বাস্তবায়ন ও গরিব মানুষের চাকরি চাই : ইনু

কুড়িগ্রামে জেলা জাসদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এসে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, এই সম্মেলনে আমাদের দাবি হচ্ছে, তিস্তা বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও। এ জন্য তিস্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, গরিব মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করা এবং একটি অর্থনৈতিক জোন তৈরির মাধ্যমে ঢাকায় না গিয়ে স্থানীয়ভাবে ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা করা।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের নামে রাজাকারদের, খুনিদের হালাল করার রাজনীতি বাংলাদেশে করতে দেয়া হবে না। বাংলাদেশের সংবিধান যারা উড়িয়ে দিতে চায়, জাতির পিতাকে মানে না, ত্রিশ লাখ শহীদদের মানে না, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেয় না, তারা বাংলাদেশের কেউ না। আমি বহুদিন আগে বলেছিলাম, বেগম খালেদা জিয়া আপনি পাকিস্তানে চলে যান। বাংলাদেশ ভালো লাগে না, থাকার দরকার কী? উনি এখনও রাজারকারদের পার্টনারশিপে আছেন।

এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে বিস্ময়কর উন্নয়ন হচ্ছে। অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। সেই উন্নয়নে তাক লাগছে সবাই। কিন্তু সেই উন্নয়নের রেলগাড়ির ভেতরে ঘরকাটা ইঁদুররা ঢুকে গেছে। উন্নয়নের সুফল খেয়ে ফেলছে। সাধারণ মানুষের কাছে সুফল যাচ্ছে না। এই ঘরকাটা ইঁদুররা হলো দুর্নীতিবাজ। এদের কোন জাত নাই, পাত নাই। এই ঘরকাটা ইঁদুররা হচ্ছে অর্থনৈতিক শত্রু। গরিবের শত্রু। দেশের শত্রু। এরা সরকারের ঘরের ভেতরের শত্রু। এরা দিনকে রাত আর রাতকে দিন করছে। এরা টেন্ডারবাজি, ডা-াবাজি করে মানুষকে অপমান করে। দুর্নীতির সিন্ডিকেটরা উন্নয়নকে আটকে দেবে।

আমি বলি, বাইরের শত্রু রাজারকার জঙ্গিবাজরা আর ঘরের শত্রু দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটরা। আর গুন্ডাবাজি গুন্ডা দলবাজরা। মুক্তিযদ্ধের যাত্রা করা ট্রেন আজ দুই শত্রুর দ্বারা আক্রান্ত। বাইরের শত্রু রাজাকার-জঙ্গিবাদরা বোমাবাজি করেন। ঘরের ভেতরের শত্রু উঁইপোকার মতো, ঘরকাটা ইঁদুরের মতো উন্নয়নের সুফল খেয়ে ফেলছে। আমি বলি, বঙ্গবন্ধুর মতো সেই আমলের বিশ^াসঘাতক মুসতাক আর শেখ হাসিনার উন্নয়নে ঘরকাটা ইঁদুররা-গুন্ডারা হচ্ছে খন্দকার মুসতাকের বংশধর। বিশ^াসঘাতকের দল। জাসদ জঙ্গিদমনে, রাজাকার দমনে শেখ হাসিনার সঙ্গে ঐক্যে আছে। এই ঐক্যকে বিজয়রূপে কার্যকর করতে হলে ঘরের ভেতরের শত্রু ঘরকাটা দুর্নীতিবাজ ইঁদুরদের আর গুন্ডাদের ধ্বংস করার লড়াইয়েও আছি আমরা।

গতকাল দুপুরে কুড়িগ্রাম শেখ রাসেল অডিটরিয়ামে জেলা জাসদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে হাসানুল হক এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এ সময় জাসদ নেতা লুৎফর রহমান বাচ্চুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, আবদুল্লাহিল কাইয়ুম, এমদাদুল হক এমদাদসহ জেলা নেতারা। সম্মেলনকে ঘিরে শেখ রাসেল অডিটোরিয়ামে ছিল উপচেপড়া মানুষের ভির। পুরো অডিটোরিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। জেলার ৯টি উপজেলাসহ পাশর্^বর্তী জেলার প্রতিনিধিগণ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

পরে জেলা জাসদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে গোলাম হাবিবুর রহমান বিদ্যুৎকে সভাপতি এবং তৌহিদুল ইসলাম বকসী ঠা-াকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা জাসদের ৪৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

শনিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২১ , ২৪ আশ্বিন ১৪২৮ ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক জোন তিস্তা

বাস্তবায়ন ও গরিব মানুষের চাকরি চাই : ইনু

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে জেলা জাসদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এসে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, এই সম্মেলনে আমাদের দাবি হচ্ছে, তিস্তা বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও। এ জন্য তিস্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, গরিব মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করা এবং একটি অর্থনৈতিক জোন তৈরির মাধ্যমে ঢাকায় না গিয়ে স্থানীয়ভাবে ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা করা।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের নামে রাজাকারদের, খুনিদের হালাল করার রাজনীতি বাংলাদেশে করতে দেয়া হবে না। বাংলাদেশের সংবিধান যারা উড়িয়ে দিতে চায়, জাতির পিতাকে মানে না, ত্রিশ লাখ শহীদদের মানে না, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেয় না, তারা বাংলাদেশের কেউ না। আমি বহুদিন আগে বলেছিলাম, বেগম খালেদা জিয়া আপনি পাকিস্তানে চলে যান। বাংলাদেশ ভালো লাগে না, থাকার দরকার কী? উনি এখনও রাজারকারদের পার্টনারশিপে আছেন।

এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে বিস্ময়কর উন্নয়ন হচ্ছে। অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। সেই উন্নয়নে তাক লাগছে সবাই। কিন্তু সেই উন্নয়নের রেলগাড়ির ভেতরে ঘরকাটা ইঁদুররা ঢুকে গেছে। উন্নয়নের সুফল খেয়ে ফেলছে। সাধারণ মানুষের কাছে সুফল যাচ্ছে না। এই ঘরকাটা ইঁদুররা হলো দুর্নীতিবাজ। এদের কোন জাত নাই, পাত নাই। এই ঘরকাটা ইঁদুররা হচ্ছে অর্থনৈতিক শত্রু। গরিবের শত্রু। দেশের শত্রু। এরা সরকারের ঘরের ভেতরের শত্রু। এরা দিনকে রাত আর রাতকে দিন করছে। এরা টেন্ডারবাজি, ডা-াবাজি করে মানুষকে অপমান করে। দুর্নীতির সিন্ডিকেটরা উন্নয়নকে আটকে দেবে।

আমি বলি, বাইরের শত্রু রাজারকার জঙ্গিবাজরা আর ঘরের শত্রু দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটরা। আর গুন্ডাবাজি গুন্ডা দলবাজরা। মুক্তিযদ্ধের যাত্রা করা ট্রেন আজ দুই শত্রুর দ্বারা আক্রান্ত। বাইরের শত্রু রাজাকার-জঙ্গিবাদরা বোমাবাজি করেন। ঘরের ভেতরের শত্রু উঁইপোকার মতো, ঘরকাটা ইঁদুরের মতো উন্নয়নের সুফল খেয়ে ফেলছে। আমি বলি, বঙ্গবন্ধুর মতো সেই আমলের বিশ^াসঘাতক মুসতাক আর শেখ হাসিনার উন্নয়নে ঘরকাটা ইঁদুররা-গুন্ডারা হচ্ছে খন্দকার মুসতাকের বংশধর। বিশ^াসঘাতকের দল। জাসদ জঙ্গিদমনে, রাজাকার দমনে শেখ হাসিনার সঙ্গে ঐক্যে আছে। এই ঐক্যকে বিজয়রূপে কার্যকর করতে হলে ঘরের ভেতরের শত্রু ঘরকাটা দুর্নীতিবাজ ইঁদুরদের আর গুন্ডাদের ধ্বংস করার লড়াইয়েও আছি আমরা।

গতকাল দুপুরে কুড়িগ্রাম শেখ রাসেল অডিটরিয়ামে জেলা জাসদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে হাসানুল হক এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এ সময় জাসদ নেতা লুৎফর রহমান বাচ্চুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, আবদুল্লাহিল কাইয়ুম, এমদাদুল হক এমদাদসহ জেলা নেতারা। সম্মেলনকে ঘিরে শেখ রাসেল অডিটোরিয়ামে ছিল উপচেপড়া মানুষের ভির। পুরো অডিটোরিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। জেলার ৯টি উপজেলাসহ পাশর্^বর্তী জেলার প্রতিনিধিগণ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

পরে জেলা জাসদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে গোলাম হাবিবুর রহমান বিদ্যুৎকে সভাপতি এবং তৌহিদুল ইসলাম বকসী ঠা-াকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা জাসদের ৪৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।