চুয়াডাঙ্গায় সাবরেজিস্ট্রার নেই চার উপজেলায়

চুয়াডাঙ্গায় ৪টি উপজেলার ৩টি কার্যালয়েই নেই সাবরেজিস্ট্রার। মাত্র ১ জন সাবরেজিস্ট্রার দিয়ে চলছে ৪টি কার্যালয়ের কার্যক্রম। ফলে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। বর্তমানে এম নাফিজ বিন জামান চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রারের দায়িত্ব থাকলেও তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা ও জীবন নগর উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এ কারণে রেজিস্ট্রি কাজে প্রকট সমস্যা দেখা দিচ্ছে এবং জমি ক্রেতা-বিক্রেতা, দলিল লেখকসহ সেবাপ্রত্যাশীরা পড়েছেন নানা রকমের হয়রানি ও বিড়ম্বনার মধ্যে। দীর্ঘদিন যাবৎ এমন সমস্যা চলে আসলেও তা সমাধানে কার্যকর কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছেনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনা ও লকডাউনের কারনেপ্রায় ৩ মাসএকটানাবন্ধছিল চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪টি উপজেলার সকল অফিসের রেজিস্ট্রি কার্যক্রম। এরপরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও সংকট কাটেনি জেলার সাবরেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে। লকডাউন পরবর্তী সময়ে আলমডাঙ্গা উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার মামুন বাবরকে সেখান থেকে ক্লোজ করে জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। সদর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার স্মৃতিকনা দাস ও জীবন নগর উপজেলা সাব-রেজিষ্টার মাসুদুর রহমান বদলীজনিত কারনে কর্মস্থল ত্যাগ করেন। সেই থেকেই চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলায় সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়গুলো সাবরেজিস্ট্রার শূন্য হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে কোনমতে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন ১০ সেপ্টেম্বর যোগদান করা দামুড়হুদা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার এম নাফিজ বিন জামান। তিনি একাই জেলার ৪টি উপজেলার সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয় সামাল দিতে যেমন হিমসিম খাচ্ছেন, ঠিক তেমনি ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন মানুষ।

রেজিস্ট্রি কার্যালয় সূত্রে আরো জানা যায়, সপ্তাহের প্রতি রবি ও সোমবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা, দামুড়হুদা উপজেলায় মঙ্গল ও বুধবার, আলমডাঙ্গা উপজেলায় রবি ও সোম এবং মঙ্গলবার এবং সপ্তাহের ৫ দিনই জীবননগর উপজেলায় জমি রেজিস্ট্রি কার্যক্রম চলার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সাবরেজিস্ট্রার সংকটের কারণে দামুড়হুদা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার এম নাফিজ বিন জামান একাই জেলার ৪টি উপজেলায় ১ দিন করে নির্ধারণ করে জমি রেজিস্ট্রি কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

জেলা রেজিস্টার শফিকুল ইসলাম জানান, জেলার সাবরেজিস্ট্রার সঙ্কটের বিষয়টি নিবন্ধন অধিদপ্তরে জানানো হয়েছে। বদলি প্রক্রিয়ার কাজ করেন আইন মন্ত্রনালয়। তবে আলমডাঙ্গা উপজেলায় সাবরেজিস্ট্রার পদে একজনকে দেয়া হয়েছে। তিনিএসে যোগদান করবে। আশা করা যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সদর ও জীবননগর উপজেলায় সাবরেজিস্ট্রারের পদ তাড়াতাড়ি পূরণ হবে।

রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১ , ২৫ আশ্বিন ১৪২৮ ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

চুয়াডাঙ্গায় সাবরেজিস্ট্রার নেই চার উপজেলায়

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গায় ৪টি উপজেলার ৩টি কার্যালয়েই নেই সাবরেজিস্ট্রার। মাত্র ১ জন সাবরেজিস্ট্রার দিয়ে চলছে ৪টি কার্যালয়ের কার্যক্রম। ফলে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। বর্তমানে এম নাফিজ বিন জামান চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রারের দায়িত্ব থাকলেও তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা ও জীবন নগর উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এ কারণে রেজিস্ট্রি কাজে প্রকট সমস্যা দেখা দিচ্ছে এবং জমি ক্রেতা-বিক্রেতা, দলিল লেখকসহ সেবাপ্রত্যাশীরা পড়েছেন নানা রকমের হয়রানি ও বিড়ম্বনার মধ্যে। দীর্ঘদিন যাবৎ এমন সমস্যা চলে আসলেও তা সমাধানে কার্যকর কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছেনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনা ও লকডাউনের কারনেপ্রায় ৩ মাসএকটানাবন্ধছিল চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪টি উপজেলার সকল অফিসের রেজিস্ট্রি কার্যক্রম। এরপরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও সংকট কাটেনি জেলার সাবরেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে। লকডাউন পরবর্তী সময়ে আলমডাঙ্গা উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার মামুন বাবরকে সেখান থেকে ক্লোজ করে জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। সদর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার স্মৃতিকনা দাস ও জীবন নগর উপজেলা সাব-রেজিষ্টার মাসুদুর রহমান বদলীজনিত কারনে কর্মস্থল ত্যাগ করেন। সেই থেকেই চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলায় সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়গুলো সাবরেজিস্ট্রার শূন্য হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে কোনমতে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন ১০ সেপ্টেম্বর যোগদান করা দামুড়হুদা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার এম নাফিজ বিন জামান। তিনি একাই জেলার ৪টি উপজেলার সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয় সামাল দিতে যেমন হিমসিম খাচ্ছেন, ঠিক তেমনি ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন মানুষ।

রেজিস্ট্রি কার্যালয় সূত্রে আরো জানা যায়, সপ্তাহের প্রতি রবি ও সোমবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা, দামুড়হুদা উপজেলায় মঙ্গল ও বুধবার, আলমডাঙ্গা উপজেলায় রবি ও সোম এবং মঙ্গলবার এবং সপ্তাহের ৫ দিনই জীবননগর উপজেলায় জমি রেজিস্ট্রি কার্যক্রম চলার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সাবরেজিস্ট্রার সংকটের কারণে দামুড়হুদা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার এম নাফিজ বিন জামান একাই জেলার ৪টি উপজেলায় ১ দিন করে নির্ধারণ করে জমি রেজিস্ট্রি কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

জেলা রেজিস্টার শফিকুল ইসলাম জানান, জেলার সাবরেজিস্ট্রার সঙ্কটের বিষয়টি নিবন্ধন অধিদপ্তরে জানানো হয়েছে। বদলি প্রক্রিয়ার কাজ করেন আইন মন্ত্রনালয়। তবে আলমডাঙ্গা উপজেলায় সাবরেজিস্ট্রার পদে একজনকে দেয়া হয়েছে। তিনিএসে যোগদান করবে। আশা করা যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সদর ও জীবননগর উপজেলায় সাবরেজিস্ট্রারের পদ তাড়াতাড়ি পূরণ হবে।