দেশে মাঝারি ধরনের ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ২৮ মিনিটে দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অংশে এটি অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬।
ঢাকা থেকে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৪৭৭ কিলোমিটার। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমি কম্পন ইউনিটের ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার মো. হানিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাত ১২টা ২৮ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মায়ানমার। ফলে চট্টগ্রামের অংশে বেশি কম্পন অনুভূত হতে পারে। তবে আমরা ঢাকায় কম্পন তেমন টের পাইনি।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বাগেরহাটসহ কয়েকটি জেলায় এই ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা যায়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মায়ানমারের মানদালা থেকে ১৩৫ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১৪ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর অবস্থান।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের উপকূল বরাবর বঙ্গোপসাগরের একটি বিশাল ‘সাবডাকশন জোন’ রয়েছে। পৃথিবীর উপরিভাগের ৭০-১০০ কিলোমিটার পুরুত্বের লিথোস্ফিয়ার ছোট-বড় ১৩টি খণ্ডে (প্লেটে) বিভক্ত। উত্তপ্ত ও নরম এস্থোনোস্ফিয়ারের উপর ভাসমান এ প্লেটগুলো গতিশীল।
প্লেটগুলো গতিশীল থাকায় ভূখণ্ড ধীরে ধীরে সরতে থাকে, যেটাকে ‘অ্যাকটিভ ফল্ট’ বা সক্রিয় চ্যুতি বলা হয়। প্লেটের স্থানচ্যুতির সময় জমে থাকা শক্তি বিপুল বেগে বেরিয়ে আসে, তখন সংযোগস্থলে ভূকম্পন হয়।
শনিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২১ , ২৪ আশ্বিন ১৪২৮ ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
দেশে মাঝারি ধরনের ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ২৮ মিনিটে দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অংশে এটি অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬।
ঢাকা থেকে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৪৭৭ কিলোমিটার। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমি কম্পন ইউনিটের ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার মো. হানিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাত ১২টা ২৮ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মায়ানমার। ফলে চট্টগ্রামের অংশে বেশি কম্পন অনুভূত হতে পারে। তবে আমরা ঢাকায় কম্পন তেমন টের পাইনি।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বাগেরহাটসহ কয়েকটি জেলায় এই ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা যায়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মায়ানমারের মানদালা থেকে ১৩৫ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১৪ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর অবস্থান।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের উপকূল বরাবর বঙ্গোপসাগরের একটি বিশাল ‘সাবডাকশন জোন’ রয়েছে। পৃথিবীর উপরিভাগের ৭০-১০০ কিলোমিটার পুরুত্বের লিথোস্ফিয়ার ছোট-বড় ১৩টি খণ্ডে (প্লেটে) বিভক্ত। উত্তপ্ত ও নরম এস্থোনোস্ফিয়ারের উপর ভাসমান এ প্লেটগুলো গতিশীল।
প্লেটগুলো গতিশীল থাকায় ভূখণ্ড ধীরে ধীরে সরতে থাকে, যেটাকে ‘অ্যাকটিভ ফল্ট’ বা সক্রিয় চ্যুতি বলা হয়। প্লেটের স্থানচ্যুতির সময় জমে থাকা শক্তি বিপুল বেগে বেরিয়ে আসে, তখন সংযোগস্থলে ভূকম্পন হয়।