দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি ভোগান্তি যাত্রীদের

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। গতকাল সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ঘাটের জিরোপয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা গেছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছে বাসের যাত্রী ও ট্রাকচালকরা।

সরেজমিন গতকাল সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ঘুরে যানবাহনের এ চিত্র দেখা যায়। মাদারীপুর থেকে আসা ঢাকামুখী বাসের যাত্রী রিদয় হাসান বলেন, সকাল ৭টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে এসে নদী পার হওয়ার জন্য অনেকক্ষণ যাবত মহাসড়কে বাসের মধ্যে আটকে আছি। গরমের কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

ঝিনাইদহ থেকে চালবোঝাই ট্রাকচালক বিল্লাল হোসেন বলেন, ফেরির সংখ্যা বাড়াতে গত কয়েকদিন দৌলতদিয়া ঘাটে তেমন দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। হঠাৎ করে আজকে দেখছি গাড়ির প্রচুর চাপ বেড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কার্যালয় (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়ায় বাস-ট্রাকসহ পারাপারের অপেক্ষায় প্রায় ৩ শতাধিক যানবাহন আটকে আছে। এর কারণ হলো কিছু বাসচালক মহাসড়কে গাড়ি এলোমেলো করে আটকে রাখায় মানুষের ভোগান্তির সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন পারাপারে দেরি হচ্ছে, সেটা কমানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। বর্তমানে এ নৌরুটে ২০টি ফেরি চলাচল করছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

শুক্রবার, ০৮ অক্টোবর ২০২১ , ২৩ আশ্বিন ১৪২৮ ৩০ সফর ১৪৪৩

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি ভোগান্তি যাত্রীদের

প্রতিনিধি, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)

image

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আটকেপড়া যানবাহনের দীর্ঘ সারি -সংবাদ

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। গতকাল সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ঘাটের জিরোপয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা গেছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছে বাসের যাত্রী ও ট্রাকচালকরা।

সরেজমিন গতকাল সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ঘুরে যানবাহনের এ চিত্র দেখা যায়। মাদারীপুর থেকে আসা ঢাকামুখী বাসের যাত্রী রিদয় হাসান বলেন, সকাল ৭টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে এসে নদী পার হওয়ার জন্য অনেকক্ষণ যাবত মহাসড়কে বাসের মধ্যে আটকে আছি। গরমের কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

ঝিনাইদহ থেকে চালবোঝাই ট্রাকচালক বিল্লাল হোসেন বলেন, ফেরির সংখ্যা বাড়াতে গত কয়েকদিন দৌলতদিয়া ঘাটে তেমন দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। হঠাৎ করে আজকে দেখছি গাড়ির প্রচুর চাপ বেড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কার্যালয় (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়ায় বাস-ট্রাকসহ পারাপারের অপেক্ষায় প্রায় ৩ শতাধিক যানবাহন আটকে আছে। এর কারণ হলো কিছু বাসচালক মহাসড়কে গাড়ি এলোমেলো করে আটকে রাখায় মানুষের ভোগান্তির সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন পারাপারে দেরি হচ্ছে, সেটা কমানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। বর্তমানে এ নৌরুটে ২০টি ফেরি চলাচল করছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।