অপার সম্ভাবনার ব্লু-ইকোনমি

ব্লু-ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতি হলো সমুদ্রনির্ভর অর্থনীতি। সাগরের বিশাল জলরাশি এবং সমুদ্র তলদেশে সম্পদ ব্যবহার করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।

সমুদ্রকে বলা হয় সম্পদের ভা-ার। তেল, গ্যাস, শৈবাল, ইউরেনিয়াম, জিরকন, শামুক, ৪৭৫ প্রজাতির মাছসহ রয়েছে অফুরন্ত খনিজ সম্পদ। সমদ্রের এসব সম্পদকে আহরণ করে রপ্তানির মাধ্যমে আয় করা সম্ভব মিলিয়ন মিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রা। বাংলাদেশের জন্য ব্লু-ইকোনমি হতে পারে অপার সম্ভাবনাময় খাত।

গভীর সমুদ্র পর্যন্ত গিয়ে মাছ আহরণ করতে পারলে বাংলাদেশের মৎস্য রপ্তানিতে সৃষ্টি হবে নতুন মাইল ফলক। বঙ্গোপসাগরকে বলা হয় সম্পদের ভা-ার। তেল, গ্যাসসহ নানা মূল্যবান পদার্থের খোঁজ মিলেছে বঙ্গোপসাগরে। গ্যাস ও অন্যান্য খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সিমেন্ট শিল্পের অন্যতম কাঁচামালে ক্লে’র সন্ধান মিলেছে বঙ্গোপসাগরে, এই সকল কাঁচামাল উত্তোলন করতে পারলে সিমেন্ট শিল্প রপ্তানিতে বাংলাদেশ হবে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি। বঙ্গোপসাগরে তীরবর্তী অঞ্চল থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ উৎপাদন করা সম্ভব। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় এতসব সম্পদ থাকা সত্ত্বেও এ সম্পদের যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না নানা সীমাবদ্ধতার কারণে।

তবে আশার কথা হলো, বাংলাদেশ সরকার ব্লু-ইকোনমিকে গুরুত্ব দিয়ে ইতোমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর মধ্যে সমুদ্র গবেষণা, খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান, সঠিক পরিসংখ্যান বিনিয়োগের পরিবেশ, মেগাপকল্প, নৌ ও বন্দর ব্যবহার সুবিধা ইত্যাদি অন্যতম। যথাযথ উদ্যোগ নিয়ে বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে ব্লু-ইকোনমি হতে পারে বাংলাদেশর অর্থনীতির একটি উল্লেখযোগ্য খাত। সুনীল অর্থনীতির হাত ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আসবে আরো একটি অর্থনৈতিক বিপ্লব। আশা করি সরকার এদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন।

কাজী মোহাম্মদ হাসান

শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১ , ২৫ আশ্বিন ১৪২৮ ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

অপার সম্ভাবনার ব্লু-ইকোনমি

ব্লু-ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতি হলো সমুদ্রনির্ভর অর্থনীতি। সাগরের বিশাল জলরাশি এবং সমুদ্র তলদেশে সম্পদ ব্যবহার করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।

সমুদ্রকে বলা হয় সম্পদের ভা-ার। তেল, গ্যাস, শৈবাল, ইউরেনিয়াম, জিরকন, শামুক, ৪৭৫ প্রজাতির মাছসহ রয়েছে অফুরন্ত খনিজ সম্পদ। সমদ্রের এসব সম্পদকে আহরণ করে রপ্তানির মাধ্যমে আয় করা সম্ভব মিলিয়ন মিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রা। বাংলাদেশের জন্য ব্লু-ইকোনমি হতে পারে অপার সম্ভাবনাময় খাত।

গভীর সমুদ্র পর্যন্ত গিয়ে মাছ আহরণ করতে পারলে বাংলাদেশের মৎস্য রপ্তানিতে সৃষ্টি হবে নতুন মাইল ফলক। বঙ্গোপসাগরকে বলা হয় সম্পদের ভা-ার। তেল, গ্যাসসহ নানা মূল্যবান পদার্থের খোঁজ মিলেছে বঙ্গোপসাগরে। গ্যাস ও অন্যান্য খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সিমেন্ট শিল্পের অন্যতম কাঁচামালে ক্লে’র সন্ধান মিলেছে বঙ্গোপসাগরে, এই সকল কাঁচামাল উত্তোলন করতে পারলে সিমেন্ট শিল্প রপ্তানিতে বাংলাদেশ হবে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি। বঙ্গোপসাগরে তীরবর্তী অঞ্চল থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ উৎপাদন করা সম্ভব। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় এতসব সম্পদ থাকা সত্ত্বেও এ সম্পদের যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না নানা সীমাবদ্ধতার কারণে।

তবে আশার কথা হলো, বাংলাদেশ সরকার ব্লু-ইকোনমিকে গুরুত্ব দিয়ে ইতোমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর মধ্যে সমুদ্র গবেষণা, খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান, সঠিক পরিসংখ্যান বিনিয়োগের পরিবেশ, মেগাপকল্প, নৌ ও বন্দর ব্যবহার সুবিধা ইত্যাদি অন্যতম। যথাযথ উদ্যোগ নিয়ে বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে ব্লু-ইকোনমি হতে পারে বাংলাদেশর অর্থনীতির একটি উল্লেখযোগ্য খাত। সুনীল অর্থনীতির হাত ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আসবে আরো একটি অর্থনৈতিক বিপ্লব। আশা করি সরকার এদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন।

কাজী মোহাম্মদ হাসান

শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়