ঘেরের পানিতে ৩ মাস পানিবন্দী ৩০ পরিবার!

বটিয়াঘাটা উপজেলার বারআড়িয়া বাজার সংলগ্ন ৩০ টি পরিবার গত ৩ মাস ধরে পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। প্রত্যক্ষ দর্শী ও ভূক্তভোগীমহলের অভিযোগ বাজার সংলগ্ন মাছের ঘের থাকায় এবং ঘের মালিকরা পানি সরবরাহ ব্যবস্থা না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এ এলাকার মধ্যে বারআড়িয়া পুলিশ ফাাঁড়িও অবস্থিত। এ ব্যপারে সুরখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী সরদারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিষটি দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।

বটিয়াঘাটা উপজেলা সদরের বটিয়াঘাটা চালনা সড়কের উপজেলা সদরের ফায়ার সার্ভিস অফিস, প্রেমকানন রোড সংযোগ স্থলে ও তার দক্ষিণে অপর একটি কালভার্ট সড়ক ও জনপদ দপ্তরের উদ্যোগে করা হয়। এই তিনটি কালভার্ট তৈরি করতে কোটি টাকার উর্ধ্বে ব্যয় হয়েছে। মূলতো দুপশে পানি সরবরাহের করার জন্যে এই কালভার্ট নির্মিত হয়। কিন্তু বাস্তবে রাস্তার দুপাশ দিয়ে পারি সরবরাহের কোন খাল না থাকায় কালভার্টের সামনের জমির মালিকরা কালভার্টের মূখ বন্ধ করে বাড়ীঘর নির্মাণ করছে। ফলে কোটি টাকার কালভার্ট উপকারে আসছে না।

এব্যাপারে বটিয়াঘাটা উপজেলা বাসীর মনে প্রশ্ন উঠেছে যেখানে পানি সরবরাহের কোন ব্যবস্থা নেই সেখানে সড়ক ও জনপদ দপ্তর কোটি টাকা ব্যয় করে কেন এই কালভার্ট তৈরি করতে গেল। এব্যাপারে সড়ক ও জনপদ দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

অপরদিকে অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলতে বলেন। বটিয়াঘাটা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিকির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এই তিন কালভার্টের পানি সরবরাহের জন্যে কোন সরকারী খাস খাল নেই। বিষটি খতিয়ে দেখতে সড়ক ও জনপদ দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন বটিয়ঘাটাবাসী।

রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১ , ২৫ আশ্বিন ১৪২৮ ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

ঘেরের পানিতে ৩ মাস পানিবন্দী ৩০ পরিবার!

প্রতিনিধি বটিয়াঘাটা (খুলনা)

image

বটিয়াঘাটা (খুলনা) : বারআড়িয়া বাজার সংলগ্ন পরিবারগুলো এভাবেই পানি মাড়িয়ে চলাচল করছে -সংবাদ

বটিয়াঘাটা উপজেলার বারআড়িয়া বাজার সংলগ্ন ৩০ টি পরিবার গত ৩ মাস ধরে পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। প্রত্যক্ষ দর্শী ও ভূক্তভোগীমহলের অভিযোগ বাজার সংলগ্ন মাছের ঘের থাকায় এবং ঘের মালিকরা পানি সরবরাহ ব্যবস্থা না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এ এলাকার মধ্যে বারআড়িয়া পুলিশ ফাাঁড়িও অবস্থিত। এ ব্যপারে সুরখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী সরদারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিষটি দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।

বটিয়াঘাটা উপজেলা সদরের বটিয়াঘাটা চালনা সড়কের উপজেলা সদরের ফায়ার সার্ভিস অফিস, প্রেমকানন রোড সংযোগ স্থলে ও তার দক্ষিণে অপর একটি কালভার্ট সড়ক ও জনপদ দপ্তরের উদ্যোগে করা হয়। এই তিনটি কালভার্ট তৈরি করতে কোটি টাকার উর্ধ্বে ব্যয় হয়েছে। মূলতো দুপশে পানি সরবরাহের করার জন্যে এই কালভার্ট নির্মিত হয়। কিন্তু বাস্তবে রাস্তার দুপাশ দিয়ে পারি সরবরাহের কোন খাল না থাকায় কালভার্টের সামনের জমির মালিকরা কালভার্টের মূখ বন্ধ করে বাড়ীঘর নির্মাণ করছে। ফলে কোটি টাকার কালভার্ট উপকারে আসছে না।

এব্যাপারে বটিয়াঘাটা উপজেলা বাসীর মনে প্রশ্ন উঠেছে যেখানে পানি সরবরাহের কোন ব্যবস্থা নেই সেখানে সড়ক ও জনপদ দপ্তর কোটি টাকা ব্যয় করে কেন এই কালভার্ট তৈরি করতে গেল। এব্যাপারে সড়ক ও জনপদ দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

অপরদিকে অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলতে বলেন। বটিয়াঘাটা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিকির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এই তিন কালভার্টের পানি সরবরাহের জন্যে কোন সরকারী খাস খাল নেই। বিষটি খতিয়ে দেখতে সড়ক ও জনপদ দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন বটিয়ঘাটাবাসী।