিশ্বের জনসংখ্যার বেশিরভাগই প্রভাবভিত্তিক কোম্পানিগুলো পণ্য এবং সেবা গ্রহণ করবে। এটি কোভিড-১৯ এর মতো মহামারীর ঝুঁকিপূর্ণতা হ্রাস করতে এবং একটি স্থিতিশীল অর্থনীতি গড়ে তুলতে আমাদেরকে সাহায্য করবে। প্রভাব বিনিয়োগ যেন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়, তাই সরকারি বিভাগ এবং সংস্থাগুলো যেমন অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উচিত হবে এই ইকোসিস্টেমকে অনুকূল নীতিমালা এবং কর প্রণোদনা দিয়ে সহায়তা করা জরুরি।

বিএসইসি কমিশনার প্রফেসর ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা যদি আমাদের পৃথিবীকে একটি টেকসই অবস্থানে দেখতে চাই, তাহলে বৈশ্বিক প্রভাব বিনিয়োগের চাহিদানুসারে আগামী ২০ বছরের মধ্যে অতিরিক্ত ২০ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। আমাদের সব পরিকল্পনায় দেশের গ্রামীণ অঞ্চলকে অধিক গুরুত্ব দেয়া অতীব জরুরি। উদ্ভাবন ও আমাদের গ্রামীণ অঞ্চলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা আমাদের অর্থনীতিকে মধ্যম আয়ে উন্নীত করতে সক্ষম হব।

বিএসএসি কমিশনার প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। ১৯৯১ সালের তুলনায় বর্তমানে আমাদের অর্থনীতির পাঁচগুণ অধিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

প্রভাব বিনিয়োগের সুবিধা উপলব্ধি করতে আমাদের একটি প্রাণবন্ত পুঁজিবাজার দরকার। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও প্রাইভেট ইক্যুইটি খাতের সহায়তা বাংলাদেশ থেকেও টেসলা, ফেইসবুক, গুগলের মতো কোম্পানিগুলো উঠে আসতে পারে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মো. হামিদ উল্লাহ ভুঁইয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক নুরুন নাহার, দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সভাপতি মাহমুদুল হাসান খসরু, বিএসিইসির নির্বাহী পরিচালক শফিউল আজম, ভিসিপিয়াবের সহ-সভাপতি জিয়া ইউ আহেমদ, সিফ বাংলাদেশ ভেঞ্চারসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ মাহমুদ, মসলিন ক্যাপিটাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ হাফিজ, অ্যালায়েন্স ক্যাপিটাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এইচ আসাদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমেদ।

শুক্রবার, ০৮ অক্টোবর ২০২১ , ২৩ আশ্বিন ১৪২৮ ৩০ সফর ১৪৪৩

ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি তৈরিতে ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট চায় ভিসিপিয়াব

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি তৈরিতে ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট (প্রভাব বিনিয়োগ) চায় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব)। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিজ কমিশনের (আইওএসকো) উদ্যোগে বিশ্বজুড়ে সপ্তাহব্যাপী ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ ২০২১’ উদযাপনের অংশ হিসেবে গত বুধবার রাতে বিএসইসি এবং ভিসিপিয়াব যৌথ উদ্যোগে ‘প্রভাব বিনিয়োগ : কোভিড পরবর্তী স্থিতিশীল অর্থনীতির লক্ষ্যে’ শীর্ষক ওয়েবিনারে সংগঠনটি এ আহ্বান জানায়। গতকাল ভিসিপিয়াব থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রভাব বিনিয়োগ হচ্ছে, যে কোন ব্যবসা বা উদ্যোগ পরিবেশগত (ইনভায়রনমেন্টাল), সামাজিক (সোশ্যাল) এবং সুশাসন (গভর্নেন্স) বা সংক্ষেপে ইএসজির মাধ্যমে কতটুক কল্যাণ সাধন করছে তার মানদন্ড। শুধুমাত্র ক্ষতিকারক বিষয়গুলোকে কমিয়ে আনা নয়, বরং উদ্যোক্তাদের প্রতিভা এবং উদ্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সক্রিয়ভাবে ভালো ফলাফল তৈরি করার নামই হলো প্রভাব বা ইমপ্যাক্ট। বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সময় ইএসজি উদ্যোগগুলোকে মাথায় রাখতে হবে, যেন উদ্যোক্তারা উদ্দেশ্য-চালিত ব্যবসার পরিচালনায় আগ্রহী হন যা কি না ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে সাহায্য করবে।

