খালটি খনন করুন

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁদপুর মতলব উত্তরের মেঘনা-ধনোগোদা সেচ প্রকল্প যা ছোট বড় ৫৬১ কিমি. খাল নির্মাণের ৩৩ বছরের পরেও খনন করা হয়নি। যার ফলে অতিবৃষ্টিতে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। মতলব উত্তর কৃষিনির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থা হওয়ায় যার প্রভাব কৃষকদের ফসলি জমি, মাছচাষি এবং রাস্তাঘাট ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়। যার ফলে বছরে ২০ হাজার টন ফসলি আর্থিক ক্ষতি হয় যার ফলে দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

খাল বেদখল এবং যার যার মত যেখানে সেখানে বাড়িঘর নির্মাণের ফলে পানি নিষ্কাশন করার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সেচ প্রকল্পের নির্মাণের পর থেকে এখনও খালগুলো খনন না হওয়া, প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ও মাঠপর্যায়ে কৃষক কমিটির তদারকির অভাবেই সেচ প্রকল্প এত দীর্ঘস্থায়ী জলবদ্ধতা হচ্ছে।

পাম্প হাউসের পানি বাহির ও প্রবেশ করার সক্ষমতা খাতা-কলমে থাকলেও বাস্তবে যন্ত্রপাতি পুরোনো হওয়ায় তেমন সুবিধা মেলেনি। তাই মতলব উত্তরের তৃণমূল কৃষকের দাবি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে যাতে করে অতি দ্রুত খালগুলো খনন ও অবৈধ মুক্ত করে অধিক ফসল উৎপাদনে সহায়তা করে।

তোফায়েল আহমেদ শান্ত

মতলব উত্তর, চাঁদপুর

বাঙালির শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষার সময় এখনই

শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য একটি দেশ কিংবা একটি রাষ্ট্রের পরিচায়ক। সহজভাবে বললে শিল্প, সংস্কৃতিই মূলত একটি নির্দিষ্ট ভূখ-ের আয়না। দেশ ও রাষ্ট্রকে সঙ্গায়িত করলে দুটোর অর্থ ভিন্ন দাঁড়ালেও কোনো স্বাধীন দেশ কিংবা কোনো রাষ্ট্রের পরিচায়ক তার শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য। বিশ্বের প্রতিটি দেশ তার শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে লালন করে বেড়ে ওঠে। নিজস্ব ঐতিহ্য বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর।

শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জন্য বিশ্বব্যাপী সমাদৃত বাংলাদেশ। শিল্প, সংস্কৃতির এক পুণ্যভূমি যেন বাংলাদেশ। গান, কবিতা, যাত্রাপালা, পথনাটক, মঞ্চনাটক, নবান্ন, পহেলা বৈশাখের মতো অগণিত শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য আমাদের জীবনের অংশ। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী বিনোদন মাধ্যমগুলো এখন গভীর অস্তিত্বসংকটে।

বাঙালির ঐতিহ্যে মিশে আছে পহেলা বৈশাখ, নবান্ন, চৈত্র সংক্রান্তির মতো উৎসব। পহেলা বৈশাখে রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি জেলায় মঙ্গল শোভাযাত্রার পর সপ্তাহ, মাসব্যাপী লোকজ ও সাহিত্য অনুষ্ঠান হতো। যেখানে গ্রামবাংলার কৃষ্টি কালচার ফুটে উঠত। মেলায় দেখা মিলতো গ্রামীণ লোকজ ঐতিহ্য। কালের পরিক্রমায় পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান থাকলেও মাসব্যাপী অনুষ্ঠান আর হয় না, দেখা যায় না গ্রামীণ ঐতিহ্য। কার্তিকের নবান্ন গ্রামবাংলার আরেক ঐতিহ্য। নতুন ধান ঘরে তোলার উৎসবমুখর এ ঐতিহ্য এখন প্রায় মলিন।

বাঙালির গর্বের জায়গা তার শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য। কিন্তু আজ তা হারানোর পর্যায় আমরা। আমাদের সংস্কৃতির জন্য বিশ্বে আমাদের যে কদর ছিল তা দিনদিন কমে যাচ্ছে। এটা যতটা লজ্জার তার চেয়ে বেশি কষ্টের। আমাদের শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ধরে রাখার ক্ষেত্রে সরকারকে নিতে হবে বহুমুখী উদ্যোগ। সেই সঙ্গে সরকারি-বেসরকারিভাবে এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে।

বিশাল সাহা

শিক্ষার্থী. ঢাকা কলেজ, ঢাকা

আরও খবর

শনিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২১ , ২৪ আশ্বিন ১৪২৮ ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

খালটি খনন করুন

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁদপুর মতলব উত্তরের মেঘনা-ধনোগোদা সেচ প্রকল্প যা ছোট বড় ৫৬১ কিমি. খাল নির্মাণের ৩৩ বছরের পরেও খনন করা হয়নি। যার ফলে অতিবৃষ্টিতে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। মতলব উত্তর কৃষিনির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থা হওয়ায় যার প্রভাব কৃষকদের ফসলি জমি, মাছচাষি এবং রাস্তাঘাট ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়। যার ফলে বছরে ২০ হাজার টন ফসলি আর্থিক ক্ষতি হয় যার ফলে দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

খাল বেদখল এবং যার যার মত যেখানে সেখানে বাড়িঘর নির্মাণের ফলে পানি নিষ্কাশন করার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সেচ প্রকল্পের নির্মাণের পর থেকে এখনও খালগুলো খনন না হওয়া, প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ও মাঠপর্যায়ে কৃষক কমিটির তদারকির অভাবেই সেচ প্রকল্প এত দীর্ঘস্থায়ী জলবদ্ধতা হচ্ছে।

পাম্প হাউসের পানি বাহির ও প্রবেশ করার সক্ষমতা খাতা-কলমে থাকলেও বাস্তবে যন্ত্রপাতি পুরোনো হওয়ায় তেমন সুবিধা মেলেনি। তাই মতলব উত্তরের তৃণমূল কৃষকের দাবি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে যাতে করে অতি দ্রুত খালগুলো খনন ও অবৈধ মুক্ত করে অধিক ফসল উৎপাদনে সহায়তা করে।

তোফায়েল আহমেদ শান্ত

মতলব উত্তর, চাঁদপুর

বাঙালির শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষার সময় এখনই

শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য একটি দেশ কিংবা একটি রাষ্ট্রের পরিচায়ক। সহজভাবে বললে শিল্প, সংস্কৃতিই মূলত একটি নির্দিষ্ট ভূখ-ের আয়না। দেশ ও রাষ্ট্রকে সঙ্গায়িত করলে দুটোর অর্থ ভিন্ন দাঁড়ালেও কোনো স্বাধীন দেশ কিংবা কোনো রাষ্ট্রের পরিচায়ক তার শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য। বিশ্বের প্রতিটি দেশ তার শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে লালন করে বেড়ে ওঠে। নিজস্ব ঐতিহ্য বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর।

শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জন্য বিশ্বব্যাপী সমাদৃত বাংলাদেশ। শিল্প, সংস্কৃতির এক পুণ্যভূমি যেন বাংলাদেশ। গান, কবিতা, যাত্রাপালা, পথনাটক, মঞ্চনাটক, নবান্ন, পহেলা বৈশাখের মতো অগণিত শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য আমাদের জীবনের অংশ। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী বিনোদন মাধ্যমগুলো এখন গভীর অস্তিত্বসংকটে।

বাঙালির ঐতিহ্যে মিশে আছে পহেলা বৈশাখ, নবান্ন, চৈত্র সংক্রান্তির মতো উৎসব। পহেলা বৈশাখে রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি জেলায় মঙ্গল শোভাযাত্রার পর সপ্তাহ, মাসব্যাপী লোকজ ও সাহিত্য অনুষ্ঠান হতো। যেখানে গ্রামবাংলার কৃষ্টি কালচার ফুটে উঠত। মেলায় দেখা মিলতো গ্রামীণ লোকজ ঐতিহ্য। কালের পরিক্রমায় পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান থাকলেও মাসব্যাপী অনুষ্ঠান আর হয় না, দেখা যায় না গ্রামীণ ঐতিহ্য। কার্তিকের নবান্ন গ্রামবাংলার আরেক ঐতিহ্য। নতুন ধান ঘরে তোলার উৎসবমুখর এ ঐতিহ্য এখন প্রায় মলিন।

বাঙালির গর্বের জায়গা তার শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য। কিন্তু আজ তা হারানোর পর্যায় আমরা। আমাদের সংস্কৃতির জন্য বিশ্বে আমাদের যে কদর ছিল তা দিনদিন কমে যাচ্ছে। এটা যতটা লজ্জার তার চেয়ে বেশি কষ্টের। আমাদের শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ধরে রাখার ক্ষেত্রে সরকারকে নিতে হবে বহুমুখী উদ্যোগ। সেই সঙ্গে সরকারি-বেসরকারিভাবে এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে।

বিশাল সাহা

শিক্ষার্থী. ঢাকা কলেজ, ঢাকা