বাঁশখালীতে বালুখেকো সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী!

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একাধিক বালুখেকো সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। দিনদুপুরে প্রকাশ্যে ছড়া ও খাল থেকে বালু তোলে মিনি ট্রাক ও ডাম্পারযোগে দেদারছে বিক্রি করছে এ অসাধু বালুখেকো সিন্ডিকেটের সদস্যরা। এ সিন্ডিকেটের সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়া ও খাল থেকে বালু উত্তোলন করার খবর পেয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হলেও পুনরায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বালু উত্তোলন করে তারা। এদিকে দিনের পর দিন বালু উত্তোলনের ফলে রাস্তাঘাট ভেঙে পড়ায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে বালুখেকো সিন্ডিকেটের কুদৃষ্টির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের।

এলাকাবাসীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরজমিনে গতকাল বৈলছড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের অভ্যারখীল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বৈলছড়ি ছড়ার রাজগাড়া ব্রিজ ও আশুনি বাপের ব্রিজের নামক কালভার্ট দুইটির নিচ থেকে দুইটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকাবাসীদের সঙ্গে বসে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এখানে ড্রেজার দুইটি বসিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে অসাধু বালু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের লোকজন। এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করলে তাদের বিভিন্নভাবে হেনেস্তা করে ওই সিন্ডিকেটের সদস্যরা। এছাড়াও কাথরিয়া ইউনিয়নের কোটপাড়া, পুঁইছড়ি, গুনাগরী ও কালীপুর ইউনিয়নের ছলেয়া বাপের পুল হয়ে বাহারছড়া সড়কের পাশে ছড়া হতে ড্রেজার মেশিন ও বেলচা দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সেখানেও এলাকাবাসীরা প্রতিবাদ করলে তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করছে ওই বালুখেকো সিন্ডিকেটের সদস্যরা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বৈলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দীন বলেন, ‘অভ্যারখীল এলাকায় ছড়া থেকে বালু উত্তোলন খবর পেয়ে বেশ কয়েকবার সেখানে গিয়েছি। কিন্তু বালু উত্তোলনকারীরা আমার উপস্থিতির খবর পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদ্দুজামান চৌধুরী বলেন, ‘বালু উত্তোলনকারীরা যতই প্রভাবশালী হউক না কেন তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’

রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১ , ২৫ আশ্বিন ১৪২৮ ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

বাঁশখালীতে বালুখেকো সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী!

প্রতিনিধি, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একাধিক বালুখেকো সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। দিনদুপুরে প্রকাশ্যে ছড়া ও খাল থেকে বালু তোলে মিনি ট্রাক ও ডাম্পারযোগে দেদারছে বিক্রি করছে এ অসাধু বালুখেকো সিন্ডিকেটের সদস্যরা। এ সিন্ডিকেটের সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়া ও খাল থেকে বালু উত্তোলন করার খবর পেয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হলেও পুনরায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বালু উত্তোলন করে তারা। এদিকে দিনের পর দিন বালু উত্তোলনের ফলে রাস্তাঘাট ভেঙে পড়ায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে বালুখেকো সিন্ডিকেটের কুদৃষ্টির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের।

এলাকাবাসীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরজমিনে গতকাল বৈলছড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের অভ্যারখীল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বৈলছড়ি ছড়ার রাজগাড়া ব্রিজ ও আশুনি বাপের ব্রিজের নামক কালভার্ট দুইটির নিচ থেকে দুইটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকাবাসীদের সঙ্গে বসে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এখানে ড্রেজার দুইটি বসিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে অসাধু বালু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের লোকজন। এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করলে তাদের বিভিন্নভাবে হেনেস্তা করে ওই সিন্ডিকেটের সদস্যরা। এছাড়াও কাথরিয়া ইউনিয়নের কোটপাড়া, পুঁইছড়ি, গুনাগরী ও কালীপুর ইউনিয়নের ছলেয়া বাপের পুল হয়ে বাহারছড়া সড়কের পাশে ছড়া হতে ড্রেজার মেশিন ও বেলচা দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সেখানেও এলাকাবাসীরা প্রতিবাদ করলে তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করছে ওই বালুখেকো সিন্ডিকেটের সদস্যরা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বৈলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দীন বলেন, ‘অভ্যারখীল এলাকায় ছড়া থেকে বালু উত্তোলন খবর পেয়ে বেশ কয়েকবার সেখানে গিয়েছি। কিন্তু বালু উত্তোলনকারীরা আমার উপস্থিতির খবর পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদ্দুজামান চৌধুরী বলেন, ‘বালু উত্তোলনকারীরা যতই প্রভাবশালী হউক না কেন তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’