আমাদের বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এককভাবে পৃথিবীর সব হুমকি মোকাবিলা করতে পারবে না। মানুষের তৈরি সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য সরকারের একার প্রচেষ্টাও যথেষ্ট নয়। এ কারণেই বিশ্বব্যাপী একটি নতুন সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তার জন্ম হয়। এই নতুন সিস্টেমই হলো ‘প্রভাব বিনিয়োগ বা ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট’। এটি সরকার, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, জনকল্যাণ এবং সামাজিক উদ্যোগের সঙ্গে ব্যবসা, বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তাদের সেতুবন্ধন তৈরি করে। পুঁজি এবং উদ্ভাবনাকে একত্রিত করে ইএসসি সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য ‘প্রভাব বিনিয়োগ বা ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট’ অতীব জরুরি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবায়েত-উল-ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ভিসিপিয়াব) সভাপতি শামীম আহসান এবং সঞ্চালনা করেন লাইট ক্যাসেল পার্টনারস লিমিটেডের পরিচালক শাকওয়াত হোসেইন।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, মানুষের তৈরি সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যাগুলো সমাধান করা সরকারের একার পক্ষে সহজ নয়। সরকার, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, জনকল্যাণ এবং সামাজিক উদ্যোগের সঙ্গে ব্যবসা, বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তাদের সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে এবং সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনীমূলক উদ্যোগ নিতে হবে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়্যাত-উল-ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের মধ্যে অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। আমাদের অর্থনীতির জন্য প্রভাব বিনিয়োগ খুবই জরুরি। কারণ, এটি আর্থিক আয়ের পাশাপাশি ইতিবাচক সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাব তৈরি করে।

ভিসিপিয়াব সভাপতি শামীম আহসান বলেন, আগামী ১৫ বছরের মধ্যে, বিশ্বের অধিকাংশ কোম্পানি অনতিবিলম্বে প্রভাবভিত্তিক ব্যবসা শুরু করবে এবং বিশ্বের জনসংখ্যার বেশিরভাগই প্রভাবভিত্তিক কোম্পানিগুলো পণ্য এবং সেবা গ্রহণ করবে। এটি কোভিড-১৯ এর মতো মহামারীর ঝুঁকিপূর্ণতা হ্রাস করতে এবং একটি স্থিতিশীল অর্থনীতি গড়ে তুলতে আমাদেরকে সাহায্য করবে। প্রভাব বিনিয়োগ যেন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়, তাই সরকারি বিভাগ এবং সংস্থাগুলো যেমন অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উচিত হবে এই ইকোসিস্টেমকে অনুকূল নীতিমালা এবং কর প্রণোদনা দিয়ে সহায়তা করা জরুরি।

বিএসইসি কমিশনার প্রফেসর ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা যদি আমাদের পৃথিবীকে একটি টেকসই অবস্থানে দেখতে চাই, তাহলে বৈশ্বিক প্রভাব বিনিয়োগের চাহিদানুসারে আগামী ২০ বছরের মধ্যে অতিরিক্ত ২০ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। আমাদের সব পরিকল্পনায় দেশের গ্রামীণ অঞ্চলকে অধিক গুরুত্ব দেয়া অতীব জরুরি। উদ্ভাবন ও আমাদের গ্রামীণ অঞ্চলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা আমাদের অর্থনীতিকে মধ্যম আয়ে উন্নীত করতে সক্ষম হব।

বিএসএসি কমিশনার প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। ১৯৯১ সালের তুলনায় বর্তমানে আমাদের অর্থনীতির পাঁচগুণ অধিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

প্রভাব বিনিয়োগের সুবিধা উপলব্ধি করতে আমাদের একটি প্রাণবন্ত পুঁজিবাজার দরকার। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও প্রাইভেট ইক্যুইটি খাতের সহায়তা বাংলাদেশ থেকেও টেসলা, ফেইসবুক, গুগলের মতো কোম্পানিগুলো উঠে আসতে পারে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মো. হামিদ উল্লাহ ভুঁইয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক নুরুন নাহার, দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সভাপতি মাহমুদুল হাসান খসরু, বিএসিইসির নির্বাহী পরিচালক শফিউল আজম, ভিসিপিয়াবের সহ-সভাপতি জিয়া ইউ আহেমদ, সিফ বাংলাদেশ ভেঞ্চারসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ মাহমুদ, মসলিন ক্যাপিটাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ হাফিজ, অ্যালায়েন্স ক্যাপিটাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এইচ আসাদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমেদ।